মানসিক সমস্যা থেকে রাসেল স্কয়ারে ছুরি নিয়ে তাণ্ডব
লন্ডনের কেন্দ্রস্থল রাসেল স্কয়ারের হামলাকারী ‘মানসিক সমস্যা’ থেকেই ‘ছুরি নিয়ে তাণ্ডব’ চালিয়েছে বলে দাবি করেছে দেশটির পুলিশ। সেন্ট্রাল লণ্ডনের এ হামলার ঘটনা ‘সম্ভাব্য সন্ত্রাসী হামলা’ বলে মন্তব্য করেছে স্থানীয় প্রশাসন। হামলাকারীকে স্প্যানিশ ভাষায় কথা বলতে শোনা গেছে বলে প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন।
ব্রিটিশ দৈনিক ডেইলি মেইল বলছে, বুধবার রাত সাড়ে ১০টার দিকে গণছুরিকাঘাতের ঘটনায় অন্তত এক নারী নিহত হয়েছেন। এ ছাড়া আহত হয়েছেন আরো পাঁচজন। রাসেল স্কয়ারের এ ছুরি হামলায় জড়িত সন্দেহে পুলিশ এক সন্দেহভাজনকে আটকের তথ্য নিশ্চিত করেছে। ওই সন্দেহভাজনকে নিরাপত্তা বাহিনীর পাহারায় হাসপাতালে চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে।
এদিকে ছুরি হামলার ঘটনায় একাধিক ব্যক্তি জড়িত থাকতে পারে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেছে পুলিশ। এক প্রত্যক্ষদর্শী অপর ব্রিটিশ দৈনিক ডেইলি স্টারকে বলেন, তিনি এক ব্যক্তিকে মোটরসাইকেলে পালিয়ে যেতে দেখেছেন। এ ছাড়া ঘটনাস্থলে অন্তত ছয়জনকে পড়ে থাকতে দেখেছেন।
ঘটনাস্থলে পুলিশ কর্মকর্তারা পৌঁছে ছয়জনকে আহত অবস্থায় অবস্থায় উদ্ধার করলেও কিছুক্ষণ পর ৬০ বছর বয়সী এক নারী মারা যান। আহতদের মধ্যে এক পুরুষ ও চার নারী রয়েছেন।
মাইকেল নামের এক প্রত্যক্ষদর্শী ডেইলি মেইলকে বলেন, ‘আমি চিৎকার শুনে ওই পার্কে যাই এবং দেখি এক তরুণীর শরীরের পেছন থেকে রক্ত গড়িয়ে পড়ছে। ওই তরুণী মেঝেতে পড়ে আছে। অপর এক তরুণীর কাঁধ ছিল রক্তাক্ত।’
এ সময় তিনি দুই নারীকে স্প্যানিশ ভাষায় বলতে শুনেছেন, ‘আমি সব কিছু দেখেছি। ওই প্রত্যক্ষদর্শী আরো বলেন, তারা সবাই স্প্যানিশ ভাষায় কথা বলেছিল। আমার মনে হচ্ছে তারা একটি সংঘবদ্ধ চক্র’।
হামলার পর সেন্ট্রাল লন্ডনের রাসেল স্কয়ার ঘিরে রেখেছে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা। বৃহস্পতিবার সকালে লন্ডনের বিভিন্ন এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। এ ছাড়া সকাল থেকেই লন্ডনের আকাশে নিরাপত্তা বাহিনীর হেলিকপ্টার টহল দিচ্ছে।
এসআইএস/আরআইপি