বিপাকে ইসরায়েল-ফিলিস্তিন শান্তি প্রক্রিয়া : জন কেরি
ইসরায়েল-ফিলিস্তিনের শান্তি প্রক্রিয়া চরম বিপদের মুখে রয়েছে বলে জানিয়েছেন মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী জন কেরি। এই বিপদ রুখতেই শুক্রবারের প্রস্তাবনায় ভেটো দেয়া থেকে বিরত ছিলো যুক্তরাষ্ট্র। যাতে করে প্রস্তাবনাটি পাশ হওয়ার সুযোগ পায়। কেরি বলছেন, দুই দেশ ধারণার ভিত্তিতে না এগুলে ইসরাইল বা ফিলিস্তিন কারোরই লাভ হবে না। খবর বিবিসির।
কেরি জানিয়েছেন, যদি এক রাষ্ট্র ধারণা বেছে নেওয়া হয় তবে ইসরায়েলকে হয় ইহুদি রাষ্ট্র হতে হবে নতুবা গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র হতে হবে। দু’টো এক সঙ্গে হওয়া সম্ভব নয়। তা চেষ্টা করলে ইসরাইল রাষ্ট্র হিসেবে শান্তি পাবে না। অন্যদিকে যদি ফিলিস্তিনকে একক রাষ্ট্র করা হয় তবে সেও তার নিজের অপার সম্ভাবনা উপলব্ধি করতে পারবে না।
শুক্রবার জাতিসংঘের নিরাপত্তা কাউন্সিলে পাশ হওয়া একটি প্রস্তাবনার ভিত্তিতে এ ধরনের মন্তব্য করেছেন কেরি। প্রস্তাবনায় দখলকৃত ভূমিতে ইসরায়েলে অবৈধ বসতি নির্মাণ বন্ধের আহবান জানানো হয়। এসব বসতি নির্মাণ আন্তর্জাতিক আইনের লঙ্ঘন বলে উল্লেখ করা হয়েছে।
এ ধরণের ভোটাভুটিতে সাধারণত যুক্তরাষ্ট্র ভেটো বা আপত্তি দিয়ে থাকে। আর তাতে ইসরায়েল বিরোধী কোন প্রস্তাবনা সাধারণত পাশ হয়না। কিন্তু এই প্রস্তাবে ভেটো না দিয়ে বরং যুক্তরাষ্ট্র ভোট দেওয়া থেকে বিরত ছিলো। সে কারণেই প্রস্তাবনাটি পাশ হয়। এটা ছিলো মার্কিন ইতিহাসে নজিরবিহীন।
অন্যদিকে ইসরায়েল প্রধানমন্ত্রী বেনজামিন নেতানিয়াহু জন কেরির বক্তব্যের পর মার্কিন নীতির এমন রাতারাতি পরিবর্তনকে হতাশাব্যঞ্জক বলে উল্লেখ করেছেন।
নেতানিয়াহু অভিযোগ করে বলেছেন, নিরাপত্তা পরিষদে ভোট উত্থাপন, তার অগ্রগতি ও সবকিছু সংগঠিত করা পুরোটাই মার্কিন কারসাজি। এমন প্রমাণ তাদের কাছে আছে।
তবে জানুয়ারির ২০ তারিখে নতুন করে ক্ষমতা গ্রহণ করবেন মার্কিন নবনির্বাচিত প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। সম্প্রতি এক টুইট বার্তায় তিনি লিখেছেন ইসরাইলের অসম্মান তিনি সহ্য করবেন না। তাই তার ক্ষমতা গ্রহণকে কেন্দ্র করে পরিস্থিতি অন্য দিকেও মোড় নিতে পারে।
টিটিএন/আরআইপি