স্বাস্থ্যখাতের অনিয়ম অবশ্যই দূর করতে পারবো: স্বাস্থ্যমন্ত্রী
দেশের স্বাস্থ্যখাতের অনিয়ম-দুর্নীতি অবশ্যই দূর করতে পারবেন বলে জানিয়েছেন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণমন্ত্রী ডা. সামন্ত লাল সেন। এজন্য তিনি জাতীয় সংসদ সদস্যদের তার সঙ্গে থাকার অনুরোধ জানিয়েছেন।
বৃহস্পতিবার (২৯ ফেব্রুয়ারি) জাতীয় সংসদ অধিবেশনে বিরোধীদলের চিফ হুইপ মুজিবুল হক চুন্নুর এক সম্পূরক প্রশ্নের উত্তরে মন্ত্রী এ কথা বলেন। এসময় স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী অধিবেশনে সভাপতিত্ব করেন।
সম্পূরক প্রশ্নে মুজিবুল হক চুন্নু বলেন, স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ে একজন ড্রাইভার একশো কোটি টাকার মালিক হয়ে যায়। একজন অ্যাকাউন্ট অ্যাসিস্টেন্ট স্ত্রীসহ তিনশো কোটি টাকার মালিক হয়ে যায়, অস্ট্রেলিয়ায় টাকা পাচার করে এবং দুদকে এর প্রমাণও হয়েছে। আপনি (স্বাস্থ্যমন্ত্রী) বেআইনি ক্লিনিক ও হাসপাতাল উচ্ছেদের উদ্যোগ নিয়েছেন। পারবেন কি না জানি না, তবে পারা দরকার। অভিযানটা আপসহীনভাবে শেষ পর্যন্ত সমাধান করার মতো সাহস-ইচ্ছা আপনার আছে কি না।
চুন্নুর প্রশ্নের জবাবে স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, আপনার প্রশ্নের উত্তরে আমি একটা কথাই বলবো- আমি পারবো। যদি আপনারা, সংসদ সদস্যরা আমার সঙ্গে থাকেন আমি ডেফিনেটলি পারবো। এটুকুই বলতে চাই, আপনারা প্রত্যেকের এলাকায় যেসব ক্লিনিক, ডায়াগনস্টিক সেন্টার আছে সেগুলো ভিজিট করুন, ভিজিট করে দেখুন তাদের যা যা সুবিধা সেগুলো আছে কি না, লাইসেন্স আছে কি না।
তিনি বলেন, আমি একটা কথা সবসময় স্পষ্ট বলি- মানুষের জীবন কিন্তু একটা, এই জীবন ভুল চিকিৎসায় চলে গেলে আর ফিরে আসবে না। অতএব আপনারা আমাকে সাহায্য করুন, আমাকে জানান কোথায় কোন অবৈধ ক্লিনিক। আমি সব হাসপাতাল বন্ধ করার পক্ষে না, হাসপাতাল থাকবে, কিন্তু হাসপাতালগুলো উপযুক্ত সরঞ্জাম নিয়ে যার যেখানে যা করা উচিত সেটা যদি থাকে তাহলে নিশ্চয়ই হাসপাতাল চলবে।
এসময় সংরক্ষিত নারী আসনের সংসদ সদস্য তারানা হালিমের সম্পূরক প্রশ্নের উত্তরে স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, দেশে যখন অগ্নিসন্ত্রাস হচ্ছিল, বাসে গাড়িতে আগুন দিয়ে মানুষ পোড়ানো হচ্ছিল তখন সব রোগীদের বার্ন ছিল ৩০-৪০ শতাংশ। অনেকের শ্বাসনালী পুড়ে গিয়েছিল, অনেকে মারা গেছে, ট্রমাটাইজ হয়েছে। এই যে মেন্ট্রাল ট্রমা, এটা খুবই গুরুত্বপূর্ণ।
তিনি বলেন, যিনি বাস বা ট্রাক চালাতেন তার কিন্তু ওই জায়গাটায় গেলেই সেই স্মৃতি মনে হবে। তার পক্ষে মেন্ট্রাল ট্রমা থেকে বেরিয়ে আসা খুই কঠিন। আমরা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সঙ্গে কথা বলে একজন সাইকোলজিস্ট নিয়েছি। তবে তাদের সবচেয়ে বড় দরকার পুনর্বাসন। যদি তাদের যথাযোগ্য পুনর্বাসন হয় তাহলে তারা হয়তো মেন্টাল পেসার থেকে মুক্তি পাবেন।
আইএইচআর/এমকেআর/এমএস