ভিডিও EN
  1. Home/
  2. আন্তর্জাতিক

দখলকৃত এলাকার নিয়ন্ত্রণ হারাচ্ছে আইএস

প্রকাশিত: ১২:২৮ পিএম, ১১ জুলাই ২০১৬

ইরাক ও সিরিয়ায় নিজেদের নিয়ন্ত্রণে থাকা ১২ ভাগ এলাকার দখল হারিয়ে ফেলেছে ইসলামিক স্টেট (আইএস)। প্রতিরক্ষা বিষয়ক গবেষণা সংস্থা আইএইচএস বলছে, এ বছরের প্রথম ছয় মাসে এই জঙ্গি সংগঠন বিভিন্ন জায়গা থেকে পিছু হটতে বাধ্য হয়েছে। আর এ কারণেই তাদের রাজ্য ক্রমশ ছোট হয়ে আসছে। খবর বিবিসির।

যুক্তরাজ্যভিত্তিক ওই সংস্থাটি জানিয়েছে, দুই বছর আগে আইএস যতোটুকু এলাকাজুড়ে খেলাফত প্রতিষ্ঠার ঘোষণা দিয়েছিল তার তুলনায় সেই এলাকা এখন ২৬ হাজার বর্গমাইলেরও বেশি সঙ্কুচিত হয়েছে।

নিজেদের দখলকৃত এলাকা হারিয়ে আইএস এখন মধ্যপ্রাচ্য এবং ইউরোপে বেসামরিক লোকজনকে লক্ষ্য করে হামলা চালাচ্ছে। এ ধরনের হামলা আরো বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।

গত সপ্তাহে ইরাকের রাজধানী বাগদাদে আত্মঘাতী বোমা হামলায় ৩০০ জনের মতো নিহত হয়েছে। জঙ্গিদের হাত থেকে বাগদাদের পশ্চিমের ফালুজা শহর পুরোপুরি নিয়ন্ত্রণে নেওয়ার ঘোষণা দেয়ার পরই রাজধানীতে বড় ধরনের এই হামলা চালানো হয়।

আইএইচএসের বিশ্লেষক কলাম্ব স্ট্র্যাক বলেছেন, ইসলামিক স্টেটের এলাকা যেহেতু কমে আসছে সেহেতু এটা পরিষ্কার যে, তারা যেভাবে শাসনকাজ চালিয়ে আসছিল সেটা ব্যর্থ হচ্ছে। ফলে তারা তাদের অগ্রাধিকারের পরিবর্তন ঘটাচ্ছে।

তিনি আরো বলেন, আমরা আশঙ্কা করছি বেসামরিক লোকজনের ওপর হামলা আরো বাড়তে পারে। হামলা হতে পারে অর্থনৈতিক স্থাপনাতেও। এসব হামলা ইরাক, সিরিয়া ছাড়া ইউরোপেও হতে পারে।

আইএইচএস বলছে, ইসলামিক স্টেটের পক্ষ থেকে খেলাফত ঘোষণার ৬ মাস পর ২০১৫ সালের জানুয়ারি মাসে ইরাক ও সিরিয়ায় তাদের নিয়ন্ত্রণে থাকা এলাকার আয়তন ছিল ৯০ হাজার ৮০০ বর্গকিলোমিটার। তবে ডিসেম্বর নাগাদ এই এলাকা ১৪ ভাগ কমে এসেছে। তারপর থেকেই আইএস আরো ৯ হাজার ৭০০ বর্গকিলোমিটার এলাকা হারিয়েছে।

এখন আইএসের নিয়ন্ত্রণে রয়েছে ৬৮ হাজার ৩০০ বর্গকিলোমিটার যা আয়ারল্যান্ড কিংবা যুক্তরাষ্ট্রের পশ্চিম ভার্জিনিয়া অঙ্গরাজ্যের সমান।

সিরিয়ায় প্রেসিডেন্ট বাশার আল আসাদের সরকার বাহিনীর পাশাপাশি রাশিয়া ও ইরানের দিক থেকেও চাপের মুখে পড়েছে আইএস।
সম্প্রতি সিরীয় বাহিনী আইএসের হাত থেকে প্রাচীন পালমিরা নগরীও পুনর্দখল করে নিয়েছে।

ইরাকে সরকার বাহিনী তাদের মিত্র মিলিশিয়াদের সঙ্গে নিয়ে ইরাকের দক্ষিণের মসুল শহরে আইএসের বিরুদ্ধে অভিযানের প্রস্তুতি নিচ্ছে।

টিটিএন/এমএস

আরও পড়ুন