ভিডিও EN
  1. Home/
  2. স্বাস্থ্য

ডেঙ্গুতে একদিনে ৭ জনের মৃত্যু, হাসপাতালে ভর্তি ৮৬০

নিজস্ব প্রতিবেদক | প্রকাশিত: ০৭:০৪ পিএম, ২৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪

দেশে ক্রমেই বাড়ছে ডেঙ্গুর প্রকোপ। গত ২৪ ঘণ্টায় সারাদেশে ডেঙ্গু নিয়ে আরও ৮৬০ জন হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। এতে ডেঙ্গুতে আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ২৮ হাজার ৫৬৫ জন। এ সময় নতুন করে এ বছরের সর্বোচ্চ সাতজনের মৃত্যু হয়েছে। চলতি বছর মশাবাহিত রোগটিতে মৃত্যুর সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১৫০ জনে।

শনিবার (২৮ সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যায় স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের হেলথ ইমার্জেন্সি অপারেশন সেন্টার ও কন্ট্রোল রুম থেকে পাঠানো ডেঙ্গুবিষয়ক নিয়মিত প্রতিবেদনে এসব তথ্য জানানো হয়।

প্রতিবেদনে বলা হয়, সারাদেশে গত ২৪ ঘণ্টায় ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত হয়ে ৮৬০ জন হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। আক্রান্তদের মধ্যে ঢাকার দুই সিটি করপোরেশন এলাকায়ই ৩৭৬ জন। এছাড়া ঢাকা বিভাগে ১০৯ জন, বরিশালে ১০১ জন, চট্টগ্রামে ১৬৪ জন, খুলনায় ৫৩ জন, ময়মনসিংহে ৩২ জন ও রাজশাহীতে দুজন রোগী হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন।

চলতি বছরের ১ জানুয়ারি থেকে ২৮ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত সারাদেশে ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন মোট ২৮ হাজার ৫৬৫ জন। যাদের মধ্যে ৬২ দশমিক ৮ শতাংশ পুরুষ এবং ৩৭ দশমিক ২ শতাংশ নারী।

১ জানুয়ারি থেকে ২৮ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত মৃত ১৫০ জনের মধ্যে ৫২ শতাংশ নারী এবং ৪৮ শতাংশ পুরুষ।

প্রতি বছর বর্ষাকালে ডেঙ্গুর প্রকোপ দেখা দেয়। ২০২৩ সালের জুন মাস থেকে ডেঙ্গু পরিস্থিতি ভয়াবহ আকার ধারণ করে। গত বছর দেশে তিন লাখ ২১ হাজার ১৭৯ জন রোগী হাসপাতালে ভর্তি হয়ে চিকিৎসা নেন। এর মধ্যে ঢাকায় এক লাখ ১০ হাজার ৮ জন এবং ঢাকার বাইরে চিকিৎসা নিয়েছেন দুই লাখ ১১ হাজার ১৭১ জন।

আক্রান্তদের মধ্যে হাসপাতাল থেকে সুস্থ হয়ে বাড়ি ফেরেন তিন লাখ ১৮ হাজার ৭৪৯ জন। গত বছর এক হাজার ৭০৫ জন মশাবাহিত এই রোগে মারা গেছেন, যা দেশের ইতিহাসে এক বছরে সর্বোচ্চ মৃত্যু।

এর আগে ২০১৯ সালে দেশব্যাপী ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়েছিলেন এক লাখ এক হাজার ৩৫৪ জন। ওই সময় চিকিৎসক-স্বাস্থ্যকর্মীসহ প্রায় ৩০০ জনের মৃত্যু হয়েছিল।

২০২০ সালে করোনা মহামারিকালে ডেঙ্গুর সংক্রমণ তেমন একটা দেখা না গেলেও ২০২১ সালে সারাদেশে ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত হন ২৮ হাজার ৪২৯ জন। ওই বছর ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে ১০৫ জনের মৃত্যু হয়েছিল।

এছাড়া ২০২২ সালে ডেঙ্গু নিয়ে মোট ৬২ হাজার ৩৮২ জন হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিলেন। ওই বছর মশাবাহিত রোগটিতে আক্রান্ত হয়ে ২৮১ জন মারা যান।

এএএম/জেএইচ/জেআইএম