ইউরোপে ঘুরতে গিয়ে শরণার্থী হলেন চীনা পর্যটক
ইউরোপে ঘুরতে গিয়ে শরণার্থী হলেন এক চীনা পর্যটক। তার মানিব্যাগ হারিয়ে যাওয়ায় তিনি পুলিশের কাছে অভিযোগ করতে গিয়েছিলেন। কিন্তু ভুল করে তিনি জার্মানির একটি কেন্দ্রে শরণার্থী হিসেবে আবেদন করেন।
প্রায় দুই সপ্তাহ তিনি শরণার্থী শিবিরে থাকছিলেন। কিন্তু সেখানে কেউ তার কথা বুঝতে পারছিল না।
চীনের উত্তরাঞ্চল থেকে ইউরোপে ঘুরতে বেরিয়েছিলেন তিনি। জার্মানির পর ইতালি এবং ফ্রান্সে যাওয়ার কথা ছিল ওই চীনা পর্যটকের। কিন্তু মানিব্যাগ হারিয়ে তিনি যখন পুলিশের কাছে গিয়েছিলেন তখনই বাধল বিপত্তি। তিনি জার্মান ভাষা কথা বলতে পারেন না। এমনকি ইংরেজিও জানেন না তিনি। আর একারণে তার কথা কিছুই বুঝতে পারছিল না জার্মান কর্মকর্তারা।
আর একারণে তিনি অভিযোগ করার বদলে কিন্তু তার বদলে তিনি শরণার্থী হিসাবে নাম লেখান। এরপর তাকে অভিবাসীদের একটি দলের সঙ্গে ডোয়েলমেন শহরের অভিবাসী হোস্টেলে নিয়ে আসা হয়।
জার্মানির গণমাধ্যম বলছে, ৩১ বছর বয়সী ওই পর্যটকের শারীরিক পরীক্ষা করা হয়েছে এবং তার আঙ্গুলের ছাপও নেয়া হয়েছে। তার পাসপোর্ট ও ভিসা কর্তৃপক্ষ নিয়ে নিলেও তিনি কোনো আপত্তি করেননি।
শরণার্থীদের একটি হোস্টেলে তাকে থাকতে দেয়া হয়, খাবার এবং হাতখরচও দেয়া হয়। সেখানে প্রায় দুই সপ্তাহ ছিলেন তিনি।
হোস্টেলের একজন কর্মকর্তা বলছেন, অন্য শরণার্থীদের তুলনায় তাকে অন্য রকম মনে হতো। তাকে বেশ অসহায় লাগতো।
তবে যখন শরণার্থী হোস্টেলের কাছেই একজন অনুবাদককে পাওয়া যায় তখনই পুরো বিষয়টা পরিষ্কার হয়ে যায়। তিনি কর্মকর্তাদের কাছে তুলে ধরেন ওই ব্যক্তি আসলে শরণার্থী নন তিনি ইউরোপে বেড়াতে এসেছেন। পরে স্টুর্টগার্টে তার মানিব্যাগ খুঁজে পাওয়া গেছে। এখন তিনি আবার ইউরোপ সফর শুরু করবেন।
টিটিএন/এমএস
