ভিডিও EN
  1. Home/
  2. আন্তর্জাতিক

নিহত জাপানিদের মরদেহ টোকিও পৌঁছেছে

প্রকাশিত: ০৫:৫৪ এএম, ০৫ জুলাই ২০১৬

বাংলাদেশের রাজধানী ঢাকার গুলশানে সন্ত্রাসী হামলায় নিহত সাত জাপানির মরদেহ মঙ্গলবার বাংলাদেশ সময় ভোররাতে টোকিও পৌঁছেছে। একটি সরকারি বিমানে করে তাদের লাশ দেশে পৌঁছেছে। সেসময় নিহতদের সঙ্গে তাদের স্বজনরা ছিলেন। খবর বিবিসির।

সোমবার সকালে ঢাকার আর্মি স্টেডিয়ামে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নিহতদের প্রতি সম্মান জানানোর পর তাদের স্বজন ও জাপানি কর্মকর্তাদের কাছে মৃতদেহগুলি হস্তান্তর করেন।  

টোকিওর হানেদা বিমানবন্দরে যখন জাপানিদের মৃতদেহ বহনকারী বিমানটি অবতরণ করে তখন সেখানে অন্যান্য কর্মকর্তা, নিহতদের স্বজন ও বন্ধু-বান্ধবদের সঙ্গে অপেক্ষা করছিলেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ফুমিও কিশিদা।

সাদা কাপড়ে মোড়া কফিনগুলো এসময় বিমানবন্দরে নামিয়ে রাখা হয় এবং পররাষ্ট্রমন্ত্রী কিশিদাসহ অন্যান্যরা শ্রদ্ধা অর্পণ করেন। তারা কফিনে ফুল দেন এবং কিছুক্ষণ নীরবে দাঁড়িয়ে থাকেন।

সাংবাদিকদের কিশিদা বলেন, যখন তাদের আমি বিমানবন্দরে গ্রহণ করলাম তখন নতুন করে আমার মধ্যে গভীর দুঃখবোধ জাগ্রত হল। আমি নতুন করে আরো রাগান্বিত হলাম। এ ধরণের ঘটনা যাতে আর না ঘটে সেজন্য বৈশ্বিক উদ্যোগে আমার দেশের অন্তর্ভুক্তি আরো বৃদ্ধি পাবে।

স্থানীয় টেলিভিশনগুলোর ভিডিওতে দেখা যায়, মৃতদেহ বহনকারী বিমানটি হানেদা বিমানবন্দরে পৌঁছানোর দু ঘণ্টা আগে একটি ছোট বিমানে করে সেখানে পৌঁছান গুলশান হামলায় আহত আরেক জাপানি তামাওকি ওয়াতানাবে।

তাকে একটি স্ট্রেচারে করে বিমান থেকে নামানো হয় এবং চিকিৎসার জন্য হাসাপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সরকারি প্রতিষ্ঠান জাইকার মাধ্যমে বাংলাদেশে নানা উন্নয়ন প্রকল্পের সাথে যুক্ত রয়েছে জাপান।

টোকিও পৌঁছে জাপানি কর্মকর্তারা বাংলাদেশ পরিস্থিতি নিয়ে সিনিয়র কর্মকর্তাদের অবহিত করেন।

জাপানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের বরাত দিয়ে বার্তা সংস্থা এএফপি বলছে, উদ্ভূত পরিস্থিতিতে বৈশ্বিক সন্ত্রাসবাদ মোকাবেলায় পারস্পারিক সহযোগিতা বাড়াতে সোমবার রাতে ইতালির প্রধানমন্ত্রী মাত্তিও রেনজির সঙ্গে টেলিফোনে কথা বলেছেন জাপানের প্রধানমন্ত্রী শিনজো আবে।

ঢাকায় শুক্রবার রাতের ওই হামলায় নিহতদের মধ্যে ৯ জন ইতালীয় নাগরিকও ছিলেন। দুই নেতা মঙ্গোলিয়ায় অনুষ্ঠিতব্য আসন্ন এশিয়া-ইউরোপ মিটিং বা আসেমে সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে সুস্পষ্ট বার্তা দেয়ার বিষয়ে একমত হয়েছেন।

টিটিএন/পিআর

আরও পড়ুন