জার্মানির সঙ্গে ইসলামের কোনো দ্বন্দ্ব নেই
শরণার্থীদের জন্য নিজেদের দ্বার উন্মুক্ত করেছে জার্মানি। দেশটির চ্যান্সেলর অ্যাঙ্গেলা মেরকেলের শরণার্থী নীতি সন্ত্রাসী হামলা থেকে দেশকে সুরক্ষিত করেছে কিনা এ নিয়ে বিতর্ক রয়েই গেছে। তবে সব তর্ক-বিতর্কের মাঝেও শরণার্থীদের নিজের দেশে আশ্রয় দিয়েছেন মেরকেল।
হাজার হাজার শরণার্থীকে আশ্রয় দিয়ে মেরকেল বিশ্বের কাছে এই বার্তা পৌঁছে দিয়েছেন যে, ইসলামের সঙ্গে জার্মানির কোনো দ্বন্দ্ব নেই এবং জার্মানি মুসলমানদের ঘৃণা করে না।
সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হলো জার্মানিতে প্রচুর মুসলিম বাস করে। তারা সব সময় জার্মানের নিরাপত্তায় সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে কঠোর অবস্থানে দেশের নিরাপত্তা ব্যবস্থাকে সহায়তা করছে।
এ পর্যন্ত ১০ লাখের বেশি শরণার্থীকে আশ্রয় দিয়েছে জার্মানি। ব্রাসেলস এবং প্যারিসের সাম্প্রতিক ভয়াবহ হামলার সঙ্গে জার্মানির হামলাগুলোর তুলনা করলে দেখা যাবে ফ্রান্স বা বেলজিয়ামের চেয়ে জার্মানি বেশি সংখ্যক শরণার্থীকে আশ্রয় দিয়েছে। শরণার্থীদের যদি এসব হামলার জন্য দায়ী করা হয় তবে সবচেয়ে বেশি হামলা জার্মানিতেই হওয়ার কথা, অন্য কোনো দেশে নয়।
ইসলামিক জঙ্গি গোষ্ঠী আল কায়েদা বা ইসলামিক স্টেটের কর্মকাণ্ডের কারণে বিশ্বজুড়ে ইসলাম ও মুসলমানদের প্রতি ঘৃণা ও প্রতিহিংসা বেড়ে যাচ্ছে। অনেকেই বেভারিয়ায় হামলার জন্য মেরকেলের শরণার্থী নীতিকেই দায়ী করছে। তবে এটাও তো হতে পারে যে, তার গৃহীত নীতির কারণে ফ্রান্স বা বেলজিয়ামের মত ভয়াবহ হামলার শিকার হয়নি জার্মানি। তার নীতির কারণেই ভয়াবহ বোমা হামলা এবং বন্দুক হামলা থেকে বেঁচে গেছে দেশ।
টিটিএন/এবিএস