মৃত্যুদণ্ড ফিরিয়ে আনার কথা বললেন এরদোয়ান
লাখো মানুষের সমাবেশে মৃত্যুদণ্ডের বিধান ফিরিয়ে আনার ঘোষণা দিলেন তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়েপ এরদোয়ান। এক সমাবেশে তিনি বলেন, তুরস্কের সংসদ চাইলে তিনি দেশটিতে আবারো মৃত্যুদণ্ডের বিধান ফিরিয়ে আনবেন।
ইস্তাম্বুলে লাখ লাখ মানুষের এক সমাবেশে দেয়া বক্তৃতায় এ ঘোষণা দেন তিনি। দেশটিতে গতমাসে আকস্মিক অভ্যুত্থানে অংশ নেয় এক দল সেনাবাহিনী। ব্যর্থ অভ্যুত্থান চেষ্টার প্রতিবাদে এই সমাবেশের আয়োজন করা হয়।
এরদোয়ানের বক্তৃতার সময় সমবেত মানুষ জাতীয় পতাকা নেড়ে তাকে সম্ভাষণ জানিয়েছেন।
এরদোয়ানের সমর্থকরা ছাড়াও ধর্মীয় নেতাদের অনেকেই এবং দেশটির অন্তত তিনটি বিরোধী দলের সমর্থকরাও এ সমাবেশে যোগ দেন।
সমাবেশে বক্তৃতা দিতে গিয়ে এরদোয়ান বলেন, যুক্তরাষ্ট্রে নির্বাসিত ধর্মীয় নেতা ফেতুল্লাহ গুলেনসহ তার সকল সমর্থকদেরকে তিনি তুরস্ক থেকে একেবারে নিশ্চিহ্ন করে দেবেন।
গত মাসের ব্যর্থ অভ্যুত্থান চেষ্টার জন্য গুলেনকেই দায়ী মনে করে তুরস্ক সরকার। সেখানে বক্তৃতা দেবার সময় এরদোয়ান জানান, দেশের মানুষের সমর্থন পেলে এবং সংসদ অনুমোদন করলে তিনি আবারো মৃত্যুদণ্ড ফিরিয়ে আনবেন।
তিনি বলেন, ইউরোপে বা ইউরোপীয় কাউন্সিলে মৃত্যুদণ্ড নেই। কিন্তু আমেরিকা, জাপান, চীনসহ পৃথিবীর অধিকাংশ দেশেই মৃত্যুদণ্ড চালু আছে। সুতরাং তুরস্কেও এটি আবার ফিরিয়ে আনা সম্ভব।
এর আগে ১৯৮৪ সাল পর্যন্ত তুরস্কে মৃত্যুদণ্ড চালু ছিল। সার্বভৌমত্বের মালিক জনগণ। ফলে, জনগণ যদি কোনো সিদ্ধান্ত নেয় তাহলে রাজনৈতিক দল সেই সিদ্ধান্তকে বাস্তবায়ন করবে।
তুরস্কের অভ্যুত্থান চেষ্টার পর গুলেনের হাজার হাজার সমর্থক চাকরী হারিয়েছেন এবং কারাবরণ করেছেন। ১৫ই জুলাইয়ের ওই ব্যর্থ অভ্যুত্থানে প্রায় ২৭০ জন নিহত হয়।
এদিকে, অভ্যুত্থানের পরবর্তী সময়ে এরদোয়ানের কার্যক্রমের নিন্দা জানিয়েছে পশ্চিমা বিশ্ব।
টিটিএন/এমএস