গরুর সংস্পর্শে সর্দি-কাশি ভালো হয় : দাবি রাজস্থানের মন্ত্রীর
ভারতের রাজস্থান প্রদেশের শিক্ষামন্ত্রী ও পঞ্চায়েতি রাজ মন্ত্রী বাসুদেব দেবনানি বলেছেন, গরুই একমাত্র প্রাণী যে অক্সিজেনকে শ্বাস হিসেবে গ্রহণ ও ত্যাগ করে। দেশটির জাতীয় দৈনিক হিন্দুস্তান টাইমস সোমবার এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে।
কিন্তু ২০০৬ সালে জাতিসংঘের খাদ্য ও কৃষিবিষয়ক সংস্থা (এফএও) এক প্রতিবেদনে জানায়, গরুসহ অন্যান্য গৃহপালিত পশু ১৮ শতাংশ গ্রিন হাউস গ্যাস নির্গমনের জন্য দায়ী; যার কারণে বৈশ্বিক উষ্ণতা বাড়ছে। গৃহপালিত পশুর এই গ্রিন হাউস গ্যাস নির্গমনের মাত্রা গাড়ি, বিমান ও অন্যান্য পরিবহনের গ্যাসের চেয়ে বেশি।
দেবনানি বলেছেন, গরুই একমাত্র প্রাণী যে শ্বাস-প্রশ্বাসের কাজে অক্সিজেন নেয় এবং ত্যাগ করে। এজন্য মানুষকে গরুর বৈজ্ঞানিক তাৎপর্য বুঝতে হবে।
শনিবার রাজ্যের হিঙ্গোনিয়া গরু পুনর্বাসন কেন্দ্রের এক অনুষ্ঠানে অংশ নিয়ে তিনি এ মন্তব্য করেন। রাজস্থান শিক্ষা বিভাগের এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, শিক্ষামন্ত্রী বলেছেন, গরুর কাছে গেলে সর্দি-কাশির মতো রোগ ভালো হয়ে যায়। একই সঙ্গে পুরো দেশে গরু সংরক্ষণ ও উন্নয়নে যুবকদের ভূমিকার ওপর গুরুত্বারোপ করেন তিনি।
রাজস্থানের এই শিক্ষামন্ত্রীর দাবি, গরুর গোবরে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন ‘বি’ রয়েছে।
উল্লেখ্য, হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের কাছে পবিত্র প্রাণী হিসেবে গরু সুরক্ষার বিষয়টি দেশটিতে রাজনৈতিক ইস্যুতে পরিণত হয়েছে। গত বছর দেশটির কট্টরপন্থী হিন্দুরা গরু জবাই ও হত্যার দায়ে বেশ কয়েকজনকে পিটিয়ে হত্যা করে।
সূত্র : হিন্দুস্তান টাইমস।
এসআইএস/পিআর