ভিডিও EN
  1. Home/
  2. স্বাস্থ্য

চিকিৎসকদের কর্মবিরতিতে চমেকে দুর্ভোগ

নিজস্ব প্রতিবেদক | প্রকাশিত: ০৫:১৩ পিএম, ০১ সেপ্টেম্বর ২০২৪

ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসকদের ওপর হামলার প্রতিবাদে সেবা দেওয়া বন্ধ রেখেছেন চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালের চিকিৎসকরা। বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে হাসপাতালের মূল ফটক ও জরুরি বিভাগ। ইন্টার্ন চিকিৎসকদের পাশাপাশি নিয়মিত চিকিৎসকরা ও নার্সরাও এতে যোগ দিয়েছেন।

ঢাকায় ‘কমপ্লিট শাটডাউন’ কর্মসূচির ঘোষণার পর রোববার (১ সেপ্টেম্বর) বিকেল ৩টার পরে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালেও সেবা দেওয়া বন্ধ করে দেওয়া হয়।

চিকিৎসকদের কর্মবিরতিতে কার্যত অচল হয়ে পড়েছে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল। রোগীরা পড়েছেন বিপাকে। জরুরি বিভাগে মিলছে না চিকিৎসা। ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন রোগী ও তাদের স্বজনেরা।

ফেনী থেকে চমেকে চিকিৎসা নিতে এসেছিলেন শিক্ষার্থী মিজানুর রহমান। তিনি বলেন, ‘আমি কানের চিকিৎসার জন্য ফেনী থেকে এসেছি। জরুরি বিভাগে ভর্তি হলেও ওনারা দেখেননি। ছাত্ররা এসে নিষেধ করে দিয়েছে। কর্তব্যরত চিকিৎসক আমাকে না দেখে ফেনীতে মেডিসিনের চিকিৎসককে দেখাতে পরামর্শ দিয়েছেন।’

আন্দোলনরত ইন্টার্ন চিকিৎসকদের একজন ইয়াসেফ হাসান বলেন, ‘গতানুগতিকভাবে দেখা যাচ্ছে হাসপাতালে কোনো একজন রোগী যদি মারা যান, তাহলে সব দোস দেওয়া হয় ডাক্তারদের। একজন ডাক্তার কখনো কোনো রোগীকে মেরে ফেলতে চান না, সবসময় বাঁচানোর চেষ্টা করেন। আন্দোলন ঘিরে এত রোগীকে তো আমরাই চিকিৎসা দিয়েছি। কিন্তু এখন কেন আমাদের ওপর হামলা হবে?’

এর আগে রোববার দুপুরে চিকিৎসকদের সঙ্গে বৈঠকে বসেন চমেক হাসপাতালের পরিচালক বিগ্রেডিয়ার জেনারেল ডা. তছলিম উদ্দিন খান। প্রায় দুই ঘণ্টা ধরে চলে এ বৈঠক। বৈঠকে চমেক হাসপাতাল পরিচালক শাটডাউন কর্মসূচি থেকে সরে আসতে চিকিৎসকদের বোঝানোর চেষ্টা করেন। কিন্তু শেষ পর্যন্ত তা সম্ভব হয়নি বলে জানা গেছে।

চমেক হাসপাতালের সহকারী পরিচালক (প্রশাসন) রাজিব কুমার পালিত বলেন, ‘চিকিৎসকরা তাদের নিরাপত্তা চান। পরিচালক আশ্বস্ত করেছিলেন, নিরাপত্তায় কোনো বিঘ্ন ঘটবে না। তাতেও কাজ হয়নি।’

এর আগে শনিবার বিকেলে বাংলাদেশ ইউনিভার্সিটি অব বিজনেস টেকনোলজির (বিইউবিটি) শিক্ষার্থী আহসানুল হক দীপ্তর মৃত্যুকে কেন্দ্র করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসকদের ওপর হামলার ঘটনা ঘটে। ঢামেকে অপারেশন থিয়েটারে ঢুকে চিকিৎসকদের মারপিট করা হয় বলে অভিযোগ চিকিৎসকদের।

রোববার সকালে হামলাকারীদের গ্রেফতার-বিচার, নিরাপদ কর্মস্থল নিশ্চিত করাসহ চার দফা দাবিতে দেশের সব হাসপাতালে ‘কমপ্লিট শাটডাউন’ কর্মসূচির ঘোষণা দেন ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের নিউরো সার্জারি বিভাগের আবাসিক সার্জন আবদুল আহাদ।

এএজেড/ইএ/জিকেএস