প্রাচীন ইসলামি বিশ্ববিদ্যালয় ধ্বংস করছে মিয়ানমার সীমান্তরক্ষীরা
মিয়ানমারের মংডুতে দেশটির প্রাচীন একটি ইসলামি বিশ্ববিদ্যালয় ধ্বংস করছে দেশটির আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা। শনিবার মিয়ানমারের সীমান্তরক্ষী বাহিনী বর্ডার গার্ড পুলিশ (বিজিপি) সদস্যরা দক্ষিণাঞ্চল মংডুর নুরুল্লাহ গ্রামের ইসলামিক ইউনিভার্সিটি গুঁড়িয়ে দেয়ার কাজ শুরু করেছে। বিশ্বস্ত সূত্রের বরাত দিয়ে রোহিঙ্গা ভিশন এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে।
ওই সূত্র বলছে, বিজিপির সদস্যরা শনিবার বেলা ১১টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাচীর ভাঙতে শুরু করেছে এবং এখনো তা অব্যাহত রয়েছে। এ ছাড়া ওই এলাকার আরো বেশ কিছু মসজিদ ও বিশ্ববিদ্যালয় ভবন ধ্বংসেরও হুমকি দিয়েছে মিয়ানমার সীমান্তরক্ষী বাহিনী।
ম্যাগ্গি ক্যাম্পের বিজিপির কমান্ডার ও তার দল শনিবার সকালে নুরুল্লাহ গ্রামে পৌঁছে ৪০ জন শ্রমিককে ভাঙচুরের কাজে বাধ্য করে। এ সময় গ্রামের প্রশাসক ৩০ জনকে নিয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছালে তাদেরও ভবন ধ্বংসের কাজে অংশ নিতে নির্দেশ দেয়া হয়।
স্থানীয় এক রোহিঙ্গা মুসলিম বলেন, বিজিপির কমান্ডার বলেছেন, আপনাদের খালি হাতে এখানে আসা উচিত হয়নি। বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাচীর গুঁড়িয়ে দেয়ার জন্য ফিরে যান এবং হাতুড়িসহ অন্যান্য অস্ত্র নিয়ে আসেন। পরে রোহিঙ্গারা পুলিশের এই কর্মকর্তার নির্দেশনা বাস্তবায়নে অনীহা জানালে তিনি বলেন, তোমাদের কাজ করতে হবে না, তোমরা শুধুমাত্র ছবি তুলতে পারো।
রোহিঙ্গা ভিশন বলছে, গত ৯ অক্টোবর রাখাইনের নিরাপত্তা চৌকিতে হামলার অভিযোগে এখন পর্যন্ত পাঁচ শতাধিক বেসামরিক রোহিঙ্গাকে হত্যা করেছে বিজিপি। এ ছাড়া এক হাজারেরও বেশি রোহিঙ্গাকে আটক ও শতাধিক নারীকে ধর্ষণ করেছে নিরাপত্তা বাহিনী। দেশটির উত্তরাঞ্চলের মংডুতে সাম্প্রতিক অভিযানে সাড়ে তিন হাজারেরও বেশি বাড়িঘর ধ্বংস করেছে সেনাবাহিনী। ৫০ হাজার রোহিঙ্গা মুসলিম গৃহহীন হয়ে পড়েছেন।
এসআইএস