ভিডিও EN
  1. Home/
  2. আন্তর্জাতিক

ফিলিস্তিনিদের জন্য বিপর্যয় ডেকে এনেছিল যে চিঠি

আন্তর্জাতিক ডেস্ক | প্রকাশিত: ১০:৪০ এএম, ১০ এপ্রিল ২০২৫

ফিলিস্তিনের গাজা থেকে দুই মাইল উত্তরে কিবুৎজ এলাকা। সেখানে ১৯৩০’র দশকে পোল্যান্ড থেকে আসা ইহুদিরা কৃষি খামার গড়ে তুলেছিল। ইহুদিদের পাশেই ছিল ফিলিস্তিনি আরবদের বসবাস। সেখানে আরবদের কৃষি খামার ছিল। তারা কয়েক শতাব্দী ধরে সেখানে বসবাস করছিল। সে সময় মুসলমান এবং ইহুদিদের মধ্যে সম্পর্ক মোটামুটি বন্ধুত্বপূর্ণ ছিল।

কিন্তু ১৯৩০’র দশকে ফিলিস্তিনিরা বুঝতে পারলো যে, তারা ধীরে-ধীরে জমি হারাচ্ছে। ইহুদিরা দলে-দলে সেখানে আসে এবং জমি ক্রয় করতে থাকে। ইসরায়েল রাষ্ট্রের প্রতিষ্ঠার সময় প্রায় ৭ লাখের মতো ফিলিস্তিনি বাস্তুচ্যুত হয়েছে। তারা ভেবেছিল দ্রুত সমস্যার সমাধান হলে তারা বাড়ি ফিরে আসতে পারবে। কিন্তু ইসরায়েল তাদের আর কখনোই বাড়িতে ফিরতে দেয়নি।

বিজ্ঞাপন

বিজ্ঞাপন

ইসরায়েলের সাবেক প্রেসিডেন্ট শিমন পেরেজ প্রায় ১০ বছর আগে বিবিসিকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে বলেছিলেন, ফিলিস্তিনদের কেন এই দশা হলো সেজন্য তাদের নিজেদেরই প্রশ্ন করা উচিত। তিনি বলেন, অধিকাংশ জমি ফিলিস্তিনদের হাতেই থাকতো। তাদের একটি আলাদা রাষ্ট্র হতো। কিন্তু তারা সেটি প্রত্যাখ্যান করেছে। ১৯৪৭ সালে তারা ভুল করেছে। আমরা কোনো ভুল করিনি। তাদের ভুলের জন্য আমরা কেন ক্ষমা চাইবো?

১৮৯৭ সাল থেকেই ইহুদিরা চেয়েছিলেন নিজেদের জন্য আলাদা একটি রাষ্ট্র গড়ে তুলতে। ১৯১৭ সালে থেকে ১৯৪৮ সাল পর্যন্ত ফিলিস্তিনের ভূমি ব্রিটেনের নিয়ন্ত্রণে ছিল। ১৯১৭ সালের নভেম্বর মাসে তুরস্কের সেনাদের হাত থেকে জেরুজালেম দখল করে ব্রিটেন।

বিজ্ঞাপন

বিজ্ঞাপন

সে সময় ব্রিটিশ সরকার সিদ্ধান্ত নিয়েছিল যে ফিলিস্তিনের মাটিতে ইহুদিদের জন্য একটি আলাদা রাষ্ট্র গঠনের জন্য সহায়তা করবে। ব্রিটেনের তৎকালীন পররাষ্ট্রমন্ত্রী লর্ড আর্থার জেমস বেলফোর বিষয়টি জানিয়ে ইহুদি আন্দোলনের নেতা ব্যারন রটসচাইল্ডকে একটি চিঠি লিখেছিলেন। তার ওই চিঠি ‌‘বেলফোর ডিক্লারেশন’ হিসেবে পরিচিত। মূলত এই চিঠিই ফিলিস্তিনিদের জন্য বিপর্যয় ডেকে এনেছে।

