ষাঁড়ের জন্য উত্তাল তামিলনাড়ু
ষাঁড়কে বশে আনার অধিকার ফেরত চেয়ে পথে নেমেছিল তামিলনাড়ুর জনতা। তাদের নিয়ন্ত্রণ করতে হিমসিম খেতে হয়েছে রাজ্য সরকারকে।
আন্দোলনকারীরা বুঝিয়ে দিয়েছেন জাল্লিকাট্টু আর জাল্লিকাট্টুতে সীমাবদ্ধ নেই। দীর্ঘদিনের জমে থাকা ক্ষোভ তার প্রকাশ করেছেন একটি উপলক্ষ খুঁজে নিয়ে।
তিন বছর বন্ধ থাকার পরে বহু আন্দোলন-অবরোধ পেরিয়ে রোববারই শুরু হয়েছে জাল্লিকাট্টু। ষাঁড়কে বশ করার লড়াই। কিন্তু অর্ডিন্যান্সকে পুরোপুরি বিশ্বাস করতে পারেনি মানুষ। রোববার সব জায়গায় জাল্লিকাট্টু শুরুও হয়নি। তার মধ্যেও অবশ্য ষাঁড়ের গুঁতোয় প্রাণ হারিয়েছেন দু’জন।
আন্দোলনকারীরা বলছেন, অর্ডিন্যান্স কোনো স্থায়ী সমাধান নয়, জাল্লিকাট্টু নিয়ে স্থায়ী সমাধান চেয়েই বিক্ষোভ অব্যাহত রেখেছেন তারা; সোমবার যা রীতিমতো হিংসাত্মক হয়ে ওঠে।
প্রতিবাদে সৈকতে মানববন্ধন করেন তারা। কেউ শুয়ে পড়েন। কেউ হুমকি দেন সমুদ্রে লাফ দিয়ে আত্মহত্যা করবেন। পুলিশ লক্ষ্য করে ছোড়া হয় পাথর, বোতল। পেট্রোল বোমাও ছোড়া হয়। জবাবে টিয়ার শেল ছোড়ে পুলিশও।
এতে ১০ আন্দোলনকারী ও ২০ পুলিশ আহত হন।
সৈকত সংলগ্ন আইস হাউস থানা চত্বরে ৩০টি মোটরবাইক ও গাড়িতে আগুন দেয়া হয়। গাড়ি ভাঙচুর করে আগুন লাগানো হয় নাদুকুপ্পমের কাছেও।
এনএফ/এমএস