ভিডিও EN
  1. Home/
  2. স্বাস্থ্য

দেশে ভ্যাকসিন প্ল্যান্ট তৈরিতে কারিগরি সহায়তা দেবে জিএভিআই

নিজস্ব প্রতিবেদক | প্রকাশিত: ০৯:৫৪ এএম, ২৮ মে ২০২৪

ভ্যাকসিন প্ল্যান্ট স্থাপনে বাংলাদেশকে সব ধরনের কারিগরি সহায়তা দেওয়ার গ্লোবাল অ্যালায়েন্স অব ভ্যাকসিন অ্যান্ড ইমিউনাইজেশন (জিএভিআই)।

রোববার (২৬ মে) সুইজারল্যান্ডের জেনেভায় স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণমন্ত্রী ডা. সামন্ত লাল সেনের সঙ্গে সাক্ষাৎকালে প্রতিষ্ঠানটির প্রধান নির্বাহী ডা. সানিয়া নিশতার এই আশ্বাস দেন।

সোমবার (২৭ মে) স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় থেকে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এই তথ্য জানানো হয়েছে।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, রোববার বিকেলে স্বাস্থ্যমন্ত্রী ডা. সামন্ত লাল সেনের নেতৃত্বে বাংলাদেশের প্রতিনিধিদল জিএভিআইয়ের একটি প্রতিনিধিদলের সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক বৈঠকে অংশ নেয়। জিএভিআইয়ের পক্ষে নেতৃত্ব দেন প্রতিষ্ঠানটির প্রধান নির্বাহী ডা. সানিয়া নিশতার।

এ সময় কোভিড-১৯ মহামারি মোকাবিলায় জিএভিআইয়ের পক্ষ থেকে সার্বিক সহযোগিতার জন্য ধন্যবাদ জানান স্বাস্থ্যমন্ত্রী। একই সঙ্গে ভ্যাকসিন উৎপাদনে বাংলাদেশের সক্ষমতা তৈরিতে প্রযুক্তি স্থানান্তর বিষয়ে কারিগরি সহায়তার জন্য সংস্থাটির প্রতি আহ্বান জানান তিনি।

বৈঠকে কোভিড মহামারি নিয়ন্ত্রণ ও টিকাদান কার্যক্রমে বাংলাদেশ সরকারের বলিষ্ঠ নেতৃত্বের জন্য অভিনন্দন জানান ডা. সানিয়া নিশতার। এ সময় ভ্যাকসিন প্ল্যান্ট স্থাপনে সব প্রকার সহযোগিতার আশ্বাস দেন তিনি। পাশাপাশি জিএভিআইয়ের কারিগরি সহায়তায় আগামী জুন মাসে প্যারিসে অনুষ্ঠেয় ভ্যাকসিন প্ল্যান্ট স্থাপন বিষয়ক সম্মেলনে স্বাস্থ্যমন্ত্রীকে আমন্ত্রণ জানান।

এদিকে ২০২৬ সালে মধ্যম আয়ের দেশে উন্নীত হওয়ার জন্য তালিকাভুক্ত হয়েছে বাংলাদেশ। নিয়মানুযায়ী, এরপর থেকে মধ্যম আয়ের দেশ হিসেবে বাংলাদেশের টিকাদান কার্যক্রমে জিএভিআইয়ের অনুদানের সুযোগ সীমাবদ্ধ। তবুও ২০৩০ সালের মধ্যে টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রার অভিষ্ট সূচক অর্জনে বাংলাদেশকে সহযোগিতার আশাবাদ ব্যক্ত করেছেন ডা. সানিয়া নিশতার। বাংলাদেশের স্বাস্থ্য ব্যবস্থার সাফল্যের ধারাবাহিকতা বজায় রাখতে সম্ভাব্য সব সহযোগিতা অব্যাহত রাখার আশ্বাসও প্রকাশ করেন তিনি।