ইহুদিদের কাছে ব্রিটেন প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল যে ফিলিস্তিনিদের জমিতে তাদের জন্য একটি রাষ্ট্র গঠনের সুযোগ করে দেওয়া হবে। যদিও রোমান সময় থেকে ইহুদিদের ছোট্ট একটি ধর্মীয় গোষ্ঠী সে জায়গায় বসবাস করতো। ইউরোপে ইহুদীদের প্রতি যে নেতিবাচক দৃষ্টিভঙ্গি ছিল সেটি তাদের একটি নিজস্ব রাষ্ট্র গঠনের ভাবনাকে আরও তরান্বিত করেছে। ১৯৩৩ সালের পর থেকে জার্মানির শাসক হিটলার ইহুদিদের প্রতি কঠোর হতে শুরু করেন। এরই মধ্যে জাহাজে করে হাজার হাজার ইহুদি অভিবাসী ফিলিস্তিনি ভূখণ্ডে আসতে থাকে। তখন ফিলিস্তিনিরা বুঝতে পারেন যে তাদের অস্তিত্ব হুমকির মুখে পড়ছে।

বিজ্ঞাপন

ফিলিস্তিনিরা নিজেদের অস্তিত্ব টিকিয়ে রাখার জন্য বিদ্রোহ করে। তাদের হামলার লক্ষ্যবস্তু হয়েছিল ব্রিটিশ সৈন্য এবং ইহুদি নাগরিকরা। কিন্তু তাদের সে বিদ্রোহ কঠোর হাতে দমন করেছে ব্রিটিশ সৈন্যরা। ফিলিস্তিনদের ওপর ব্রিটিশ সৈন্যরা এতো কঠোর দমন-পীড়ন চালিয়েছিল যে আরব সমাজে ভাঙন তৈরি হয়েছিল। ইহুদিরা তাদের জন্য একটি আলাদা রাষ্ট্র গঠনে বদ্ধপরিকর ছিল। ব্রিটেনের সহায়তায় সে অনুযায়ী তারা কাজ এগিয়ে নিচ্ছিল।

১৯৩০’র দশকের শেষের দিকে ব্রিটেন চেয়েছিল হিটলারের নাৎসি বাহিনীর বিরুদ্ধে মধ্যপ্রাচ্যে তাদের অবস্থান জোরালো করতে। সেজন্য আরব এবং ইহুদি- দু’পক্ষকেই হাতে রাখতে চেয়েছে ব্রিটেন। ১৯৩৯ সালের মাঝামাঝি সময়ে ব্রিটেন সরকার একটি শ্বেতপত্র প্রকাশ করে যেখানে বলা হয়েছিল পরবর্তী পাঁচ বছরের জন্য ৭৫ হাজার ইহুদি অভিবাসী আসবে ফিলিস্তিনি ভূখণ্ডে। অর্থাৎ সংখ্যা কমিয়ে আনা হয়েছিল।

ব্রিটেনের এ ধরনের পরিকল্পনাকে ভালোভাবে নেয়নি ইহুদিরা। তারা একই সঙ্গে ব্রিটেন এবং হিটলারের বিরুদ্ধে লড়াই করার পরিকল্পনা করে। তখন ৩২ হাজার ইহুদি ব্রিটিশ সেনাবাহিনীতে যোগ দেয়। সেখান থেকে সামরিক প্রশিক্ষণ নিয়ে ইহুদি সৈন্যরা ব্রিটেন এবং আরবদের বিরুদ্ধে লড়াই শুরু করে।

বিজ্ঞাপন

দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় হিটলারের বাহিনী লাখ-লাখ ইহুদি হত্যাকাণ্ডের পর নতুন আরেক বাস্তবতা তৈরি হয়। ১৯৪৫ সালে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ শেষ হবার পর যেসব ইহুদি বেঁচে ছিলেন তাদের জন্য কী করা যায় সেটি নিয়ে আলোচনা শুরু হয়। তখন ফিলিস্তিনী ভূখণ্ডে ইহুদিদের জন্য একটি আলাদা রাষ্ট্র গঠনের চিন্তা আরও জোরালো হয়। আমেরিকার তৎকালীন প্রেসিডেন্ট হ্যারি ট্রুম্যান ইসরায়েল রাষ্ট্রের পক্ষে জোরালো অবস্থান তুলে ধরেন। তিনি চেয়েছিলেন হিটলারের হাত থেকে বেঁচে যাওয়া এক লাখ ইহুদিকে অতি দ্রুত ফিলিস্তিনের ভূখণ্ডে জায়গা দেওয়া হোক।

