ব্যাপক বিক্ষোভ সত্ত্বেও তুরস্কে বিরোধীনেতা কারাগারে

তুরস্কের একটি আদালত ইস্তাম্বুলের মেয়র একরেম ইমামোলুকে দুর্নীতির অভিযোগে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছে। ইমামোলু তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেফ তাইয়্যেপ এরদোয়ানের একজন প্রধান প্রতিদ্বন্দ্বী।
একরেম ইমামোলু তুরস্কের প্রধান বিরোধী দল রিপাবলিকান পিপলস পার্টি সিএইচপির নেতা ও ইস্তাম্বুলের বর্তমান মেয়র। গত ১৯ মার্চ তাকে আটক করা হয়।
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
স্থানীয় সংবাদমাধ্যম আনাদোলু এজেন্সি জানিয়েছে, একইসময়ে ইমামোলুর সঙ্গে ঘনিষ্ঠ বা যোগাযোগ আছে এমন আরও প্রায় ১০০ জনকে আটক করা হয়।
ইমামোলুর বিরুদ্ধে পৌর চুক্তি সংক্রান্ত দুর্নীতি, চাঁদাবাজি, ঘুস ও অর্থ পাচার ছাড়াও সন্ত্রাসবাদ সমর্থন দেওয়ার অভিযোগ আনা হয়েছে। সব অভিযোগে দোষী সাব্যস্ত হলে ইমামোলু ৩৫ বছর পর্যন্ত কারাদণ্ড পেতে পারেন।
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
ইমামোলুর গ্রেফতারের ঘটনায় তার সমর্থকরা তুরস্ক জুড়ে ব্যাপক বিক্ষোভ প্রদর্শন করেন। দেশটির ৮১টি প্রদেশের অন্তত ৫৫টিতে বিক্ষোভকারীরা পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষে জড়িয়েছে। শুধু ইস্তাম্বুলেই তিন লাখেরও বেশি মানুষ প্রতিবাদে অংশ নিয়েছেন বলে দাবি করেছেন সিএইচপি নেতা ওজগুর ওজেল। সরকার ২৬ মার্চ পর্যন্ত জনসমাবেশ নিষিদ্ধ করেছে। তিনশ জনেরও বেশি বিক্ষোভকারীকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
বিরোধীরা ইমামোলুর গ্রেফতারকে রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত বলে দাবি করছে, যাতে তাকে ভবিষ্যৎ প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে প্রার্থী হওয়া থেকে বিরত রাখা যায়। ইমামোলু তার বিরুদ্ধে আনা সমস্ত অভিযোগ অস্বীকার করেছেন ও তার দল সিএইচপি তাকে প্রেসিডেন্ট প্রার্থী হিসেবে মনোনীত করার প্রক্রিয়া অব্যাহত রেখেছে। নাগরিকদের ইমামোলুর প্রতি সমর্থন দেখানোর জন্য তুরস্ক জুড়ে প্রতীকী সংহতি বাক্স রাখা হয়েছে। ব্যালটের মতো সেখানে জনগণ তাদের এই নেতার প্রতি সমর্থন জানাতে পারবেন।
বিজ্ঞাপন
এর আগে সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করা একটি বার্তায় তিনি বলেছেন, আমরা কঠিন নিপীড়নের মুখোমুখি হচ্ছি। কিন্তু আমি হার মানবো না। আমি নিজেকে আমার জাতির কাছে সমর্পণ করছি।
ইমামোলু ২০১৯ সালে প্রথমবার ইস্তাম্বুলের মেয়র নির্বাচিত হন, যা এরদোয়ানের দল একে পার্টির জন্য একটি বড় পরাজয় ছিল। ইস্তাম্বুল তুরস্কের বৃহত্তম শহর এবং অর্থনৈতিক কেন্দ্র। এই শহর দীর্ঘ ২৫ বছর ধরে একে পার্টি ও তার পূর্বসূরি ইসলামপন্থি দলগুলোর নিয়ন্ত্রণে ছিল। ইমামোলুর এই বিজয় এরদোয়ানের রাজনৈতিক ক্যারিয়ারের জন্য একটি বড় আঘাত হিসেবে দেখা হয়। ২০২৪ সালে তিনি বড় ব্যবধানে আবার মেয়র নির্বাচিত হন।
সূত্র: ডয়েচে ভেলে, রয়টার্স
বিজ্ঞাপন
এমএসএস
বিজ্ঞাপন