ভিডিও EN
  1. Home/
  2. স্বাস্থ্য

আন্দোলনে আহতদের জন্য এনজিওগুলোকে এগিয়ে আসার আহ্বান

নিজস্ব প্রতিবেদক | প্রকাশিত: ০৯:৫১ এএম, ০৯ ডিসেম্বর ২০২৪

স্বাস্থ্য উপদেষ্টা নূরজাহান বেগম বলেছেন, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-জনতার আন্দোলনে ৮৭৩ জন শহীদ হয়েছেন। ২১ হাজারের বেশি মানুষ আহত হয়েছেন। এনজিওগুলোর দেশের আনাচে কানাচে কাজ করার সুযোগ রয়েছে।

এনজিওগুলো যদি এমন রোগী খুঁজে পায় যে আন্দোলনে আহত হয়ে চিকিৎসা পাচ্ছে না। কিংবা আগে রিকশা চালিয়ে জীবনযাপন করতেন, এখন পা হারিয়ে আয় উপার্জন বন্ধ হয়ে গেছে। এরকম অসহায় মানুষদের কর্মসংস্থানের জন্য এনজিওগুলোকে এগিয়ে আসতে হবে।

রোববার (৮ ডিসেম্বর) এনজিও ব্যুরোর উদ্যোগে স্বাস্থ্য সেবায় এনজিওর সম্পৃক্ততা শীর্ষক মতবিনিময় সভায় তিনি এ কথা বলেন।

তিনি বলেন, এই যে ২১ হাজার ইনজুরড হয়েছে এবং যারা ৪০ জন দুই চোখ হারিয়েছেন ওদের ভবিষ্যৎ কি? এরা আমাদেরই সন্তান। আমি যদি নিজের চোখ বন্ধ করে দেখি আমার চোখ নাই, তাহলে আমার জগৎটাকে কীভাবে দেখবো? কাজেই এই যে একটা মানসিক ট্রমার মধ্য দিয়ে তারা যাচ্ছে, তাদের পাশে আমাদের দাঁড়াতে হবে।

স্বাস্থ্য উপদেষ্টা আরও বলেন, সবাইকে মিলেমিশে দায়িত্ব নিতে হবে। এনজিওগুলোর প্রতি আহ্বান করবো যে মানুষগুলো আহত হয়ে পড়েছে, তাদের পড়াশোনা কিংবা কাজের মধ্যে কিভাবে নিয়ে আসা যায় সে ব্যাপারে আপনারা সহযোগিতা করবেন। আন্দোলনে আহতদের মধ্যে ৭০ শতাংশ সাধারণ মানুষ। তাদের মধ্যে রিকশা, ভ্যানগাড়ি চালকও রয়েছে, বাকিরা শিক্ষার্থী।

তিনি বলেন, দেশে মাতৃমৃত্যু, শিশুমৃত্যু, বাল্যবিয়ে, স্কুল থেকে শিক্ষার্থী ঝড়ে পড়া নিয়ে উদ্বেগ আছে। এগুলো নিয়ে বিভিন্ন এনজিওগুলোর সঙ্গে সরকার সমন্বয় করে কাজ করতে পারে। এখন ডেঙ্গুতে মানুষ মারা যাচ্ছে। সবাই সচেতন হলে ডেঙ্গুতে আর একজনও মারা যাওয়ার কথা না। তাই জনগণের মাঝে সচেতনতা তৈরি করার জন্য সবাইকে নিজ নিজ অবস্থান থেকে এগিয়ে আসতে হবে। এছাড়া সিগারেট, ই-সিগারেট, তামাকের ব্যবহার বন্ধ করতে হবে। দেশের স্বাস্থ্যখাতে অনেক দুর্নীতি, অব্যবস্থাপনা হয়েছে। রয়েছে অনেক সংকটও। সরকার একদিনে সবকিছু করতে হয়তো পারবে না। কিন্তু আমরা যদি পারষ্পরিক সহযোগিতায় পথটা তৈরি করে দিতে পারি, তাহলে দেশ এগিয়ে যাবে।

এনজিও বিষয়ক ব্যুরোর মহাপরিচালক (ভারপ্রাপ্ত) মো. আনোয়ার হোসেনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত এ মতবিনিময় সভায় বিশেষ অতিথি ছিলেন প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ের সচিব মো. সাইফুল্লাহ পান্না এবং স্বাস্থ্য সেবা বিভাগের সচিব মো. সাইদুর রহমান। এছাড়া এতে দেশের মানুষের স্বাস্থ্যসেবা নিয়ে কাজ করছে এমন দেশি ও আন্তর্জাতিক এনজিওর প্রতিনিধিরা অংশগ্রহণ করেন।

এএএম/এসআইটি/জিকেএস