হাসপাতালে বায়োমেট্রিক ব্যবস্থায় বেড়েছে উপস্থিতি
হাসপাতালে বায়োমেট্রিক ব্যবস্থা পরিচালনা করায় চিকিৎসক ও সংশ্লিষ্টদের উপস্থিতি বেড়েছে বলে জানিয়েছেন স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. এবিএম খুরশিদ আলম। চিকিৎসার মান উন্নতি হওয়ায় স্বাস্থ্যসেবার আওতায় এসেছে দেশের বেশি সংখ্যক মানুষ।
শনিবার (৬ এপ্রিল) রাজধানীর শাহাবাগে বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব কনভেনশন হলে বিশ্ব স্বাস্থ্য দিবস ২০২৪ উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।
বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনা ক্ষমতায় বসার পর স্বাস্থ্যখাতের অনেক উন্নয়ন হয়েছে জানিয়ে তিনি বলেন, বিগত সময়ে আমাদের দেশে স্বাস্থ্য শিক্ষার ক্ষেত্রে ৩৭টি মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল করা হয়েছে, ৪২টি ১০০ শয্যার হাসপাতালকে ৫০০ শয্যায় উত্তীর্ণ করা হয়েছে।
আরও পড়ুন:
- এমপিরা এলাকায় চিকিৎসা নিলে স্বাস্থ্যসেবায় আস্থা ফিরবে: মন্ত্রী
- সফলভাবে আরও একজনের বোনম্যারো প্রতিস্থাপন করলো বিএসএমএমইউ
খুরশিদ আলম জানান, দেশে চিকিৎসকের সংখ্যা ১০ হাজার থেকে বেড়ে ৩০ হাজার হয়েছে। দেশে বায়োমেট্রিক ব্যবস্থা শুরু করায় অফিসে উপস্থিতি বেড়েছে। আমাদের উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স আছে ৫০০টি, এর মাঝে ৫০ শয্যার হাসপাতাল আছে ৩৭৬টি। ইপিআই টিকাদান প্রায় ৯৪ শতাংশ সফল হয়েছে। রাতকানা রোগ নিয়ন্ত্রণে এসেছে। বর্তমানে ৫ বছরের কম বয়সী খর্বকায় শিশুর জন্মের সংখ্যা ২৪ শতাংশে নেমে এসেছে।
স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণায়ের স্বাস্থ্য সেবা বিভাগের যুগ্ম সচিব ড. মো. জিয়াউদ্দিন, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের অসংক্রমিত ব্যাধি প্রতিরোধ প্রোগ্রামের লাইন ডিরেক্টর অধ্যাপক ডা. মো. রোবেদ আমিন, ডব্লিউএইচও এর বাংলাদেশ রিপ্রেজেনটেটিভ ডা. বার্দাং জাং রানা, স্বাস্থ্য শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. মো. টিটু মিয়া, পরিবার পরিকল্পনা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক সাহান আরা বানু, স্বাধীনতা চিকিৎসক পরিষদের (স্বাচিপ) সভাপতি ডা. মো. জামাল উদ্দিন চৌধুরী, বাংলাদেশ মেডিকেল অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি ডা. মোস্তফা জালাল মহিউদ্দিন, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বিএসএমএমইউ) উপাচার্য অধ্যাপক ডা. দীন মো. নূরুল হক, স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের স্বাস্থ্য সেবা বিভাগের সচিব মো. জাহাঙ্গীর আলম প্রমুখ।
এএএম/এসএনআর/এএসএম