ভিডিও EN
  1. Home/
  2. আন্তর্জাতিক

বিস্তৃত হচ্ছে আইএসের কালো ছায়া

প্রকাশিত: ০৬:২৪ এএম, ০২ জুলাই ২০১৬

খিলাফত প্রতিষ্ঠার নামে দেশে দেশে তাণ্ডব চালাচ্ছে আইএস। সিরিয়া এবং ইরাকে এই জঙ্গি গোষ্ঠী বেশ সক্রিয়। তারা সেখানে ভয়াবহ ধ্বংসযজ্ঞ চালিয়েছে। কিন্তু ইরাক ও সিরিয়ার সীমানা ছাড়িয়ে আইএস এখন বিশ্বজুড়ে তাদের তাণ্ডব লীলা চালাতে মরিয়া হয়ে উঠেছে। সম্প্রতি বাংলাদেশের ওপরও এই জঙ্গি গোষ্ঠীর কালো ছায়া পড়েছে। বাংলাদেশে শক্ত ঘাঁটি গড়তে চায় আইএস। জঙ্গি গোষ্ঠীটির নিজস্ব প্রচারমাধ্যম দাবিকে এমনটাই দাবি করা হয়েছে বেশ কয়েকবার।

গত দু`বছর ধরেই বাংলাদেশে সমমনা ব্লগার, লেখক, প্রকাশক, ধর্মীয় সংখ্যালঘু এবং ভিন্ন মতাবলম্বীসহ অনেকগুলো হত্যাকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে। বেশিরভাগই হত্যাকাণ্ডের মধ্যেই যথেষ্ট সাদৃশ্য রয়েছে। আইএসের পক্ষ থেকে এসব হত্যাকাণ্ডের দায়ও স্বীকার করা হয়েছে। যদিও বাংলাদেশ সরকার জোর দিয়েই বলে আসছে বাংলাদেশে আইএসের অস্তিত্ব নেই।

শুক্রবার রাত পৌনে ৯টায় গুলশান-২ এলাকার ৭৯ নম্বর রোডের হলি আর্টিজান রেস্টুরেন্ট থেকে পুলিশকে লক্ষ্য করে সন্ত্রাসীরা গুলি চালায়। ওই ঘটনায় দুই পুলিশ কর্মকর্তাসহ ৭ জন নিহত হয়েছে। এখন পর্যন্ত ১২ জনকে উদ্ধার করেছে পুলিশ। শনিবার সকাল পর্যন্ত ওই রেস্টুরেন্টে কমপক্ষে ২০ জনকে জিম্মি করে রাখা হয়েছিল। সকাল ৭টার দিকে রেস্টুরেন্টে অভিযান চালিয়ে ভেতরে থাকা জিম্মিদের উদ্ধার করে পুলিশ। পরিস্থিতি এখন নিয়ন্ত্রণে আছে।

আইএসের মুখপাত্র আমাকের বরাত দিয়ে সাইট ইন্টেলিজেন্সের খবরে বলা হয়েছে, গুলশানের রেস্টুরেন্টে হামলার দায় স্বীকার করেছে আইএস। আইএসের তরফ থেকে বলা হয়েছে, তারা ২০ জনকে হত্যা করেছে।

এর আগে এ ঘটনায় দায় প্রথম স্বীকার করে নেয় আল-কায়েদার ভারতীয় উপমহাদেশ শাখার (একিউআইএস) সংগঠন আনসার আল ইসলাম। শুক্রবার রাত ১১টায় এক টুইট বার্তায় স্বীকার করে সংগঠনটি।

এ ঘটনার পর থেকে পুরো রেস্টুরেন্ট এলাকা ঘিরে রাখে পুলিশ। পাশের একটি ক্লিনিকের ভেতর সন্ত্রাসীরা অবস্থান নিলে ওই হাসপাতালও কড়া নজরদারিতে রাখা হয়। সকাল ৯টা নাগাদ পুরো অভিযান শেষ করেছে পুলিশ। তবে এখনো পর্যন্ত ওই হামলার কারণ জানা যায়নি।

এর আগেও বেশ কিছু ভয়াবহ হামলা চালিয়েছে আইএস। গত বছরের নভেম্বরে প্যারিসের বাটাক্লঁ কনসার্ট হলে জড়ো হওয়া কয়েক হাজার মানুষের মধ্যে হামলা চালায় আইএস। স্তাদে দে ফ্রান্স, কয়েকটি বার ও রেস্টুরেন্টসহ ছয়টি স্থানে ভয়াবহ হামলায় ১৫৩ জন নিহত হয়। এসব হামলার দায় স্বীকার করে নেয় আইএস। ওই হামলার পর দেশ জুড়ে জরুরি অবস্থা জারি করা হয়।

এ বছরের মার্চে বেলজিয়ামের রাজধানী ব্রাসেলসের প্রধান আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর ও মেট্রোরেল স্টেশনে আইএসের ভয়াবহ দুটি বিস্ফোরণের ঘটনায় ৩৪ জন নিহত হয়। বিস্ফোরণের পর ব্রাসেলসের বিমান ও সব ধরনের গণপরিবহন ব্যবস্থা বন্ধ করে দেয়া হয়।

এছাড়া, গত মাসের শেষের দিকে তুরস্কের ইস্তাম্বুল শহরের আতাতুর্ক বিমানবন্দরে হামলা চালায় আইএস। ওই হামলায় কমপক্ষে ৩৬ জন নিহত হয়। তিন হামলাকারী বিমানবন্দরের টার্মিনালের কাছের একটি প্রবেশ পথে অতর্কিত গুলি ছুড়তে থাকে। পরে পুলিশ ওই হামলাকারীদের লক্ষ্য করে গুলি ছুড়লে তারা নিজেদের সঙ্গে থাকা বোমার বিস্ফোরণ ঘটায়।

দেশে দেশে খিলাফত প্রতিষ্ঠা করবে আইএস। আর এই প্রত্যয় নিয়েই তারা বিশ্বজুড়ে হত্যাযজ্ঞ চালাচ্ছে। তারা ইসলামের জিহাদ প্রতিষ্ঠা করতে চায়। অথচ নির্বিচারে এভাবে মানুষ হত্যাকে ইসলাম কখনো সমর্থন করে না। তাহলে এই খিলাফত কেন? আর এই জিহাদেরই বা আসল লক্ষ্য কি?

টিটিএন/আরআইপি

আরও পড়ুন