রোহিঙ্গারা বাংলাদেশে ঢোকার চেষ্টা করেনি : মিয়ানমার
নিজ দেশে সংঘর্ষের জেরে মিয়ানমারের রোহিঙ্গা মুসলিমরা বাংলাদেশের অনুপ্রবেশের চেষ্টা করছে বলে বাংলাদেশের সীমান্ত রক্ষী বাহিনী (বিজিজি) যে তথ্য দিয়েছে তা সত্য নয় বলে দাবি করেছে মিয়ানমার।
মিয়ানমারের রাষ্ট্রায়ত্ত্ব সংবাদপত্রে এ দাবি করা হয়েছে। খবর রয়টার্সের।
তবে গত ১৯ নভেম্বর বিবিসির খবর ছিল, প্রাণ ভয়ে ভীত শতাধিক রোহিঙ্গা নারী-শিশুকে ‘পুশব্যাক’ করেছে বাংলাদেশ।
রয়টার্সের খবরে বলা হয়েছে, মিয়ানমারের রাষ্ট্রায়ত্ত্ব গ্লোবাল নিউ লাইট দাবি করেছে, সদ্য গঠিত একটি টাস্কফোর্স খবরের সত্যতা পায়নি।
বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের (বিজিবি) এক কমান্ডিং অফিসার জানিয়েছেন, শুক্রবার তাদের লোকজন ৮২ জনকে খাবার এবং ওষুধ সরবরাহ করেছেন। এদের মধ্যে বহু নারী এবং শিশু ছিল। এরা সবাই মিয়ানমার থেকে পালিয়ে বাংলাদেশে ঢোকার চেষ্টা করছিল। এদের সবাইকে সীমান্ত থেকেই ফেরত পাঠানো হয়েছে।
এর আগে মঙ্গলবার ৮৬ জন লোক নিয়ে দু’টি নৌকা বাংলাদেশে প্রবেশের চেষ্টা করলে তাদেরও ফেরত পাঠানো হয়।
রয়টার্সের এক খবরে বলা হয়েছে, শুক্রবার প্রায় ২শ’ রোহিঙ্গা মুসলিম মিয়ানমার থেকে বাংলাদেশে প্রবেশের চেষ্টা করলে তাদের আটক করে বিজিবি ফেরত পাঠিয়েছে এমন খবর সত্যি নয়।
গত ৯ অক্টোবর বিচ্ছিন্নতাবাদীদের হাতে সীমান্ত পুলিশ নিহত হওয়ার পর বাংলাদেশের সঙ্গে সীমান্তের রাখাইন রাজ্যের রোহিঙ্গা অধ্যুষিত এলাকাগুলোতে অভিযান শুরু করে মিয়ানমারের সেনাবাহিনী। এরপর থেকেই রোহিঙ্গা মৃত্যুর খবর পাওয়া যাচ্ছে।
সহিংসতা শুরু হওয়ার পর থেকে ৬৯ সন্দেহভাজন বিদ্রোহী এবং নিরাপত্তাবাহিনীর ১৭ সদস্য নিহত হয়।
রোহিঙ্গা মুসলিমদের ওপর ব্যাপক নির্যাতন চালাচ্ছে সেনাবাহিনী। গত কয়েকদিনের সহিংস ঘটনায় এখন পর্যন্ত ১৩০ জনের প্রাণহানি ঘটেছে। সাড়ে তিন হাজার বাড়িঘর আগুন দিয়ে পুড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। ঘরবাড়ি হারিয়েছে ত্রিশ হাজারেরও বেশি মানুষ। তবে এই ঘটনা অস্বীকার করেছে মিয়ানমার।
এদিকে, জাতিসংঘের শরণার্থী বিষয়ক সংস্থা বাংলাদেশের সীমান্ত খুলে দেওয়ার আহ্বান জানিয়েছে।
এনএফ/ টিটিএন/এমএস