ভিডিও EN
  1. Home/
  2. স্বাস্থ্য

রোবেদ আমিনসহ স্বাস্থ্যের শীর্ষ কর্মকর্তাদের অপসারণ দাবি

নিজস্ব প্রতিবেদক | প্রকাশিত: ০৯:২১ পিএম, ১৯ আগস্ট ২০২৪

স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের নতুন ভারপ্রাপ্ত মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. রোবেদ আমিনকে ‘স্বৈরাচার হাসিনার পক্ষের শক্তি’ উল্লেখ করে তাকে প্রত্যাখ্যানের ঘোষণা দিয়েছেন ডক্টরস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশসহ (ড্যাব) অধিদপ্তরের সাধারণ চিকিৎসকরা। একই সঙ্গে অতিরিক্ত মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. আহমদুল কবির, অধ্যাপক ডা. বায়েজিদ খুরশিদ রিয়াজ, স্বাস্থ্য শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. টিটু মিয়া এবং নিপসম পরিচালক ডা. মো. শামিউল ইসলাম সাদীসহ অনেক কর্মকর্তার পদত্যাগ চেয়েছে তারা।

সোমবার (১৯ আগস্ট) সকালে রাজধানীর মহাখালী স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের সামনে অবস্থান নিয়ে ড্যাবের চিকিৎসকরা এসব দাবি করেন।

তারা বলেন, বৈষম্যবিরোধী চিকিৎসক-কর্মচারী আন্দোলনে হাসিনা সরকারের পক্ষ নিয়ে করা শান্তি সমাবেশ, মিছিল ও রাজপথে থাকা স্বাস্থ্য অধিদপ্তরসহ বিভিন্ন হাসপাতালের পরিচালক ও বিভিন্ন পর্যায়ের কর্মকর্তাদের অবিলম্বে অপসারণ করতে হবে। বিশেষ করে অতিরিক্ত মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. আহমেদুল কবির, অধ্যাপক ডা. বায়েজিদ খুরশিদ রিয়াজ, স্বাস্থ্য শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. টিটু মিয়া এবং নিপসম পরিচালক ডা. মো. শামিউল ইসলাম সাদীসহ যারাই এতদিন স্বাস্থ্য অধিদপ্তরকে লুটেপুটে খেয়েছে, তাদের দ্রুততম সময়ে অপসারণ করতে হবে।

এসময় ড্যাব স্বাস্থ্য অধিদপ্তর শাখার সভাপতি ডা. ফারুক বলেন, বৈষম্যবিরোধী চিকিৎসক, কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা রোবেদ আমিনকে মহাপরিচালক হিসেবে নিয়োগের আদশে মানেন না। তাই আমরা অধিদপ্তর ঘেরাও কর্মসূচি দিয়েছি। অধিদপ্তরে মহাপরিচালকের অফিসে তাকে ঢুকতে দেওয়া হব না।

তিনি বলেন, রোবেদ আমিন একজন সুবিধাবাদী লোক। বিগত স্বৈরাচারী সরকারের শাসনামলে তিনি অধিদপ্তরের নন কমিউনিকেবল ডিজিজ (এনসিডিসি) শাখার পরিচালক হিসেবে কোটি কোটি টাকা আত্মসাৎ করেছেন। স্বৈরাচার বিরোধী আন্দোলনরত ছাত্র-জনতার বিরুদ্ধে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে অবস্থান নিয়েছিলেন। আমরা বিষয়টি নিয়ে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের দুই সমন্বয়ক সারজিস আলম ও হাসনাত আব্দুল্লাহর সঙ্গে কথা বলেছি। তারা আমাদের দাবির সঙ্গে একাত্মতা ঘোষণা করেছেন।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক আরেক চিকিৎসক বলেন, আওয়ামী সরকারের স্বাস্থ্যমন্ত্রীর ডানহাত বলে পরিচিত স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. আহমেদুল কবির বিগত ১৫ বছর ধরে সাবেক স্বাস্থ্যমন্ত্রীর প্রভাব খাটিয়ে স্বাস্থ্যখাতে নিয়োগ বাণিজ্য, বদলি বাণিজ্য করেছেন। এই কাজে তার অন্যতম সহযোগী ছিল সাবেক স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালিকের ছেলে। অবৈধ আয়ের মাধ্যমে রাজধানীর বাড্ডায় একটি বেসরকারি হাসপাতালের মালিক বনে গিয়েছেন। কোনোভাবেই তারা আর বহাল থাকতে পারে না।

তারা বলেন, ফ্যাসিস্ট সরকারের ঘনিষ্ট সহযোগীরা ছাত্র-জনতার আন্দোলনের সময় আন্দোলনের বিরোধীতা করে রাজপথে মিছিল করছে। এছাড়া বিগত ১৬ বছর স্বৈরাচারী ফ্যাসিস্ট সরকারের সুবিধা নিয়েছে। তাদের আগামী ২০ আগস্টের মধ্যে অপসারণ করে তাদের দুর্নীতি অনুসন্ধান করে ও বিচার দাবি করছি। এইসব প্রতিষ্ঠানে দেশপ্রেমিক গণতান্ত্রিক চিকিৎসক কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের পদায়ন করার জোর দাবি জানাচ্ছি।

এএএম/এমআইএইচএস/এমএস