তিন কিশোরের বিচক্ষণতায় দুর্ঘটনা থেকে রক্ষা পেল যাত্রীবাহী ট্রেন
ভারতে প্রকাশ্যে মলমূত্র ত্যাগ যে বড় ধরনের সমস্যা, সেটা দেশের সরকার শিকার করতে শুরু করেছে বেশ কয়েক বছর আগেই। একদিকে যেমন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি শুরু করেছেন স্বচ্ছ ভারত অভিযান, অন্যদিকে গ্রামে গ্রামে টয়লেট তৈরির জন্য অনুদান দেয়া হচ্ছে।
এছাড়া ভোরবেলায় গ্রামে গিয়ে নজরদারি আর খোলা মাঠে মলমূত্র ত্যাগ না করার জন্য প্রচারণা চালাচ্ছেন সরকারি কর্মকর্তারা। কিন্তু প্রকাশ্যে মলত্যাগ যে উপকারেও আসতে পারে, এটা কেউই ভাবেনি!
প্রকাশ্যে মলত্যাগের অভ্যাস সম্ভাব্য দুর্ঘটনার হাত থেকে রক্ষা করেছে এক ট্রেন ভর্তি যাত্রীকে। সোমবার সকালে বীরভূম জেলায় প্রকাশ্যে মলত্যাগের এই অভাবনীয় দিকটি সামনে এসেছে।
শান্তিনিকেতনের বোলপুর শহরের কাছেই বর্ধমান-বারহারোয়া যাত্রীবাহী ট্রেনটি তিন স্থানীয় কিশোরের সাহায্যে রক্ষা পেয়েছে দুর্ঘটনার হাত থেকে। স্থানীয় সূত্রগুলো বলছে, বোলপুরের সুরশ্রী পল্লীর বাসিন্দা তিন কিশোর; সুব্রত বাগদি, প্রকাশ দাস আর বিষ্ণু তুরি রোজকারের অভ্যাস মতোই রেললাইনে প্রাতঃকৃত্য সারতে গিয়েছিল।
সকাল তখন ৮টার মতো। তখনই তাদের চোখে পড়ে যে লাইনে প্রায় দেড় ইঞ্চি ফাটল রয়েছে। তারা নিজেদের কাজ ফেলে বাড়িতে ছুটে যায়। ওই জায়গাটি বোলপুর আর প্রান্তিক স্টেশনের মাঝামাঝি।
বাড়ি থেকে লাল গামছা নিয়ে দৌড়ে ফিরে আসে তারা। ততক্ষণে ট্রেনটি কাছাকাছিই চলে আসে। লাল গামছার সঙ্কেত খেয়াল করে যখন চালক ট্রেনটিকে পুরোপুরি থামাতে সক্ষম হন, ততক্ষণে ট্রেনের সামনের দিকের দুটি কামরা ওই ফাটল পেরিয়ে গেছে।
চালকই রেল কর্মীদের খবর দেন। ফাটল সারিয়ে ট্রেন চালু হয় প্রায় পঁচিশ মিনিট পরে। পূর্ব রেলের মুখপাত্র রবি মহাপাত্র বিবিসিকে জানিয়েছেন, তিন কিশোরই প্রথম ফাটলটা লক্ষ্য করেছিল। তাদের জন্যই দুর্ঘটনার হাত থেকে রক্ষা পেয়েছে ট্রেনটি।
তবে তারা সকাল বেলায় রেললাইনের ধারে কী করছিল, সেটা বলতে পারব না! ভারতের উত্তর প্রদেশে সম্প্রতি দুটি রেল দুর্ঘটনা ঘটেছে লাইনে ফাটলের কারণে। শীতকালে এধরনের ফাটল ধরা যে স্বাভাবিক, সেটা মেনে নেন বিশেষজ্ঞরা।
এসআইএস