গাজা থেকে সেনা প্রত্যাহারের ঘোষণা ইসরায়েলের
গাজা থেকে সকল সেনা প্রত্যাহারের ঘোষণা দিয়েছে ইসরায়েল। ইসরায়েলের এক সেনা কর্মকর্তার বরাত দিয়ে এ খবর প্রকাশ করেছে বিবিসি। প্রায় একমাসের টানা হামলায় প্রায় দুহাজার মানুষ হত্যার পর তারা এ ঘোষণা দিল।
এর আগে মিশরের প্রস্তাব অনুযায়ী গাজায় ৭২ ঘণ্টার যুদ্ধবিরতিতে সম্মত হয় ইসরাইল ও হামাস। মঙ্গলবার সকাল থেকে এই যুদ্ধবিরতি কার্যকর হয়েছে বলে জানা গেছে।
ইসরাইলের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, কোন পূর্বশর্ত ছাড়াই তারা মিশরের প্রস্তাব গ্রহণ করেছে, এবং তারা কায়রোতে একটি প্রতিনিধিদল পাঠাবে।
এদিকে মিশর জানায়, এই যুদ্ধবিরতি গাজায় সংঘাত অবসান ও স্থায়ী সমাধানের পথে একটি গুরুত্বপূর্ণ অগ্রগতি।
মঙ্গলবার স্থানীয় সময় সকাল ৮টার দিকে গাজায় ইসরাইল ও হামাসের মধ্যে যে যুদ্ধবিরতি শুরু হওয়ার কথা রয়েছে, সেটি শুরু হওয়ার আগেই ইসরাইলী বাহিনীগুলোকে গাজা থেকে সরিয়ে নেয়া হবে বলে সাংবাদিকদের জানিয়েছেন লেফটেন্যান্ট কর্নেল পিটার লার্নার।
সংবাদমাধ্যমগুলোর সূত্র উল্লেখ করে বিবিসি জানিয়েছে, গাজায় ইসরাইলের আক্রমণের প্রধান যে উদ্দেশ্য ছিল- হামাসের তৈরি করা সামরিক সুড়ঙ্গগুলো ধ্বংস করা- তা এরই মধ্যে অর্জিত হয়েছে।
গাজার সরকারি কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, গত চার সপ্তাহের এই সংঘাতে ফিলিস্তিনের ১৮ শতাধিক নাগরিক এবং প্রায় ৬৭ জন ইসরাইলী নিহত হয়েছে। যদিও হামাস ১০০’র অধিক ইসরায়েলি সৈন্য হত্যার দাবি করেছে।
ইসরায়েল নিরীহ নারী, শিশু ও বৃদ্ধদের হত্যা করে বিশ্বব্যাপী শুধু নিন্দাই কুড়িয়েছে। মিশর, লেবানন, হেজবুল্লাহ ও হামাসের সঙ্গে কোন পূর্ববর্তী যুদ্ধে ইসরায়েলর এত সেনা নিহত হয়নি। তাই প্রকৃতপক্ষে এটা ইসরাইলেরই পরাজয় বলে মনে করছেন বিশ্লেষকরা।