পর্যটক টানতে নতুন পর্যটন নীতি পশ্চিমবাংলায়
পর্যটক টানতে এবার নতুন পর্যটন নীতি বাস্তবায়নের পদক্ষেপ নিতে যাচ্ছে ভারতের পশ্চিমবাংলা রাজ্য সরকার। নতুন এ নীতির আওতায়, রাজ্যের পর্যটন দফতর দেশি-বিদেশি ভ্রমণ পিপাসুদের জন্য ‘হোম স্টে’ সুবিধা বাস্তবায়নের সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
পর্যটন দফতর বলছে, যিনি নিজের বাড়িতে পর্যটক রাখবেন, তাকে ৬৬ হাজার টাকা দেবে রাজ্য সরকার। শৌচাগার তৈরির জন্য দেয়া হবে এই অর্থ। দেশ-বিদেশের পর্যটকরা যাতে রাজ্যে এসে সেবা সম্পর্কিত কোনো ধরনের ঝামেলায় না পড়েন; সে কারণে পেশাদারিত্ব বাড়াতে উৎসাহী ব্যক্তিদের জন্য প্রশিক্ষণেরও ব্যবস্থা করবে রাজ্য সরকার। ‘হোম স্টে’ সেবা ঢেলে সাজাতে রাজ্য সরকার আগামী বছরের শুরুর দিকে নতুন পর্যটন নীতি আনছে।
বর্তমানের রাজ্যের উত্তরাঞ্চলের কয়েকটি জায়গায় বিক্ষিপ্তভাবে ‘হোম স্টে’ সেবা চালু আছে। বিশ্বের বিভিন্ন দেশে পর্যটকদের জন্য এ সেবা অত্যন্ত জনপ্রিয়। যে বাড়িতে কোনো ব্যক্তি বসবাস করেন, তিনি বাড়ির একটি অংশকে পর্যটক থাকার জন্য ভাড়া দেবেন। ওই পর্যটককে রাখা, খাওয়ানো এবং পর্যটনে সাহায্য করাই হবে গৃহকর্তার অন্যতম উদ্দেশ্য।
রাজ্যে যাতে পর্যটনের এই আঙ্গিকটি জনপ্রিয় হয় সে লক্ষ্যে খসড়া বিল তৈরি করেছে রাজ্য পর্যটন দফতর। মন্ত্রিসভায় পাশ হলে, আগামী বছরের ১ জানুয়ারি থেকে তা রাজ্যজুড়ে কার্যকর হবে। ২০২২ সালের মার্চ পর্যন্ত কার্যকর থাকবে নতুন এ নীতিমালা। তবে যিনি হোম স্টে দিতে রাজি হবেন, তাকে নতুন করে কোনো আর্থিক সুবিধা দেওয়া যায় কি না, তা দু’বছর পর পর্যালোচনা করে দেখবে পর্যটন দফতর। গোটা রাজ্যে এই নীতি চালু হলেও আপাতত দার্জিলিং, ডুয়ার্স, জঙ্গলমহল, মুর্শিদাবাদ, মালদহ বা সুন্দরবনে সবার আগে এই সেবা চালু করতে চায় রাজ্য সরকার।
কেন রাজ্য সরকার এই পথে হাঁটছে? দফতরের এক কর্মকর্তা বলেছেন, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যখন ক্ষমতায় আসেন, তখন রাজ্যে পর্যটক আগমনের সংখ্যা ছিল ২ কোটি ৩৪ লক্ষ ৬০ হাজার। গত বছর সেই সংখ্যা পৌঁছেছে ৭ কোটি ১৬ লক্ষ ৭০ হাজারে। অর্থাৎ রাজ্যে পর্যটক সংখ্যা কয়েক গুণ বেড়েছে।
কিন্তু সেই তুলনায় পর্যাপ্ত বে-সরকারি ও সরকারি হোটেল বা লজ নেই। এ ছাড়া পেশাদারিত্বের সংকটও রয়েছে। এ সমস্যা কাটাতেই ‘হোম স্টে’ সেবাকে বিশেষভাবে গুরুত্ব দিচ্ছে রাজ্য সরকার।
এসআইএস