নাগাল্যান্ডে বাংলাভাষী মুসলমানদের ওপর ক্ষেপেছে স্থানীয়রা
ভারতের নাগাল্যান্ডে ধর্ষণের দায়ে অভিযুক্তকে জেল থেকে বের করে এনে পিটিয়ে হত্যার রেশ ধরে সেখানকার বাংলাভাষী মুসলমানদের ওপর ক্ষেপেছে স্থানীয়রা।
এক্ষেত্রে মৃত ব্যক্তি মুসলমান এবং বাংলাদেশের অনুপ্রবেশকারী বলে গুজব রটানো হয়। প্রশাসন থেকে বলা হচ্ছে হত্যাকাণ্ডের আগে থেকেই এই গুজব রটানোর কাজটি করেছে কিছু ব্যক্তি বা গোষ্ঠি।
অবশ্য এই ঘটনার আগে থেকেই ডিমাপুরের বাংলাভাষী ভারতীয় মুসলমানদের ওপর ক্ষুব্ধ নাগারা। বেশ কিছু জায়গায় এই দ্বন্দ্ব ছোটো খাটো সংঘাতেরও জন্ম দিয়েছে।
তবে স্থানীয় নাগাদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, তাদের ক্ষোভ মূলত বাংলাদেশ থেকে অনুপ্রবেশকারী মুসলমানদের ওপর। কারণ তারা সেখানে গিয়ে অবৈধভাবে অর্থনৈতিক কর্মকান্ডে ভাগ বসায়, এমনকি অনেকে অনৈতিক কাজেও জড়িয়ে পড়ে।
আর এখানেই ঘটেছে বিপত্তি। বহু বছর ধরে বাস করে আসা অসমিয়া বাংলা ভাষাভাষী মুসলমান আর বাংলাদেশ থেকে অনুপ্রবেশকারীদের গুলিয়ে ফেলছে নাগারা।
জেল ভেঙে বের করে এনে হত্যার আগে রটিয়ে দেওয়া হয়েছিল ধর্ষণের দায়ে অভিযুক্ত ব্যক্তি বাংলাদেশি মুসলমান, নাম ফরিদ খান। ডিমাপুরের পুলিশ সুপার ঘটনার ঘণ্টাখানেকের মধ্যে গণমাধ্যমকেও এই তথ্য জানান।
কিন্তু পরবর্তীতে উদঘাটন হয়, লোকটির নাম শরিফ খান এবং তিনি বাংলাদেশিও নন।
ঘটনার পর ডিমাপুরের জেলা প্রশাসক এবং পুলিশ সুপারকে বরখাস্ত করা হয়েছে। সঙ্গে নাগাল্যান্ডের মুখ্যমন্ত্রী স্বীকার করে নিয়েছেন, প্রশাসন সেখানে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে সম্পূর্ণ ব্যর্থ হয়েছে।
এসআরজে