ভারতে ফেরেননি জাকির নায়েক
ভারতের বিতর্কিত ইসলামী চিন্তাবিদ, বক্তা ও লেখক জাকির নায়েকের সোমবার দেশে ফেরার কথা থাকলেও তিনি ফেরেননি। ভারতে ফিরলে জেরার মুখে পড়তে পারেন এমন আশঙ্কায় সৌদিতে ওমরাহ শেষে তিনি আফ্রিকা যাচ্ছেন বলে জানা গেছে। খবর বিবিসি ও আনন্দবাজার।
মুম্বাই পুলিশ জানায়, ওমরাহ শেষে জাকির নায়েকের সোমবার সকাল ৮টায় মুম্বাই আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণের কথা ছিল। পিস টিভিতে জাকির নায়েকের বিভিন্ন বক্তৃতা নিয়ে যেসব প্রশ্ন ও জঙ্গিবাদে মদদ দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে ভারতে ফেরামাত্র তাকে সে সব বিষয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে বলেও জানিয়েছিল মুম্বাই পুলিশ।
এছাড়া জাকির নায়েকের প্রতিষ্ঠান ইসলামিক রিসার্চ ফাউন্ডেশনও ঘোষণা করেছিল মঙ্গলবার তিনি শহরে সংবাদ সম্মেলন করে তার বিরুদ্ধে ওঠা সব প্রশ্নের জবাব দেবেন। কিন্তু শেষ মুহূর্তে জাকির নায়েক ভারতে ফেরা বাতিল করেন। কবে ভারতে ফিরবেন সে ব্যাপারেও কিছু জানানো হয়নি।
তবে দেশে না ফিরলেও মঙ্গলবারের নির্ধারিত সংবাদ সম্মেলন সৌদি আরব থেকে স্কাইপে করবেন বলে ইসলামিক রিসার্চ ফাউন্ডেশনের পক্ষ থেকে জানানো হলেও সেটিও শেষ পর্যন্ত বাতিল করা হয়।
এদিকে সোমবার বিকেলে জাকির নায়েক স্বাক্ষরিত এক বিবৃতি প্রকাশ করা হয়। বিবৃতিতে তিনি বলেন, আমি কোন দিন সন্ত্রাস বা হিংসাকে কোন আকারেই সমর্থন করিনি। জীবনে কখনও সমর্থন জানাইনি কোনও সন্ত্রাসবাদী সংগঠনকেও। ভারতের নিরাপত্তা সংস্থার কোন কর্মকর্তাও তার বক্তৃতার ব্যাখ্যা চেয়ে এখনও তার সঙ্গে যোগাযোগ করেননি। করলে সম্পূর্ণ সহযোগিতা করবেন বলেও আশ্বাস দিয়েছেন জাকির নায়েক। তবে কবে তিনি ভারতে ফিরছেন সে ব্যাপারে ওই বিবৃতিতে কিছু বলা হয়নি।
ইসলামিক রিসার্চ ফাউন্ডেশন সূত্রে আভাস দেওয়া হয়েছে শীঘ্রই তার ভারতে ফেরার কোন সম্ভাবনা নেই। কারণ আগামী কিছুদিন তিনি আফ্রিকায় স্টাডি ট্যুরে ব্যস্ত থাকবেন।
এদিকে তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের লাইসেন্স না থাকা সত্ত্বেও পিস টিভি চ্যানেলটি ভারতের বিভিন্ন প্রদেশে অবৈধভাবে দেখানো হলেও সরকারের কড়া নির্দেশের কারণে এখন তা বন্ধ হতে শুরু করেছে।
রোববার বাংলাদেশ সরকারও জাকির নায়েকের পিস টিভির সম্প্রচার নিষিদ্ধ করেছে। এছাড়া বাংলাদেশের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খানও জানিয়েছেন, গুলশনের ঘটনায় দুই জঙ্গি জাকিরের বক্তব্য শুনে অনুপ্রাণিত হয়েছিল বলে অভিযোগ উঠেছে। তাই জাকিরের বক্তব্য উস্কানিমূলক কি না, গোয়েন্দারা তা খতিয়ে দেখছেন।
এএইচ/পিআর