স্লোভেনিয়ায় করোনাভাইরাস শনাক্ত
রাকিব হাসান, স্লোভেনিয়া থেকে
স্লোভেনিয়ায় এই প্রথমবারের মতো করোনাভাইরাসে আক্রান্ত রোগী শনাক্ত করা হয়েছে। ওই ব্যক্তির নাম ও পরিচয় গোপন রাখা হয়েছে। এ ছাড়াও দেশটিতে করোনা সন্দেহে আরও একজনকে নজরবন্দি রাখা হয়েছে যিনি এ আক্রান্ত ব্যক্তির সঙ্গে বসবাস করতেন জানা গেছে।
দেশটির স্বাস্থ্যমন্ত্রী অ্যালেস সাবেদার এ তথ্যটি নিশ্চিত করেছেন। আক্রান্ত ব্যক্তি মরোক্কো ভ্রমণ করেছিলেন। ধারণা করা হচ্ছে মরোক্কো থেকে ইতালি হয়ে স্লোভেনিয়া ফেরার পথে তিনি এ ভাইরাসে সংক্রমিত হয়েছেন।
অন্যদিকে অস্ট্রিয়ার রাজধানী ভিয়েনায় অবস্থিত বাংলাদেশ অ্যাম্বাসির প্রথম সচিব এবং দূতালয় প্রধান মো. তারাজুল ইসলামের পক্ষ থেকে এক বিবৃতিতে অস্ট্রিয়া, স্লোভেনিয়া, হাঙ্গেরি এবং ক্রোয়েশিয়াতে বসবাসরত সকল প্রবাসী বাংলাদেশিদেরকে সর্বোচ্চ সতর্কতা মেনে চলার আহ্বান জানানো হয়েছে। একই সঙ্গে কাউকে আতঙ্কিত না হওয়ার জন্যও নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
যে কোনো জরুরি প্রয়োজনে সার্বিক সহযোগিতার জন্য দূতাবাসের হটলাইন নম্বর +৪৩১৩৬৮১১১১ এ ফোন করার জন্য অনুরোধ করা হয়েছে।
চীনে করোনাভাইরাসে মৃত্যুর মিছিল এখনও থামেনি। বৃহস্পতিবার এই দলে শামিল হয়েছেন আরও ৩০ জন। এ নিয়ে দেশটিতে মোট মৃতের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৩ হাজার ৪২ জন।
গতকাল চীনের মূল ভূখণ্ডে নতুন করে আরও ১৪৩ জন করোনা আক্রান্ত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে। বুধবার নতুন রোগী পাওয়া গিয়েছিল ১৩৯ জন। গতকাল এই সংখ্যা কিছুটা বাড়লেও গবেষকদের হিসাবে, চীনে করোনাভাইরাস সংক্রমণের হার অনেকটাই কমে এসেছে, বিশেষ করে ভাইরাসটির উৎস হুবেই প্রদেশের বাইরে।
বৃহস্পতিবার হুবেইয়ে মারা গেছেন আরও ২৯ জন, এর মধ্যে উহান শহরেই মৃত্যুর ঘটনা ২৩টি। চীনে এ পর্যন্ত ৮০ হাজার ৫৫২ জনের শরীরে করোনাভাইরাস ধরা পড়েছে।
দেশটিতে করোনা নিয়ন্ত্রণে নিয়োজিত এক জ্যেষ্ঠ গবেষক জানিয়েছেন, চলতি মাসের মাঝামাঝি সময়েই উহান বাদে চীনের অন্য শহরগুলোতে করোনাভাইরাস সংক্রমণের হার শূন্যের কোঠায় নেমে আসতে পারে। গত ৩১ ডিসেম্বর চীনের উহানে প্রথমবারের মতো ধরা পড়ে করোনাভাইরাস। এরপর অন্তত ৮০টি দেশ ও অঞ্চলে ছড়িয়ে পড়েছে প্রাণঘাতী এই ভাইরাস। এর মধ্যে চীনের পর সবচেয়ে বেশি আক্রান্ত দক্ষিণ কোরিয়ায়। দেশটিতে অন্তত ৬ হাজার ২৮৪ জনের শরীরে করোনা শনাক্ত হয়েছে, মারা গেছেন ৪২ জন।
মৃত্যুর সংখ্যায় দ্বিতীয় অবস্থানে ইউরোপের দেশ ইতালি। দেশটিতে এ পর্যন্ত অন্তত ১৪৮ জন মারা গেছেন, আক্রান্ত হয়েছেন ৩ হাজার ৮৫৮ জন। এছাড়া, মধ্যপ্রাচ্যের দেশ ইরানেও ভয়াবহ অবস্থা সৃষ্টি হয়েছে। দেশটিতে এ পর্যন্ত অন্তত সাড়ে তিন হাজার মানুষ করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন, মারা গেছেন ১০৭ জন।
এমআরএম/পিআর