মিসরে ঢুকতে দেয়া হয়নি ওসামার ছেলেকে
সাবেক আল কায়েদা প্রধান ওসামা বিন লাদেনের ছেলে ওমার বিন লাদেনকে মিসরে ঢুকতে দেয়া হয়নি। রোববার বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষ তার মিসরে প্রবেশে বাধা দিয়েছে। খবর রয়টার্সের।
মিসরে প্রবেশ নিষেধ এমন তালিকায় ওমারের নাম রয়েছে। এ কারণেই তার ওপর এমন নিষেধাজ্ঞা। তবে ওই তালিকায় ওমারের নাম কি করে এলো সে বিষয়ে বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষ কোনো তথ্য দিতে পারেনি।
ওমারের বয়স ৩৪ বছর। তিনি ওসামার চতুর্থ সন্তান ছিলেন। বাবা কুখ্যাত জঙ্গি ছিলেন আর সেকারণেই আজও তার খেসারত দিতে হচ্ছে তাদের। শনিবার স্ত্রী জেইনা আল সাবার সঙ্গে দোহা থেকে মিসরের উদ্দেশে রওনা দিয়েছিলেন ওমার। কায়রো আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে নামতেই বিপত্তিতে পড়তে হয়েছে তাদের।
বিমানবন্দরে ওমারের পাসপোর্ট দেখে নিরাপত্তারক্ষীরা তাকে আটক করেন। তাকে বলা হয় যে, তার নাম দেশে প্রবেশে নিষিদ্ধ ব্যক্তিদের তালিকায় রয়েছে। তাই বিমানবন্দর থেকে বেরোতে পারবেন না তিনি। কারণ জানতে চাইলে উপযুক্ত কোনো জবাবও মেলেনি। উল্টে এক রকম জোর করেই তাদের তুরস্কে পাঠিয়ে দেওয়া হয়।
এর আগেও একবার মিসরে হেনস্থা হতে হয়েছিল তাদের। শুধু মিসরেই নয় ব্রিটেনে প্রবেশের অনুমতিও পাননি ওমার। ব্রিটিশ নাগরিক স্ত্রী জেইনার সঙ্গে ব্রিটেনে থাকতে চাইলেও তার আবেদন খারিজ করে দেওয়া হয়। তাকে ব্রিটেনে থাকার অনুমতি দিলে সাধারণ মানুষ বিক্ষোভ দেখাতে পারেন বলেও উল্লেখ করা হয়।
তবে ইউরোপীয় ইউনিয়নের বাকি দেশগুলিতে প্রবেশের অনুমতি পেয়েছেন তিনি। বারবার হেনস্থার শিকার হয়ে কয়েক বছর আগে নিজে থেকেই এগিয়ে আসেন ওমার। সংবাদমাধ্যমকে জানিয়েছিলেন, লাদেনের ছেলে মানেই কি সন্ত্রাসবাদী? পুরনো ধ্যান ধারণা ত্যাগ করতে হবে। সন্ত্রাসবাদের সঙ্গে কোনো ভাবেই সম্পৃক্ত নন বলেও দাবি করেন ওমার।
সংবাদ সম্মেলনে তিনি জানিয়েছিলেন, ১৯৯৬ সাল থেকে কিছু বছর আফগানিস্তানে কাটিয়েছিলেন তিনি। কিন্তু ২০০০ সালের পর বাবার সঙ্গে কোনও সম্পর্ক ছিল না তার। ভাই-বোনদের কেউই আল কায়দার সঙ্গে যুক্ত নয়। তা সত্ত্বেও কুখ্যাত বাবার সন্তান হওয়ার মাসুল গুনতে হচ্ছে তাদের।
টিটিএন/এমএস