ভিডিও EN
  1. Home/
  2. আন্তর্জাতিক

রোহিঙ্গা মুসলিমের ঢেউ আছড়ে পড়ছে বাংলাদেশের দিকে

প্রকাশিত: ০৩:৪১ পিএম, ২২ নভেম্বর ২০১৬

মিয়ানমারের রাখাইন প্রদেশে দেশটির সেনাবাহিনীর ব্যাপক অভিযানের মুখে শত শত রোহিঙ্গা মুসলিম দেশ ছেড়ে পালাচ্ছেন। সীমান্তবর্তী নাফ নদী পার হয়ে মিয়ানমারের এসব রোহিঙ্গা মুসলিমের ঢেউ আঁছড়ে পড়ছে বাংলাদেশের দিকে। সীমান্তরক্ষী বাহিনী বিজিবি বলছে, গত রাতে বাংলাদেশে প্রবেশের চেষ্টার সময় রোহিঙ্গা মুসলিমদের বহনকারী প্রায় ২০টি নৌকাকে মিয়ানমারের দিকে ফিরিয়ে দেয়া হয়েছে।

টেকনাফ থেকে বিজিবির লেফটেন্যান্ট কর্নেল আবুজার আল জাহিদ বিবিসিকে বলেন, নাফ নদী সংলগ্ন বাংলাদেশ-মিয়ানমার সীমান্তে গত রাতে ৬টি পয়েন্টের প্রত্যেকটিতে দুই থেকে তিনটি; কোনো কোনো ক্ষেত্রে চারটি পর্যন্ত নৌকা অনুপ্রবেশের চেষ্টা করেছিল। পরে বিজিবি সদস্যরা সেসব নৌকা ফিরিয়ে দিয়েছেন।

migrants

বিজিবির এই কর্মকর্তা বলেছেন, নৌকার আরোহীরা পরবর্তীতে মিয়ানমারে ফেরত গেছে। এসব নৌকায় প্রায় ১৫০ জন রোহিঙ্গা ছিল। এ ছাড়া মিয়ানমার-বাংলাদেশ সীমান্তে আরেকটি জায়গায় ৮৬ রোহিঙ্গাকে পুশব্যাক করা হয়েছে।

বাংলাদেশ কর্তৃপক্ষ বলছে, অনুপ্রবেশ ঠেকাতেই এ পদক্ষেপ নেয়া হচ্ছে। সীমান্তরক্ষী বাহিনী এবং কোস্টগার্ডকে এ জন্য উচ্চ সতর্কাবস্থায় রাখা হয়েছে। গত কয়েকদিনে শত শত রোহিঙ্গা মিয়ানমার থেকে পালিয়ে বাংলাদেশে ঢুকেছে। মিয়ানমারে চলমান সহিংসতায় দেশটির গণতন্ত্রপন্থী নেত্রী ও ক্ষমতাসীন এনএলডির প্রধান অং সান সু চি নীরব ভূমিকা পালন করায় ব্যাপক সমালোচনার মুখে পড়েছেন। ইতোমধ্যে সূচির শান্তির নোবেল কেড়ে নেয়ার দাবিতে হাজার হাজার মানুষ একটি অনলাইন পিটিশনে সাক্ষর করেছেন। 

migrants

কর্নেল আবুজার আল জাহিদ বলেন, তারা অবৈধ অনুপ্রবেশ ঠেকানোর জন্য সতর্কাবস্থায় আছেন। কিন্তু তার পরও দীর্ঘ এই সীমান্তে ফাঁকফোকর গলে কেউ ঢুকছে না; এটা নিশ্চিতভাবে বলা যাবে না। সপ্তাহখানেক সময়ের মধ্যে প্রতিদিনই ১৫-২০টি করে নৌকা ফেরত পাঠানো হচ্ছে।

তারা সবাই মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যের সহিংস পরিস্থিতি থেকে আত্মরক্ষার জন্য পালিয়ে আসছে। এই রাজ্যে এক আক্রমণে কয়েকজন সীমান্তরক্ষী সেনা নিহত হওয়ার পর মিয়ানমারের সেনাবাহিনী রোহিঙ্গা এলাকাগুলোতে অভিযান শুরু করে। এতে এখন পর্যন্ত ১৩০ রোহিঙ্গা মুসলিমকে গুলি চালিয়ে হত্যা করেছে দেশটির সেনাবাহিনী। এ ছাড়া গৃহহীন হয়ে পড়েছে আরো অন্তত ৩০ হাজারেরও বেশি রোহিঙ্গা।

এসআইএস/আরআইপি

আরও পড়ুন