কিন্তু ব্রিটেন বুঝতে পারছিল যে এতো বিপুল সংখ্যক ইহুদিদের ফিলিস্তিনি ভূখণ্ডে নিয়ে গেলে সেখানে গৃহযুদ্ধ হবে। সে সময় ইহুদিদের সশস্ত্র দলগুলো ব্রিটিশ সৈন্যদের ওপর ফিলিস্তিনের বিভিন্ন জায়গায় হামলা চালানো শুরু করে।

তখন ইউরোপ থেকে ফিলিস্তিনের উদ্দেশ্যে জাহাজে বোঝাই হয়ে আসা হাজার-হাজার ইহুদিদের বাধা দেয় ব্রিটিশ বাহিনী। কিন্তু তাতে খুব একটা লাভ হয়নি। ইহুদি সশস্ত্র দলগুলো ব্রিটিশ বাহিনীর ওপর তাদের আক্রমণের মাত্রা বাড়িয়ে দেয়।

বিজ্ঞাপন

তাদের উদ্দেশ্য ছিল এমন একটি পরিস্থিতির তৈরি করা যাতে ইহুদি রাষ্ট্র গঠনের জন্য ব্রিটেন এবং আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় দ্রুত সিদ্ধান্ত নেয়। তখন সমাধানের জন্য ব্রিটেনের ওপর চাপ বাড়তে থাকে। এরপর বাধ্য হয়ে ব্রিটেন বিষয়টিকে জাতিসংঘে নিয়ে যায়।

১৯৪৭ সালের নভেম্বর মাসে ফিলিস্তিনের ভূখণ্ডে দুটি রাষ্ট্র গঠনের সিদ্ধান্ত নেয় জাতিসংঘ। একটি ইহুদিদের জন্য এবং অন্যটি ফিলিস্তিনিদের জন্য। ইহুদিরা মোট ভূখণ্ডের ১০ শতাংশের মালিক হলেও তাদের দেওয়া হয় মোট জমির অর্ধেক। ইসরায়েলি জনসংখ্যা এবং জমির মালিকানা ছিল ফিলিস্তিনিদের দ্বিগুণ। স্বভাবতই ফিলিস্তিনিরা এ সিদ্ধান্ত মেনে নেয়নি। তারা জাতিসংঘের এ সিদ্ধান্ত খারিজ করে দেয়।

কিন্তু ফিলিস্তিনিদের ভূখণ্ডে তখন ইহুদিরা বিজয় উল্লাস শুরু করে। অবশেষে ইহুদিরা একটি স্বাধীন ভূখণ্ড পেল। কিন্তু আরবরা অনুধাবন করেছিল যে কূটনীতি দিয়ে এই সমস্যার সমাধান হবে না। জাতিসংঘের এই সিদ্ধান্তের পর আরব এবং ইহুদিদের মধ্যে দাঙ্গা শুরু হয়ে যায়। তখন ফিলিস্তিনি ভূখণ্ড ছেড়ে যাবার জন্য ব্রিটিশ সৈন্যরা দিন গণনা করছিল। তখন ইহুদিদের সশস্ত্র দলগুলো প্রকাশ্যে আসা শুরু করে। তাদের গোপন অস্ত্র কারখানাও ছিল। কিন্তু ইহুদিদের সবচেয়ে বড় সুবিধা ছিল তাদের বিচক্ষণ নেতৃত্ব।

বিজ্ঞাপন

এর বিপরীতে আরবদের কোন নেতৃত্ব ছিলনা। ইহুদিরা বুঝতে পেরেছিল যে নতুন রাষ্ট্র গঠনের পর ফিলিস্তিনিরা তাদের ছেড়ে কথা বলবে না। সম্ভাব্য যুদ্ধের জন্য আগে থেকেই তৈরি ছিল ইহুদিরা। সবার দৃষ্টি ছিল জেরুজালেম শহরের দিকে। মুসলমান, ইহুদি এবং খ্রিস্টানদের জন্য পবিত্র এ জায়গা।

