‘সর্বোচ্চ সতর্ক অবস্থায় পাক সেনাবাহিনী’
পাকিস্তানের ভেতরে ভারতের হামলার হুমকির পর সর্বোচ্চ সতর্ক অবস্থায় রয়েছে পাকিস্তান সেনাবাহিনী। দেশটির সেনাবাহিনীর জ্যেষ্ঠ এক কর্মকর্তা বলেছেন, গত কয়েকদিন ধরে সতর্ক অবস্থার স্তরে কোনো পরিবর্তন আনা হয়নি।
তিনি জোর দিয়ে বলেছেন, সম্প্রতি ভারতের কাছ থেকে হুমকি পাওয়ার পর সর্বোচ্চ সতর্ক থেকে অনুশীলন চালিয়ে যাচ্ছে সেনাবাহিনী। শিগগিরই এই অনুশীলনের বিষয়ে বিস্তারিত তথ্য জানানো হবে।
এদিকে বুধবার পাকিস্তানের উত্তরাঞ্চলে বিমান চলাচল বাতিল করা হয়েছে। এ ছাড়া ওই অঞ্চলে পাক বিমান বাহিনীর যুদ্ধবিমান অনুশীলন করছে বলে গুজবও ছড়িয়ে পড়েছে। ভারতের সম্ভাব্য হামলা মোকাবেলায় পাক সামরিক বাহিনীর প্রস্তুতির গুজবে দেশটির শেয়ার মার্কেটে ধস নেমেছে।
পাকিস্তানের উত্তরাঞ্চলে সামরিক বাহিনীর অনুশীলনের খবর এমন এক সময় এল যখন দুই পারমাণবিক অস্ত্রধারী দেশের মাঝে ভারত নিয়ন্ত্রিত কাশ্মিরের একটি সেনা ঘাঁটিতে সন্ত্রাসী হামলায় ভারতীয় ১৮ সেনার প্রাণহানির পর বাকযুদ্ধ ছড়িয়ে পড়েছে। এ নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ও মূল ধারার গণমাধ্যমেও হামলা পাল্টা-হামলার পক্ষে বিপক্ষে আলোচনা চলছে।
পাকিস্তানের উত্তরাঞ্চলের আকাশসীমা ও এমওয়ান এবং এমটু মোটর যান চলাচলে বন্ধ করে দেয়া হয়েছে। আকাশসীমায় নিষেধাজ্ঞা আরোপের কারণে উত্তর পাকিস্তানের বিভিন্ন শহরগামী ফ্লাইট বাতিল করেছে সংস্থাটি। পাক-অধিকৃত কাশ্মিরের গিলগিট-বাল্টিস্তান অঞ্চলের গিলগিট ও স্কার্দুগামী ফ্লাইট বাতিল করা হয়েছে। একইভাবে খাইবার-পাখতুনখাওয়া প্রদেশের চিত্রালের বিমানও বাতিল করেছে কর্তৃপক্ষ।
পিআইএ’র এক মুখপাত্র সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম টুইটারে দেয়া এক পোস্টে জানান, বেসামরিক বিমান পরিবহন সংস্থার নির্দেশিকা অনুযায়ী উত্তরের আকাশসীমা বুধবার বন্ধ রাখা হয়েছে। এ জন্য ক্ষমাপ্রার্থনাও করেছে সংস্থাটি। তবে এর কোনো কারণ জানাননি তিনি।
পাকিস্তানের বেসরকারি টেলিভিশনের খবরে বলা হচ্ছে, ভারতের সম্ভাব্য হামলা ঠেকাতে এ পদক্ষেপ নেয়া হয়েছে। উত্তরাঞ্চলের রাস্তার ধারে যুদ্ধবিমান অবতরণ করছে। সেনাবাহিনীর ঊর্ধ্বতন এক কর্মকর্তা বলেন, নিয়মিত অনুশীলনের অংশ হিসেবে এসব যুদ্ধবিমান অবতরণ করছে। প্রতি ৫ বছর অন্তর বড় ধরনের অনুশীলন করে পাক বিমান বাহিনী; এর প্রস্তুতি নিতে এক মাস সময় প্রয়োজন হয়।
সূত্র : ডন, এক্সপ্রেস ট্রিবিউন।
এসআইএস/এবিএস