আরও পড়ুন

বৈঠকে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের স্বাস্থ্যসেবা বিভাগের সচিব জাহাঙ্গীর আলমসহ স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক (পরিকল্পনা ও উন্নয়ন) ডা. মীরজাদী সেব্রিনা ফ্লোরা, পরিচালক (পরিকল্পনা ও গবেষণা), যুগ্ম সচিব (স্বাস্থ্য সেবা বিভাগ) ও বাংলাদেশ স্থায়ী মিশন, মন্ত্রণালয়, অধিদপ্তরের অন্যান্য কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

পরে ‘গ্যালভানাইজিং পলিটিক্যাল কমিটমেন্ট ফর ম্যাটারনাল, নিওন্যাটাল অ্যান্ড চাইল্ড হেলথ’ বিষয়ক একটি প্যানেল ডিসকাশনে আলোচক হিসেবে উপস্থিত হন স্বাস্থ্যমন্ত্রী ডা. সামন্ত লাল সেন। এ সময় মাতৃ ও শিশুমৃত্যু রোধে বাংলাদেশের অগ্রগতি ও তা আরও কমিয়ে আনতে সুনির্দিষ্ট লক্ষ্য, কর্মপরিকল্পনা ও উদ্যোগের কথা তুলে ধরেন মন্ত্রী।

দেশে ভ্যাকসিন প্ল্যান্ট তৈরিতে কারিগরি সহায়তা দেবে জিএভিআই

রোববার সকালে জেনেভায় ৭৭তম বিশ্ব স্বাস্থ্য সম্মেলনের আনুষ্ঠানিক কার্যক্রম শুরু হয়। এদিন জাতিসংঘ ভবনে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার আঞ্চলিক পরিচালক ড. সায়েমা ওয়াজেদ পুতুলের সভাপতিত্বে বাংলাদেশসহ আঞ্চলিক দেশগুলোর প্রতিনিধিদের উপস্থিতিতে টেকনিক্যাল ব্রিফিং সেশন অনুষ্ঠিত হয়।

ব্রিফিং সেশনে তিনি জলবায়ু পরিবর্তন, অ্যান্টিমাইক্রোবিয়াল রেজিস্টেন্স, মহামারির ঝুঁকিসহ স্বাস্থ্য ব্যবস্থার ক্রমবর্ধমান চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় ৭৭তম বিশ্ব স্বাস্থ্য সম্মেলনে এ অঞ্চলের দেশগুলোকে একযোগে ‘রিজিওনাল ওয়ান ভয়েস’ হিসেবে কাজ করতে দিকনির্দেশনা প্রদান করেন।

অধিবেশনের প্রথম সকালে অসংক্রামক রোগের বিরুদ্ধে জনসচেতনতা ও জনসম্পৃক্ততা বাড়ানোর মাধ্যমে ব্যায়াম ও শারীরিক পরিশ্রমকে উদ্বুদ্ধ করতে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (ডব্লিউএইচও) মহাপরিচালক (ডিজি) টেড্রোস আধানম গেব্রিয়াসিস ‘ওয়াক দ্য টক’ কার্যক্রম উদ্বোধন করেন। ড. সায়েমা ওয়াজেদ পুতুলসহ স্বাস্থ্যমন্ত্রী এতে অংশগ্রহণ করেন।

বিকেলে কমনওয়েলথভুক্ত কয়েকটি দেশের স্বাস্থ্যমন্ত্রীদের নিয়ে ‘ডিজিটাল হেলথ ম্যাচিউরিটি অ্যাজ অ্যা কর্নার স্টোন অব হেলথ সার্ভিসেস’ শিরোনামে একটি পার্শ্ববর্তী আয়োজন (সাইড ইভেন্ট) অনুষ্ঠিত হয়। এতে অংশ নিয়ে ডিজিটাল প্রযুক্তির কার্যকর ও উদ্ভাবনী প্রয়োগের মাধ্যমে বাংলাদেশের স্বাস্থ্যখাতের যুগান্তকারী উন্নয়নের চিত্র তুলে ধরেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী।

এএএম/ইএ/জিকেএস