জাতিসংঘ যে সিদ্ধান্ত দিয়েছিল সেখানে জেরুজালেম আন্তর্জাতিক নিয়ন্ত্রণে থাকার কথা ছিল। কিন্তু ফিলিস্তিনি কিংবা ইহুদি- কোনো পক্ষই সেটা মেনে নেয়নি। ফলে জেরুজালেম শহরের নিয়ন্ত্রণের জন্য দুপক্ষের মধ্যে যুদ্ধ অনিবার্য হয়ে উঠেছিল।

জেরুজালেমে বসবাসরত ইহুদিদের অবরুদ্ধ করে রেখেছিল ফিলিস্তিনিরা। ফলে অন্য জায়গার সঙ্গে জেরুজালেমের যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়। ১৯৪৮ সালের মার্চে ইহুদিরা আরবদের ওপর পাল্টা আক্রমণ শুরু করে। অনেক বিশ্লেষক বলেন, তখন ইহুদিরা আরবদের নিশ্চিহ্ন করার পরিকল্পনা করেছিল।

বিজ্ঞাপন

যেহেতু আরবদের মধ্যে কোনো সমন্বয় ছিল না সেজন্য ইহুদিরা একের পর এক কৌশলগত জায়গা দখল করে নেয়। তখন ফিলিস্তিনের একজন নেতা আল-হুসেইনি সিরিয়ায় গিয়েছিলেন অস্ত্র সহায়তার জন্য। কিন্তু সিরিয়া সরকার ফিলিস্তিনদের সে সহায়তা দিতে অস্বীকৃতি জানায়। সেখান থেকে ফিরে এসে আল হুসেইনি আবারো যুদ্ধে নামেন। এর কয়েকদিন পরেই তিনি নিহত হন।

ইহুদিরা যখন আক্রমণের মাত্রা বাড়িয়ে দিলো তখন ১৯৪৭ সালের ডিসেম্বর নাগাদ বহু ফিলিস্তিনি আরব তাদের বাড়ি ঘর ছেড়ে পালিয়ে যায়। ইহুদি সশস্ত্র গ্রুপগুলোর নৃশংসতা আরবদের মনে ভয় ধরিয়ে দেয়। অন্যদিকে ফিলিস্তিনি সশস্ত্র দলগুলো ইহুদিদের ওপর কয়েকটি আক্রমণ চালায়।

কিন্তু ইহুদিদের ক্রমাগত এবং জোরালো হামলার মুখে ভেঙ্গে পড়তে শুরু করে ফিলিস্তিনিরা। তারা বাড়িঘর ছেড়ে পালিয়ে যায়।
অন্যদিকে জর্ডানের বাদশাহ আব্দুল্লাহ এবং অন্য আরব দেশগুলোর সরকার তাদের নিজ দেশের ভেতরে চাপে পড়ে যায়। সেসব দেশের জনগণ চেয়েছিল যাতে ফিলিস্তিনিদের সহায়তায় তারা এগিয়ে যায়।

১৯৪৮ সালের ১৪ মে ফিলিস্তিন ছেড়ে চলে যায় ব্রিটেনের সৈন্যরা। একই দিনে তৎকালীন ইহুদি নেতারা ঘোষণা করেন যে সেদিন রাতেই ইহুদি রাষ্ট্রের জন্ম হবে। ইসরায়েল রাষ্ট্রের জন্মের এক ঘন্টার মধ্যেই আরবরা আক্রমণ শুরু করে। একসাথে পাঁচটি আরব দেশ ইসরায়েলকে আক্রমণ করে।

