যুদ্ধের কৌশলে আত্মঘাতী হামলা সমর্থনে জাকির নায়েক
যুদ্ধের কৌশলে আত্মঘাতী হামলাকে সমর্থন করেন জাকির নায়েক। তবে তার মতে, নিরপরাধ মানুষকে হত্যার জন্য আত্মঘাতী হামলা চালানো হারাম। যুদ্ধ ছাড়া অন্য কোনো কারণে কেউ যদি আত্মঘাতী হামলা চালায় তাকেও সমর্থন করেন না জাকির নায়েক।
বাংলাদেশের রাজধানী ঢাকার গুলশানের হলি আর্টিজান রেস্টুরেন্টে হামলার ঘটনায় জড়িত জঙ্গিদের দুজন জাকির নায়েককে দু’বছর ধরে টুইটারে অনুসরণ করতেন। গণমাধ্যমে এ ধরণের খবর প্রকাশ হওয়ার পর থেকেই জাকির নায়েক এবং তার পিস টিভির ওপর নজরদারি বাড়ানো হয়।
পরে বাংলাদেশ ও ভারতে পিস টিভির সম্প্রচার বন্ধ করে দেয়া হয়। এছাড়া জাকির নায়েককে আটকের দাবি জানিয়েছেন ভারতের মুসলিম নেতারা।
যুদ্ধের কৌশলে আত্মঘাতী হামলার সমর্থন জানাতে গিয়ে জাপানের দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের উদাহরণ দিয়েছেন জাকির নায়েক। তার মতে, এধরণের যুদ্ধে কৌশল হিসেবে আত্মঘাতী হামলা চালানো যেতে পারে।
এবছর ভারতে ফিরবেন না বলেও ঘোষণা দিয়েছেন তিনি। তিনি জানিয়েছেন, এ মুহূর্তে ভারতে ফেরার তার কোনো পরিকল্পণা নেই।
আত্মঘাতী হামলার নিন্দা জানিয়ে জাকির নায়েক বলেছেন, আমি শান্তির বার্তা বাহক। নিরপরাধ মানুষকে হত্যা করা ইসলামে নিষিদ্ধ। এ ধরণের সন্ত্রাসী হামলার তীব্র নিন্দা জানিয়েছেন তিনি। তার বক্তৃতা সন্ত্রাস বা জঙ্গিবাদকে সমর্থন করে না। কাউকে জঙ্গিবাদে অনুপ্রাণিত করেননি বলেও দাবি জানিয়েছেন জাকির নায়েক।
জাকির নায়েকের বিরুদ্ধে আনা অভিযোগের ভিত্তিতে তার বক্তৃতা, অডিও, ভিডিও ক্লিপস এবং তার লেখা বইয়ে সন্ত্রাসবাদে সমর্থনের বিষয়টি খতিয়ে দেখা হচ্ছে। তবে জাকির নায়েকের দাবি, ভারত সরকার বা নিরাপত্তা বাহিনীর তরফ থেকে তদন্তের বিষয়ে তার সাহায্য চাওয়া হয়নি।
যদি তারা তদন্তের ক্ষেত্রে আমার সহযোগিতা চাইত তবে আমি সেটা অবশ্যই করতাম। আমি এটাকে স্বাগত জানাতাম। কেননা সরকার বা পুলিশের সঙ্গে আমার আগেও কোনো ধরনের কোনো সমস্যা ছিল না। যে কোনো তদন্তকারী সংস্থাকেই আমি সহযোগিতা করতে চাই।
তিনি বলেন, কিছু মানুষ ইসলামের নামে অন্যদের ভুল পথে পরিচালনা করছে। আমরা হযরত মুহাম্মদকে (স.) অনুসরণ করি। তিনি কখনো নিরপরাধ মানুষকে হত্যার কথা বলেননি। ঠিক একই ভাবে আমিও কখনো নিরপরাধ মানুষকে হত্যার কথা বলিনি।
টিটিএন