ভিডিও EN
  1. Home/
  2. আন্তর্জাতিক

শরণার্থী নীতির কারণে দেশে জনপ্রিয়তা হারাচ্ছেন মেরকেল

প্রকাশিত: ০৫:৩৬ এএম, ০৪ সেপ্টেম্বর ২০১৬

শরণার্থী নীতির কারণে দেশে জনপ্রিয়তা হারাচ্ছেন জার্মানির চ্যান্সেলর অ্যাঙ্গেলা মেরকেল। উত্তর-পূর্ব জার্মান প্রদেশের নির্বাচনে চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হতে যাচ্ছেন মেরকেল। শরণার্থী ও অভিবাসী নীতির কারণেই তাকে কঠিন পরীক্ষার মুখোমুখি হতে হবে। খবর বিবিসির।

শরণার্থী নীতিতে বিরোধীতা করা অলটারনেটিভ ফুয়ের ডয়েসল্যান্ড (এএফডি) পশ্চিম পোমেরানিয়ার মেকলেনবার্গের নির্বাচনে মেরকেলের চেয়ে ভোটে এগিয়ে থাকতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে। সামনের বছরের জাতীয় নির্বাচনেও মেরকেল পিছিয়ে পড়তে পারেন।

যুদ্ধবিধ্বস্ত দেশগুলো থেকে আসা শরণার্থীরা জার্মানিতে এখনও বড় একটি রাজনৈতিক ইস্যু। গত বছর জার্মানিতে শরণার্থীদের স্থান দেয়ার ঘোষণা দিয়েছিলেন মেরকেল। এরপর থেকে নিরাপত্তা, সামাজিক মূল্যবোধের ওপর শরণার্থীদের প্রভাব নিয়ে মেরকেলের বিরোধীরা প্রচারণা চালিয়ে যাচ্ছে।

আগে যারা শরণার্থীদের জার্মানিতে আগমনের বিষয়ে সমর্থন দিয়েছেন তাদের মধ্যেই অনেকেও এখন প্রশ্ন তুলছেন এর দীর্ঘমেয়াদী প্রভাব নিয়ে। শরণার্থীদের আশ্রয় দেয়ার কারণে দেশে অনেক পরিবর্তন এসেছে।

শহরের উপকণ্ঠে শরণার্থীদের জন্য নতুন ঘর তৈরি করছেন শ্রমিকরা। এই শহরে প্রায় ৪শ’ শরণার্থীকে আশ্রয় দেয়া হবে। শরণার্থী বিষয়ে মেরকেল ঘোষণা দিয়েছিলেন, আমরা পারবো। জার্মানি জার্মানিই থাকবে।

যদিও এখানে অনেকেই মেরকেলের কথায় আশ্বস্ত নন। এ বিষয়ে আবেনসবার্গের মেয়র উবার ব্রেন্ডলে বলেন, যদি শরণার্থীদের সংখ্যা আরো কিছুটা বৃদ্ধি পায়, তাহলেও এই সমাজে অনেক পরিবর্তন আসবে। এটা আমাদের জন্য গ্রহণ করা কঠিন। আমি মনে করি অ্যাঙ্গেলা মেরকেল মানবিক দিক বিবেচনা করে গত বছর একটি কথা বলেছিলেন। আমার মনে হয় না আজ তিনি সেই কথা বলতেন।

সামাজিক পরিবর্তন নিয়ে জার্মানিতে একটি অস্বস্তি কাজ করছে। এর সঙ্গে যোগ হয়েছে তথাকথিত আইএস দ্বারা উদ্বুদ্ধ শরণার্থীদের দ্বারা সন্ত্রাসী হামলার ঘটনা।

এ সম্পর্কে মেকলেনবার্গের এক ফল ব্যবসায়ী বলেন, জার্মানরা শরণার্থীদের সাহায্য করতে চায়, তবে তাদের মধ্যে একটি নিরাপত্তাহীনতা কাজ করছে।

আগামী বছর এখানে একটি সাধারণ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবার কথা রয়েছে। মেরকেলের রক্ষণশীল দল খুব দ্রুতই শরণার্থীবিরোধী ডানপন্থী দলের কাছে ভোট হারাচ্ছে।

সমর্থন ধরে রাখার জন্য মেরকেলকে জার্মানদের কাছে অন্তত দুটো বিষয় প্রমাণ করতে হবে। একটি হচ্ছে, তিনি দীর্ঘমেয়াদে শরণার্থীদের আগমন নিয়ন্ত্রণ করতে পারবেন এবং দ্বিতীয়ত, তিনি জার্মানিকে নিরাপদ রাখতে পারবেন।

টিটিএন/পিআর

আরও পড়ুন