যেসব দেশ একযোগে ইসরায়েলকে আক্রমণ করেছিল তারা হচ্ছে - মিশর, ইরাক, লেবানন, জর্ডান এবং সিরিয়া। তাদের সৈন্য সংখ্যা ছিল প্রায় ত্রিশ হাজারের মতো। অন্যদিকে ইসরায়েলের সৈন্য সংখ্যা ছিল প্রায় ৩৫ হাজার। কিন্তু আরব দেশগুলোর মধ্যে কোনো সমন্বয় ছিলনা। তাছাড়া আরব নেতৃত্ব একে অপরকে বিশ্বাস করতো না। জেরুজালেম দখলের জন্য আরব এবং ইসরায়েলের মধ্যে তীব্র লড়াই শুরু হয়।

ইহুদিরা ভাবছিল জেরুজালেম ছাড়া ইহুদি রাষ্ট্রের কোনো অর্থ নেই। অন্যদিকে মুসলমানদের জন্যও জেরুজালেম পবিত্র জায়গা। তীব্র লড়াইয়ের এক পর্যায়ে ইসরায়েলি বাহিনী পিছু হটতে থাকে। তাদের অস্ত্রের মজুত শেষ হয়ে যায়। সম্ভাব্য পরাজয় আঁচ করতে পেরে ইহুদিরা নিজেদের শক্তি সঞ্চয়ের জন্য সময় নেয়।

আর কিছুদূর অগ্রসর হলেই মিশরীয় বাহিনী তেল আবিবের দিকে অগ্রসর হতে পারত। তখন জাতিসংঘের মাধ্যমে যুদ্ধবিরতি কার্যকর হয়। যুদ্ধবিরতির সময় দু’পক্ষই শক্তি সঞ্চয় করে। কিন্তু ইসরায়েল বেশি সুবিধা পেয়েছিল। তখন চেকোস্লোভাকিয়ার কাছ থেকে আধুনিক অস্ত্রের চালান আসে ইসরায়েলের হাতে।

যুদ্ধ বিরতী শেষ হলে নতুন করে আরবদের ওপর ঝাঁপিয়ে পড়ে ইসরায়েলি বাহিনী। একর পর এক গুরুত্বপূর্ণ জায়গা দখল করে নেয় ইহুদিরা। তেল আবিব এবং জেরুজালেমের ওপর তাদের পূর্ণ নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠা হয়। জাতিসংঘের মাধ্যমে আরেকটি যুদ্ধ বিরতির মাধ্যমে ওই সংঘাত থামে। ইসরায়েলি বাহিনী বুঝতে পরে তারা স্বাধীনতা লাভ করছে ঠিকই কিন্তু লড়াই এখনও থামেনি।

১৯৪৭ সালের নভেম্বর মাস থেকে ১৯৪৯ সালের জানুয়ারি মাস পর্যন্ত ছয় হাজার ইহুদি নিহত হয়েছিল। ইহুদিরা মনে করে তারা যদি সে যুদ্ধে পরাজিত হতো তাহলে আরবরা তাদের নিশ্চিহ্ন করে দিত। ইসরায়েলিরা মনে করেন ১৯৪৭ সালে জাতিসংঘ যেভাবে দু’টি দেশের স্বীকৃতি দিয়েছিল, সেটি যদি ফিলিস্তিনিরা মেনে নিতো তাহলে ফিলিস্তিন এবং ইসরায়েল নামের দুটি দেশ এখন পাশাপাশি শান্তিপূর্ণ অবস্থান করতো।

আরব দেশগুলোর মধ্যে পারষ্পরিক আস্থা না থাকার কারণেই ১৯৪৮ সালের যুদ্ধে তারা পরাজিত হয়েছে এবং ইসরায়েল দেশটির জন্ম হয়ে সেটি স্থায়ী হতে পেরেছে। অনেক ঐতিহাসিক বিষয়টিকে এভাবেই দেখেন। ১৯৪৮ সালের পর থেকে সামরিক, রাজনৈতিক এবং অর্থনৈতিক দিক থেকে অতি দ্রুত উন্নতি লাভ করে ইসরায়েল। তারা সুপার পাওয়ার হিসেবে আবির্ভূত হয়।

