১২ বছরের শিক্ষার্থীকে চার শিক্ষকের ধর্ষণ!
মায়ের সঙ্গে প্রতিদিন স্কুলে যেত ১২ বছরের মেয়েটি। স্কুল ছুটির পর মায়ের সঙ্গেই বাড়ি ফিরত। মা পেশায় স্কুল শিক্ষিকা; ভারতের বিহার রাজ্যের জেহানাবাদ জেলার সরকারি এক স্কুলে শিক্ষকতা করেন তিনি।
মানসিক ভারসাম্যহীন মেয়েকে নিয়েই কর্মক্ষেত্রে আসতেন তিনি। কিন্তু রোববার টিফিনের আগে ক্লাস থেকে ফিরে মেয়েকে না দেখে চিন্তায় পড়ে যান মা।
টিচার্স রুম, স্কুলের মাঠ, অন্য ক্লাসরুম, শৌচাগারসহ স্কুলের আনাচ-কানাচে মেয়েকে খুঁজতে থাকেন। কিন্তু কোথাও পাওয়া যাচ্ছিল না তাকে। এ সময় নবম শ্রেণির তিন ছাত্রী এসে তাকে বলে, আপনার মেয়ে শুয়ে কাঁদছে।
এরপর ওই শিক্ষিকা স্কুলের দোতলার ছাদে গিয়ে দেখেন, ছিন্নভিন্ন অবস্থায় পড়ে কাতরাচ্ছেন তার মেয়ে। মাকে দেখেও উঠে বসার ক্ষমতা নেই তার। তিনি ছুটে যেতেই কান্না শুরু করে দেয় মেয়ে।
পরে সব কথা জানায় মাকে। বলে, স্কুলের অধ্যক্ষসহ অন্য তিন শিক্ষক তাকে গণধর্ষণ করেছেন। এরপর কাকো থানায় ফোন করা হয়। পুলিশ এসে কিশোরীকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যায়। ঘটনার ভয়ঙ্কর ট্রমা এখনও ওই কিশোরী কাটিয়ে উঠতে পারেনি বলে জানিয়েছেন চিকিৎসকরা।
এদিকে জেহানাবাদ নারী থানায় স্কুলের অধ্যক্ষসহ ওই তিন সহকর্মী শিক্ষকের বিরুদ্ধে মেয়েকে গণধর্ষণের অভিযোগ করেন শিক্ষিকা।
জেহানাবাদের এসডিপিও প্রশান্ত শ্রীবাস্তব জানিয়েছেন, শিক্ষিকার করা অভিযোগের ভিত্তিতে একটি গণধর্ষণের মামলা হয়েছে। সেখানে অধ্যক্ষ অজু আহমেদ এবং অন্য তিন শিক্ষক অতুল রহমান, আব্দুল বারি এবং মো. সাখাওয়াতের নাম রয়েছে। পুলিশের দাবি, চার শিক্ষকই পলাতক। তাদের ধরতে তল্লাশি চলছে।
বিহারের শিক্ষামন্ত্রী অশোক চৌধুরী বলেছেন, ‘ঘটনার কথা শুনেছি। কীভাবে এ ঘটনা ঘটল বুঝতে পারছি না! চার অভিযুক্ত শিক্ষকের বিরুদ্ধে বিভাগীয় তদন্তের নির্দেশ দেয়া হয়েছে। দোষী প্রমাণিত হলে উপযুক্ত ব্যবস্থা নেয়া হবে। আনন্দবাজার।
এসআইএস/জেআইএম