মিয়ানমারে ভূমিকম্পের পর নামেই যুদ্ধবিরতি, থামেনি সংঘাত

ভয়াবহ ভূমিকম্পের পর মিয়ানমারের সামরিক সরকার এবং বিদ্রোহী জোট যুদ্ধবিরতির ঘোষণা দিলেও বাস্তবে দেশজুড়ে লড়াই থামেনি। জাতিসংঘের মানবাধিকার অফিসের তথ্য অনুযায়ী, যুদ্ধবিরতি শুরু হওয়ার পর থেকে গত শুক্রবার পর্যন্ত মিয়ানমার সেনাবাহিনী অন্তত ১৪ বার বিদ্রোহীদের ওপর হামলা চালিয়েছে।
সেনাবাহিনী অভিযোগ করেছে, যুদ্ধবিরতি ঘোষণা দেওয়া তিন বিদ্রোহী গোষ্ঠীর একটি জোটের অন্তত দুটি গোষ্ঠী তাদের ওপর হামলা চালিয়েছে। পাল্টা বক্তব্যে বিদ্রোহী একটি দল দাবি করেছে, সেনাবাহিনীর ‘আক্রমণাত্মক তৎপরতার’ জবাবে তারা প্রতিরোধ গড়ে তুলেছিল।
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
আরও পড়ুন>>
সামরিক কাউন্সিলের মুখপাত্র মেজর জেনারেল জ অ মিন তুন এক বিবৃতিতে বলেন, অকারণে আমাদের ঘাঁটি লক্ষ্য করে হামলা হলে আমরা জবাব দেবো। তবে বিবিসি বার্মিজের মন্তব্য চাওয়ার পর সেনাবাহিনী আর আনুষ্ঠানিকভাবে কিছু জানায়নি।
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
জাতিসংঘের মানবাধিকার প্রধান ভলকার তুর্ক বলেছেন, মিয়ানমারে সব ধরনের সামরিক অভিযান বন্ধ করে ভূমিকম্পে ক্ষতিগ্রস্তদের সহায়তা ও মানবিক সংস্থাগুলোর নিরবচ্ছিন্ন প্রবেশাধিকার নিশ্চিত করতে হবে।
রাষ্ট্রীয় সংবাদমাধ্যমের খবর অনুসারে, গত ২৮ মার্চ আঘাত হানা ৭ দশমিক ৭ মাত্রার ভূমিকম্পে মিয়ানমারে অন্তত ৩ হাজার ৫৬৪ জন প্রাণ হারিয়েছেন। আহত হয়েছেন আরও ৫ হাজার ১২ জন এবং এখনো নিখোঁজ অন্তত ২১০ জন।
বিজ্ঞাপন
মিয়ানমারের সেনা সরকার গত ২ এপ্রিল ২০ দিনের যুদ্ধবিরতি ঘোষণা করে। এর আগেই যুদ্ধবিরতির ঘোষণা দিয়েছিল বিদ্রোহী জোট।
ভূমিকম্পে বিধ্বস্ত মান্দালয়ে এখনো ধ্বংসস্তূপের নিচ থেকে মরদেহ উদ্ধার করা হচ্ছে। বর্ষার আগমনে উদ্ধার ও ত্রাণ কার্যক্রম আরও জটিল হয়ে উঠতে পারে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেছে বিভিন্ন ত্রাণ সংস্থা।
জাতিসংঘ মানবাধিকার অফিস জানিয়েছে, মিয়ানমারের কিছু এলাকায় প্রবেশাধিকার পাওয়ায় মানবিক সহায়তা দেওয়া গেলেও অনেক ক্ষতিগ্রস্ত অঞ্চল এখনো সেনাবাহিনীর নিষেধাজ্ঞার কারণে বহিরাগত সহায়তার আওতায় আসেনি। সেখানে কেবল স্থানীয় বাসিন্দারাই উদ্যোগ নিচ্ছেন।
বিজ্ঞাপন
২০২১ সালে সামরিক অভ্যুত্থানের পর থেকেই মিয়ানমারে সেনা সরকারের বিরুদ্ধে বিভিন্ন জাতিগোষ্ঠীর সশস্ত্র প্রতিরোধ অব্যাহত রয়েছে।
সূত্র: বিবিসি
কেএএ/
বিজ্ঞাপন