ভিডিও EN
  1. Home/
  2. স্বাস্থ্য

স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের ডিজির নিয়োগ বাতিলসহ ৭ দাবি ড্যাবের

নিজস্ব প্রতিবেদক | প্রকাশিত: ০১:৪৭ পিএম, ০৭ সেপ্টেম্বর ২০২৪

স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক (ডিজি) ডা. রোবেদ আমীনের নিয়োগ বাতিলসহ ৭ দাবি জানিয়েছে ডক্টরস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (ড্যাব)।

শনিবার (৭ সেপ্টেম্বর) জাতীয় প্রেস ক্লাবে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এসব দাবি জানানো হয়।

ডক্টরস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (ড্যাব) মহাসচিব ডা. মো. আব্দুস সালাম এতে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন।

ড্যাবের দাবিগুলো হলো:

১। স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক পদের অযোগ্য দুর্নীতিবাজ ডা. রোবেদ আমীনসহ অন্যান্য সুবিধাপ্রাপ্ত ও ফ্যাসিবাদের দোসর, যাদের স্বাস্থ্য অধিদপ্তরে ও অন্যান্য স্বাস্থ্য প্রতিষ্ঠানের গুরুত্বপূর্ণ পদে নিয়োগ প্রদান করা হয়েছে তাদের নিয়োগ আদেশ বাতিল করতে হবে।

২। আহত ছাত্র জনতাকে যারা চিকিৎসা দিতে অস্বীকার করেছে (বিএসএমএমইউ থেকে শুরু করে সব সরকারি ও বেসরকারি প্রতিষ্ঠান) তাদের তালিকা প্রণয়ন করে বিএমডিসি এর রেজিস্ট্রেশন বাতিল করতে হবে। শান্তি সমাবেশে যোগদানকারী ও ফ্যাসিবাদের দোসর সব চিকিৎসক, কর্মকর্তা ও কর্মচারীকে তার পদ থেকে অব্যাহতি দিতে হবে এবং তাদের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে।

৩। অতিদ্রুত বৈষম্যের শিকার সব চিকিৎসক ও কর্মচারীদের ভূতাপেক্ষভাবে পদোন্নতি দিয়ে বৈষম্য দূর করতে হবে। তাহলেই দক্ষ ও যোগ্য কর্মকর্তাদের পদায়ন করে স্বাস্থ্য প্রশাসন ঢেলে সাজানো সম্ভব হবে।

৪। মেডিকেল কলেজসহ প্রতিটি হাসপাতাল দুর্নীতির আখড়ায় পরিণত হয়েছে। এ সব প্রতিষ্ঠান দুর্নীতিমুক্ত করতে যোগ্য ও বৈষম্যের শিকার চিকিৎসকদের যথোপযুক্ত পদে পদায়িত করতে হবে। বিগত দীর্ঘ ১৬ বছর সময়ে স্বাস্থ্য খাতে যত দুর্নীতি হয়েছে তার শ্বেতপত্র প্রকাশ ও দায়ী ব্যক্তিদের বিচারের আওতায় আনতে হবে।

৫। মেডিকেল কলেজ, মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়, ইনস্টিটিউট, নার্সিং কলেজসহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে অতিদ্রুত স্বৈরাচারের দোসরদের সরিয়ে বৈষম্যের শিকার চিকিৎসকদের পদায়ন করতে হবে।

৬। প্রতিবাদকারী যেসব চিকিৎসকদের হয়রানিমূলক বদলি করা হয়েছে সেই আদেশ অবিলম্বে বাতিল করতে হবে।

৭। স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে স্বাস্থ্য ব্যবস্থার ও চিকিৎসাসেবার গুণগতমান উন্নয়নের জন্য গঠিত বিশেষজ্ঞ প্যানেল কমিটি অতি দ্রুত বাতিল করতে হবে। ছাত্র-জনতার আন্দোলনের সঙ্গে একাত্মতা প্রকাশকারী চিকিৎসক সমাজের প্রতিনিধিত্ব রেখে কমিটি পুনঃগঠনের জোর দাবি জানান তারা।

এক প্রশ্নের জবাবে ড্যাবের সভাপতি হারুন আল রশিদ বলেন, অনেক কষ্টের বিনিময়ে এই সরকার এসেছে। উপদেষ্টার পদত্যাগ চাইনা। তবে এই সরকারের কোনো অংশ যদি স্বৈরাচারকে পুনর্বাসন করতে চায় আমরা তার বিরুদ্ধে। এছাড়াও স্বাস্থ্য সংস্কারে যে কমিটি করা হয়েছে তা সময় উপযোগী হলেও, সেখানে দায়িত্ব রিয়েল স্টেক হোল্ডারসদের সংযুক্ত করা হয়নি। আমরা চাই এই কমিটি বাতিল করে নতুন করে কমিটি দেয়া।

স্বাচিপ ও ড্যাবের রাজনীতি হাসপাতাল গুলোতে বন্ধ করতে চাওয়া হচ্ছে। এ বিষয়ে প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন, ছাত্র রাজনীতি বন্ধ করার ঘোষণা মাথা ব্যাথা হলে মাথা কেটে ফেলার মতো অবস্থা হবে। আমরা ছাত্র রাজনীতির কালো দিকটার অবসান চাই।

এএএম/এসআইটি/এএসএম