ট্রাম্পের উগ্রবাদবিরোধী কর্মসূচিতে থাকবে কেবলই ইসলামি উগ্রবাদ
নতুন মার্কিন প্রশাসন উগ্রবাদবিরোধী একটি কর্মসূচির নাম পরিবর্তন করতে যাচ্ছে। সরকারি ওই কর্মসূচিটি সব ধরনের সহিংস মতাদর্শ মোকাবেলায় কাজ করে থাকে। নতুুন করে ওই কর্মসূচিতে ইসলামি চরমপন্থাকে যুক্ত করা হচ্ছে। বিশেষভাবে ইসলামি চরমপন্থার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণের জন্যই এই পরিকল্পনা গ্রহণ করা হচ্ছে। ওই কর্মসূচির সঙ্গে সম্পৃক্ত পাঁচ কর্মকর্তা রয়টার্সকে এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন। খবর রয়টার্সের।
কাউন্টারিং ভায়োলেন্ট এক্সট্রিমিসম (সিভিই) কর্মসূচির নাম পরিবর্তন করে কাউন্টারিং ইসলামিক এক্সট্রিমিসম অথবা কাউন্টারিং রেডিক্যাল ইসলামিক এক্সট্রিমিসম করার পরিকল্পনা করছে ট্রাম্প প্রশাসন। নতুন এই কর্মসূচির আওতায় এর আগে দেশটিতে গোলাগুলি বা বোমা হামলা চালিয়েছে এমন উগ্রবাদীদের বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা নেয়া হবে না। শুধুমাত্র ইসলামি উগ্রবাদীদের বিরুদ্ধেই ব্যবস্থা নেয়া হবে।
এ ধরনের পরিবর্তন ট্রাম্পের নির্বাচনী প্রচারণার সময় দেয়া কথারই প্রতিফলন। তিনি নির্বাচনী প্রচারণায় ইসলামি সংগঠনগুলোকে নিশ্চিহ্ন করার প্রতিজ্ঞা করেছিলেন। তবে এই কর্মসূচির আওতায় জঙ্গি গোষ্ঠী ইসলামিক স্টেটের (আইএস) বিরুদ্ধে সাবেক প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা কঠোর অবস্থান গ্রহণ করতে পারেননি বলে সমালোচনাও হচ্ছে। বারাক ওবামা বরাবরই ইসলামি উগ্রবাদ বা ইসলামি জঙ্গিবাদ শব্দ ব্যবহার এড়িয়ে গেছেন। এখন পর্যন্ত বহু দেশে বেসামরিক নাগরিকদের ওপর হামলার দায় স্বীকার করেছে আইএস।
কর্মসূচির নাম পরিবর্তনের পরিকল্পনায় বেশ কয়েকজন প্রবক্তা আশঙ্কা প্রকাশ করছেন যে, নতুন এই কর্মসূচির ফলে মুসলিমদের সঙ্গে সরকারের কাজ করা অনেক কঠিন হয়ে পড়বে। বিশেষ করে গত শুক্রবার ইরান, ইরাক, লিবিয়া, সোমালিয়া, সুদান ও ইয়েমেনের শরণার্থী ও অভিবাসীদের জন্য ৯০ দিনের জন্য এবং সিরীয়দের ক্ষেত্রে অনির্দিষ্টকালের জন্য যুক্তরাষ্ট্রের ভিসা বাতিলে ট্রাম্পের ঘোষণার পর ইতোমধ্যেই ট্রাম্প প্রশাসনকে ঘিরে মুসলিমদের মধ্যে অনাস্থা তৈরি হয়েছে।
শুধুমাত্র একটি বিশেষ সম্প্রদায়ের ওপর ট্রাম্প প্রশাসনের এমন পদক্ষেপ নিয়ে বেশ সমালোচনা হচ্ছে। যুক্তরাষ্ট্রে ৩০ লাখেরও বেশি মুসলিম শান্তিপূর্ণ জীবনযাপন করছে। তারা কোনো ধরনের উগ্রবাদের সঙ্গে জড়িত নয়। অথচ মুসলিম জঙ্গিবাদ শব্দটি ব্যবহারের ফলে বিপুল সংখ্যক মুসলিম নাগরিকদের সঙ্গে আমেরিকানদের দূরত্ব তৈরি হবে।
টিটিএন/আরআইপি