ভিডিও EN
  1. Home/
  2. আন্তর্জাতিক

ভারতে অ্যামনেস্টির অফিস বন্ধ

প্রকাশিত: ০৬:৩৫ এএম, ১৮ আগস্ট ২০১৬

আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংগঠন অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনালের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রদ্রোহের অভিযোগে বিক্ষোভ হওয়ায় দেশটিতে সাময়িকভাবে এর অফিস বন্ধ করে দেয়া হয়েছে। সংগঠনটির এক মুখপাত্র জানিয়েছেন, কর্মীদের নিরাপত্তার বিষয়টি বিবেচনা করে ব্যাঙ্গালুরু, পুনে, নয়াদিল্লি ও চেন্নাইসহ সব অফিস বন্ধের পর অনুষ্ঠানও বাতিল করা হয়েছে।

অ্যামনেস্টি ইন্ডিয়ার বিরুদ্ধে কাশ্মীরের মানবাধিকার পরিস্থিতি নিয়ে এক সেমিনারে ভারতবিরোধী বক্তব্য ও স্লোগান দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। দেশটির ক্ষমতাসীন ভারতীয় জনতা পার্টির (বিজেপি) ছাত্র সংগঠন অখিল ভারত বিদ্যার্থী পরিষদ (এভিবিপি) অ্যামনেস্টির বিরুদ্ধে মঙ্গল ও বুধবার দফায় দফায় বিক্ষোভ করেছে। এভিবিপির অভিযোগ, বেআইনিভাবে লোক জমায়েতের পর দাঙ্গা বাধানোর চেষ্টা করেছে অ্যামনেস্টি।

পুলিশ বলছে, সেমিনারে ভারতবিরোধী বক্তব্য দেয়া হয়েছিল কিনা সে বিষয়ে তদন্ত শুরু হয়েছে। অ্যামনেস্টি বলছে, সংগঠনটির বিরুদ্ধে আনা অভিযোগের প্রমাণ নেই। তবে ব্যাঙ্গালুরুতে শনিবারের সেমিনারে অংশ নেয়া কিছু লোক কাশ্মীরের স্বাধীনতা নিয়ে স্লোগান দিয়েছিল।

আন্তর্জাতিক এ মানবাধিকার সংগঠনের মুখপাত্র হিমানশি মাত্তা বলেন, ‘উল্লিখিত অভিযোগের কোনো ভিত্তি নেই। অনুষ্ঠানটি সবার জন্য উন্মুক্ত ছিল এবং লোকজন আসা যাওয়া করছিল। কোনো কর্মী এতে জড়িত ছিলেন না।’

‘জম্মু-কাশ্মীরে মানবাধিকার লঙ্ঘনের শিকার হয়েছেন এমন পরিবারগুলোর কথা শুনতে আমাদের বাধা দিচ্ছে বিক্ষোভকারীরা। সুশীল সমাজের যারা এ ধরনের ঘটনার পর সাংবিধানিক অধিকার নিয়ে কাজ করতে আগ্রহী তারাও বাধার সম্মুখীন হচ্ছেন।’

মঙ্গল ও বুধবার ডানপন্থী সংগঠন এভিবিপির শত শত সদস্যের ব্যাঙ্গালুরু ও দিল্লিতে বিক্ষোভের পর আন্তর্জাতিক এ মানবাধিকার সংগঠন তাদের অফিস সাময়িকভাবে বন্ধের সিদ্ধান্ত নিয়েছে বলে জানান হিমানশি মাত্তা।

গত ৪০ দিনে জম্মু-কাশ্মীরে স্বাধীনতাকামী বিক্ষোভকারীদের সঙ্গে সংঘর্ষে এখন পর্যন্ত ৬০ জনেরও বেশি বেসামরিক নাগরিক ও নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্য নিহত হয়েছেন। পাঁচ সপ্তাহেরও বেশি সময় ধরে ভারত নিয়ন্ত্রিত এই রাজ্যে কারফিউ অব্যাহত রয়েছে।

এর আগে বুধবার উত্তপ্ত কাশ্মীর পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনায় বসতে পাকিস্তানের আহ্বান নাকচ করে দিয়েছে নয়াদিল্লি। ভারত বলছে, কাশ্মীর ইস্যু দিল্লির অভ্যন্তরীণ বিষয়। এতে পাকিস্তানের নাক গলানোর কোনো অধিকার নেই। অন্যদিকে পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী নওয়াজ শরিফের উপদেষ্টা সারতাজ আজিজ বলেন, কাশ্মীর ইস্যু সমাধান করতে দুই দেশের মধ্যে আন্তর্জাতিক বাধ্যবাধকতা রয়েছে।

সূত্র : রয়টার্স, এনডিটিভি।

এসআইএস/আরআইপি

আরও পড়ুন