ব্রিটেনের দ্রুত বিচ্ছেদ চায় ইউরোপীয় কমিশন
ইউরোপীয় ইউনিয়ন থেকে ব্রিটেনের দ্রুত বিচ্ছেদের দাবি জানিয়েছে ক্ষুব্দ ইউরোপ। ব্রেক্সিটের পক্ষে অধিকাংশ ব্রিটিশ নাগরিক ভোট দিয়েছেন শুক্রবার। এর জের ধরে ইইউতে থাকার পক্ষে প্রচারাভিযান চালিয়ে আসা দেশটির প্রধানমন্ত্রী ডেভিড ক্যামেরন পদত্যাগেরও ঘোষণা দিয়েছেন।
৬০ বছরের ইতিহাসে এই প্রথম কোনো দেশের ইইউ ত্যাগের পর বিশ্বের শীর্ষ অর্থনীতির দেশগুলো ঝুঁকির মুখে পড়েছে। ইউরোপীয় কমিশনের প্রধান জ্যঁ ক্লঁদ জাংকার ব্রিটেনকে দ্রুতই ইইউর বাইরে রাখার আহ্বান জানিয়েছেন।
ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী ডেভিড ক্যামেরন আগামী অক্টোবরে পদত্যাগ করবেন বলে শুক্রবার ঘোষণা দিয়েছেন। এছাড়া দুই বছরের মধ্যে লিসবন চুক্তির আর্টিকেল-৫০ অনুযায়ী ইইউ থেকে ব্রিটেনের বেরিয়ে আসার যাবতীয় কার্যক্রম শেষ করতে তার উত্তরসূরি আলোচনা শুরু করবেন বলে জানিয়েছেন।
বিদায়ী প্রধানমন্ত্রী ক্যামেরন বলেছেন, ‘বৈশ্বিক মজুদ ও তেলের মূল্য হ্রাস পাওয়ায় দেশকে পরবর্তী গন্তব্যে নিয়ে যেতে এর পরিচালনার হাল ধরা আমার জন্য সঠিক হবে বলে আমি মনে করি না’।
বৃহস্পতিবারের ভোটে ৫২ শতাংশ ব্রিটিশ ব্রেক্সিটের পক্ষে ভোট দিয়েছেন, বিপক্ষে ৪৮ শতাংশ। এরপরেই দেশটির প্রধানমন্ত্রী ডেভিড ক্যামেরন দেশের অর্থনীতিক বিপর্যয়ের আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন। প্রধানমন্ত্রীর ওই আশঙ্কা অভিবাসন ও অর্থনৈতিক নিরাপত্তা নিয়ে অনেক ব্রিটিশ নাগরিকের মধ্যে দুঃশ্চিন্তা তৈরি করেছে।
শুক্রবার সন্ধ্যায় জার্মানির সম্প্রচার মাধ্যম এআরডিকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে জাংকার বলেন, আমার বোধগম্য হচ্ছে না, ব্রাসেলসের কাছে বিচ্ছেদের চিঠি দিতে ব্রিটিশ সরকার কেন অক্টোবর পর্যন্ত সময় নিচ্ছে? এটি দ্রুত করা উচিত।
তিনি বলেন, এটি কোনো বন্ধুত্বপূর্ণ বিচ্ছেদ নয়, এটি কোনো অন্তরঙ্গ প্রণয়লীলা ছিল না।
এসআইএস/এবিএস