টিটিএন

টাইমলাইন

  1. ১০:৪০ এএম, ১০ এপ্রিল ২০২৫ ফিলিস্তিনিদের জন্য বিপর্যয় ডেকে এনেছিল যে চিঠি
  2. ০৮:৪৬ এএম, ১০ এপ্রিল ২০২৫ আবাসিক ভবনে দখলদার বাহিনীর হামলায় নিহত আরও ৩৫
  3. ১২:৪৪ পিএম, ০৯ এপ্রিল ২০২৫ ২৪ ঘণ্টায় দখলদারদের হামলায় নিহত ৫৮
  4. ০৫:৪৬ পিএম, ০৭ এপ্রিল ২০২৫ ভারতে মুসলিম দেশের পতাকা ওড়ানোয় বিদ্যুৎকর্মী বরখাস্ত, গ্রেফতার ৮
  5. ০৪:৫৩ পিএম, ০৭ এপ্রিল ২০২৫ ‘দ্য ওয়ার্ল্ড স্টপস ফর গাজা’ কর্মসূচির ডাক কোথা থেকে এলো?
  6. ০৩:৪৪ পিএম, ০৭ এপ্রিল ২০২৫ গাজার ৫০ শতাংশ ইসরায়েলের দখলে, নিজভূমে পরবাসী ফিলিস্তিনিরা
  7. ০৩:১৯ পিএম, ০৭ এপ্রিল ২০২৫ নেতানিয়াহুর বাড়ির সামনে জিম্মিদের পরিবারের সদস্যদের বিক্ষোভ
  8. ১১:৪৯ এএম, ০৭ এপ্রিল ২০২৫ গাজায় ইসরায়েলি হামলার প্রতিবাদে মরক্কোতে ব্যাপক বিক্ষোভ
  9. ১০:৫২ এএম, ০৭ এপ্রিল ২০২৫ গাজায় ইসরায়েলি হামলায় আরও এক সাংবাদিক নিহত
  10. ০৯:৪৬ এএম, ০৭ এপ্রিল ২০২৫ গাজায় ইসরায়েলি বিমান হামলায় নিহত আরও ৪৪
  11. ০৮:৫২ এএম, ০৭ এপ্রিল ২০২৫ গাজা থেকে ইসরায়েলে কয়েক দফা রকেট হামলা
  12. ০৭:২২ পিএম, ০৬ এপ্রিল ২০২৫ গাজায় ইসরায়েলি গণহত্যা: বৈশ্বিক ধর্মঘটের ডাক
  13. ০৪:৫৫ পিএম, ০৬ এপ্রিল ২০২৫ গাজায় গণহত্যার বিরুদ্ধে হোয়াইট হাউজের সামনে বিক্ষোভ
  14. ০৪:৩৫ পিএম, ০৬ এপ্রিল ২০২৫ রাফাহকে গাজা থেকে বিচ্ছিন্ন করতে চায় ইসরায়েল
  15. ১২:৩০ পিএম, ০৬ এপ্রিল ২০২৫ গাজায় ইসরায়েলি হামলায় নিহত ৬০, আহত ১৬২
  16. ০৮:৫৪ এএম, ০৬ এপ্রিল ২০২৫ গাজায় ১৫ স্বাস্থ্যকর্মীকে গুলি করে হত্যা করেছে ইসরায়েল
  17. ০৭:২০ পিএম, ০৫ এপ্রিল ২০২৫ গাজার উত্তরাঞ্চলে ইসরায়েলি বিমান হামলায় নিহত ১৭
  18. ০৮:২৬ এএম, ০৫ এপ্রিল ২০২৫ গাজায় প্রতিদিন ১০০ শিশু হতাহতের শিকার
  19. ০৯:০৮ এএম, ০৪ এপ্রিল ২০২৫ গাজার একাধিক স্কুলে ইসরায়েলের হামলা, ১৮ শিশুসহ নিহত ৩৩
  20. ০১:১৬ পিএম, ০১ এপ্রিল ২০২৫ গাজায় ইসরায়েলি হামলায় ১০ দিনে ৩২২ শিশু নিহত: জাতিসংঘ
  21. ০৯:৪১ এএম, ০১ এপ্রিল ২০২৫ গাজায় ১৫ সহায়তা কর্মী হত্যা করলো ইসরায়েল, যুক্তরাষ্ট্র বলছে দোষ হামাসের

বিজ্ঞাপন