ই-সিগারেটের কারণে বাড়ছে ধূমপানের নেশা
ধূমপানের ক্ষতি এড়ানোর উপায় হিসেবে ই-সিগারেটের বাজারজাত শুরু করেছিলেন বিভিন্ন কোম্পানি। বিশেষজ্ঞরা বলেছিলেন, ই-সিগারেটে শারীরিক ক্ষতি কম হবে, ধূমপায়ীও কমে যাবে। কিন্তু সম্প্রতি এক গবেষণায় দেখা গেছে ই-সিগারেট চালুর পর থেকে ধূমপায়ীর সংখ্যা কমছে না বরং বাড়ছে।
সান ফ্রান্সিস্কোর ইউনিভার্সিটি অব ক্যালিফোর্নিয়ার (ইউসিএসএফ) একদল গবেষকের গবেষণায় এ তথ্য উঠে এসেছে।
গবেষকদের তথ্য মতে, ২০০৯ সালে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে ধূমপানের যা হার ছিল, ২০১৪ সালে সাধারণ ধূমপায়ী ও ই-সিগারেটের নেশায় আসক্তের সংখ্যা বে়ড়ে গেছে।
গবেষকরা বলছেন, যারা হয়তো তামাকের নেশায় আসক্ত ছিলেন না বা আসক্ত হয়ে পড়ার সম্ভাবনাও বিশেষ ছিল না, ই-সিগারেট আসার পর তারাও আসক্ত হয়ে প়ড়ছেন।
ইউসিএসএফ সেন্টার ফর টোব্যাকো কন্ট্রোল রিসার্চ অ্যান্ড এডুকেশনের গবেষক লরেন দুতরা বলেন, ই-সিগারেট আসার পর ধূমপানের হার কমে যাওয়ার কোনও প্রমাণ আমাদের হাতে নেই। অনেক ধূমপায়ী যুবক-যুবতী যেমন সিগারেট ছেড়ে ই-সিগারেট ধরেছেন, তেমনই অনেকে নতুন করে ই-সিগারেটের নেশায় আসক্ত হয়েছেন যারা আগে ধূমপান করতেন না। ফলে সামগ্রিক ভাবে ধূমপায়ীর সংখ্যা বাড়ছে। আর যুবসমাজে সাধারণ ধূমপানের হার যতটা কমেছে তা মূলত টোব্যাকো কন্ট্রোল এফর্টসের ফল, ই-সিগারেটের নয়।
২০০৪ সাল থেকে ২০১৪ পর্যন্ত ১৪০,০০০ জন মিডল ও হাইস্কুল শিক্ষার্থীকে নিয়ে সমীক্ষা চালিয়েছিল সেন্টার ফর ডিজিজ কন্ট্রোল অ্যান্ড প্রিভেনশন’স ন্যাশনাল ইউথ টোব্যাটো সার্ভে।
সমীক্ষার রিপোর্ট বলছে, এই এক দশকে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের যুব সমাজে ধূমপানের প্রবণতা কমেছে। কিন্তু ই-সিগারেট বাজারে আসার পর (২০০৭-২০০৯) এই প্রবণতা কমার হারে কোনও উল্লেখযোগ্য পরিবর্তন দেখা যায়নি। ই-সিগারেট ধূমপায়ীদের মানসিকতাও পরীক্ষা করেন গবেষকরা।
এআরএস/এমএস