স্বাধীন ফিলিস্তিন রাষ্ট্র চায় ৫৩ শতাংশ ইসরায়েলি নাগরিক
ইসরায়েলের পাশে ফিলিস্তিনি রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠায় শান্তিপূর্ণ নিষ্পত্তি চায় দুই দেশের প্রায় সমানসংখ্যক নাগরিক। দীর্ঘদিনের সংঘাত ও আলোচনার অচলাবস্থার মধ্যেও দুই দেশের নাগরিক ওই নিষ্পত্তি চায় বলে সোমবার প্রকাশিত এক জরিপে উঠে এসেছে।
দুই দেশের যৌথ এক জরিপের এ ফলাফল ফিলিস্তিনি-ইসরায়েলি সংঘাতের শান্তিপূর্ণ অবসানের আশার সঞ্চার করেছে। উভয় দেশের সংঘাত নিরসনে আলোচনার সর্বশেষ উদ্যোগ দুই বছর আগে ভেস্তে যায়।
ইসরায়েলের রাজনৈতিক বিশ্লেষক তামার হার্মান এবং ফিলিস্তিনি জরিপকারী খলিল শিকাকি যৌথভাবে দুই দেশের নাগরিকদের মাঝে ওই জরিপ পরিচালনা করেছেন। তবে জরিপের ফলাফল উৎসাহব্যঞ্জক না হলেও নিরাশা হওয়ার মতো নয় বলে মন্তব্য করেছেন তারা।
এ দুই জরিপকারী বলেন, ‘সেখানে সঠিক নেতৃত্ব নিয়ে এখনো লোকজনের মাঝে দৃঢ় আশা রয়েছে। তবে দুই দেশের নেতাদের মাঝে আলোচনার তীব্র ইচ্ছা নেই। যদিও এটি অসম্ভব নয়’।
জরিপের ফলাফলে দেখা যাচ্ছে, ফিলিস্তিনি ৫১ ও ইসরায়েলি ৫৯ শতাংশ নাগরিক ইসরায়েল-ফিলিস্তিন সংঘাতের দ্বি-রাষ্ট্রীয় সমাধানের পক্ষে তাদের সমর্থন জানিয়েছেন। তবে জরিপে অংশ নেয়া ইসরায়েলিদের মধ্যে ৫৩ শতাংশ ইহুদি ধর্মাবলম্বী স্বাধীন ফিলিস্তিন রাষ্ট্রের প্রতিষ্ঠার পক্ষে সমর্থনের কথা জানিয়েছেন। ইসরায়েলে বসবাসকারী সংখ্যালঘু ৮৭ শতাংশ আরবীয় ফিলিস্তিন রাষ্ট্রের প্রতিষ্ঠা চায়।
বিপরীতে মাত্র ৩৪ শতাংশ ফিলিস্তিনি ও ২০ শতাংশ ইসরায়েলি একক রাষ্ট্র গঠনকে সমর্থন করেছে। দুই দশক ধরে ব্যর্থ শান্তি প্রচেষ্টা ও এক বছর ধরে চলমান সহিংসতার পর একে অপরকে অবিশ্বাসের মাত্রা বৃদ্ধি পেয়েছে।
জরিপে ফলাফলে দেখা যায়, ফিলিস্তিনিদের ৮৯ শতাংশ মনে করেন, ইসরায়েলি ইহুদিরা অবিশ্বাসী; যেখানে ৬৮ শতাংশ ইসরায়েলি ফিলিস্তিনিদের সম্পর্কে একই ধরনের বিশ্বাস পোষণ করেন। এ ছাড়া ফিলিস্তিনিদের ভয় করে ৬৫ শতাংশ ইসরায়েলি, বিপরীতে ইসরায়েলিদের ভয় করে ৪৫ শতাংশ ফিলিস্তিনি।
হারম্যান বলেন, ইসরায়েলি নাগরিকদের ভীতি নিয়ে তিনি বিস্মিত। তিনি বলেন, ফিলিস্তিনিদের সঙ্গে অনেক ইসরায়েলির যোগাযোগ নেই। সাম্প্রতিক কিছু সহিংসতার ঘটনা ইসরায়েলি সমাজকে নাড়িয়ে দিয়েছে।
গত জুনে ইসরায়েলের ১১৮৪ ও ফিলিস্তিনের ১২৭০ নাগরিকের ওপর ওই জরিপ পরিচালনা করেছেন তামার হার্মান এবং খলিল শিকাকি। তামার হার্মান ইসরায়েল ডেমোক্রেসি ইন্সটিটিউটের জ্যেষ্ঠ ফেলো ও শিকাকি প্যালেস্টানিয়ান সেন্টার ফর পলিসি অ্যান্ড সার্ভে রিসার্চের কাজ করছেন।
সূত্র : এপি।
এসআইএস/এবিএস