ভিডিও EN
  1. Home/
  2. আন্তর্জাতিক

হেলমেট ছাড়া জ্বালানি নয়

প্রকাশিত: ১০:০৯ এএম, ১০ মার্চ ২০১৫

হেলমেট ছাড়া পেট্রল পাম্পে গেলে খালি ট্যাঙ্ক নিয়েই ফিরতে হবে স্কুটার বা বাইক আরোহীদের। আর চার চাকার ক্ষেত্রে কড়াকড়ি হবে সিটবেল্টে বাঁধা। অর্থাৎ সিটবেল্ট লাগানো না থাকলে জ্বালানি দেওয়া হবে না চার চাকাওয়ালাদেরও। ভারতরে বর্ধমানেই প্রথম এই নির্দেশিকা জারি হতে চলেছে। জেলার পাম্প মালিকদের কাছে এই নির্দেশিকা পাঠিয়েছেন খোদ জেলাশাসক।

গতকাল সোমবার এ বিষয় নিয়ে নিজের দন্তরে বৈঠক ডেকেছিলেন জেলাশাসক। বৈঠকে ডাকা হয়েছিল পেট্রল পাম্প ডিলার্স অ্যাসোসিয়েশন, পাম্প মালিক, তেল সংস্থার প্রতিনিধি, পুলিশ ও মোটর ভেহিকলস দপ্তরের প্রতিনিধিদের। বৈঠকের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী হেলমেট ছাড়া দু`চাকার বাহন চালালে ১৯৮৮-র মোটর ভেহিকলস আইনের ১২৯ ধারায় মামলা হবে।

তবে এই নির্দেশিকা নিয়ে মিশ্র প্রতিক্রিয়া পাওয়া গিয়েছে জেলায়। এক দিকে যেমন অনেকেই মনে করছেন এর ফলে দুর্ঘটনার প্রবণতা কমবে, তেমনই অনেক পেট্রল পাম্প মালিকদের আবার ধারণা, এর ফলে হয়রানি বাড়বে, পেট্রল পাম্পে ঝামেলা লেগে থাকবে।

পেট্রোল পাম্প ডিলার্স অ্যাসোসিয়েশনের শিল্পাঞ্চলের সভাপতি বিশ্বদীপ চক্রবর্তী বলছেন, উদ্যোগ ভালো। কিন্তু পাম্প মালিকদের উপর ছেড়ে দিলে বিষয়টি কার্যকরী করা সম্ভব হবে না। পাম্পে ওই নির্দেশ কার্যকরী হয়েছে কি না তা দেখার জন্য সরকারি লোক থাকা দরকার।

বিশিষ্ট অটোপসি সার্জেন ডা. এস এন বন্দ্যোপাধ্যায় বলছেন, বছরে অন্তত ১৫০০ দুর্ঘটনায় অন্তত ২০০ জন বাইক আরোহী বা গাড়িচালকের মৃত্যু ঘটে আসানসোল-দুর্গাপুর শিল্পাঞ্চলে। জেলাশাসকের এই নির্দেশ যদি ঠিকঠাক পালন করা যায় তাহলে পথ দুর্ঘটনায় মৃত্যুর গ্রাফ নীচের দিকে নেমে যাবে।

জেলাশাসকের এই উদ্যোগকে স্বাগত জানিয়েছেন আসানসোলের বিধায়ক তাপস বন্দ্যোপাধ্যায় ও দুর্গাপুরের বিধায়ক অপূর্ব মুখোপাধ্যায়। তারা বলছেন, বর্ধমান জেলা সবক্ষেত্রে অগ্রণী। জেলাশাসকের প্রচেষ্টায় আমরা সবাই পাশে থাকব।

আরএস/আরআই