ভিডিও EN
  1. Home/
  2. স্বাস্থ্য

স্বাভাবিক জীবনে ফিরছেন ট্রিম্যান বাজানদার

প্রকাশিত: ০৪:২৫ এএম, ১২ এপ্রিল ২০১৬

কেবিনের দরজা খুলে ভেতরে প্রবেশ করে বার্ন বিশেষজ্ঞ ডা. সামন্তলাল বিরল প্রজাতির রোগে আক্রান্ত  ট্রিম্যান খ্যাত আবুল বাজানদারকে উদ্দেশ্য করে ‘ আজ কেমন আছ বাজানদার’ প্রশ্ন ছুঁড়ে দিলেন। প্রশ্ন শুনেই প্রশান্তির বলিরেখা ফুটে উঠলো আবুলের চোখে মুখে। এক গাল হাসি হেসে আবুলের দ্রুত জবাব, খুব ভাল আছি স্যার।

আবুলের শয্যাপার্শ্বে বসে থাকা তার বৃদ্ধ মা আমেনা বেগম ছেলের মুখে স্বতস্ফূর্ত জবাব শুনে মহাখুশী। এ সময় ডা. সামন্ত লাল সেন আবুলকে জানান, মঙ্গলবার সকালে তার তৃতীয় অস্ত্রোপচার হবে।

এ কথা শুনে আমেনা বেগম বলে উঠলেন, স্যার আপনারা আমার ছেলের মুখে হাসি ফুটিয়েছেন। ছেলে আমার সুস্থ হয়ে উঠে আবার আগের মতো কাজ করতে পারবে এমন আশায় বুক বাঁধছে। আপনারা যা সিদ্ধান্ত নিবেন তাতেই আমরা খুশি। মায়ের কথায় সায় দিয়ে একই কথা বললেন আবুল বাজানদার।

Doctor

সোমবার সকালে এমনই এক দৃশ্যের অবতারণা হয় ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের বার্ন অ্যান্ড প্লাষ্টিক সার্জারি ইউনিটে। এ প্রতিবেদকের সঙ্গে আলাপকালে ডা. সামন্তলাল সেন জানান, দুই দফা অস্ত্রোপচারের মাধ্যমে আবুল বাজানদারের দুই হাতে গাছের শিকড়ের মতো বড় বড়  (গ্রোথ) মাংসপিন্ড কেটে ফেলা হয়েছে। কোনভাবেই যেন হাতের শিরা উপশিরা কেটে না যায় অস্ত্রোপচারকালে সেদিকে খুবই সতর্কতা দৃষ্টি রাখছেন চিকিৎসকরা। বলা যায় মূল অস্ত্রোপচার হয়ে গেছে।

তিনি জানান, আজ (মঙ্গলবার) সকালে আবুল বাজানদারের হাতে তৃতীয় দফা অস্ত্রোপচার করা হবে। ধাপে ধাপে অস্ত্রোপচারের মাধ্যমে আবুলের হাতকে ব্যবহার উপযোগি করে তৈরি করা হবে। চিকিৎসকদের সম্মিলিত প্রচেষ্ঠায় আবুল একদিন সুস্থ হয়ে উঠবে বলে তিনি দৃঢ় আশাবাদ ব্যক্ত করেন।

ডা. সেন জানান, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের মাইক্রোবায়োলজিষ্ট অধ্যাপক ড. কাষ্ট মার্টিন দুদিন আগে ই-মেইলে যোগাযোগ করে ফের আবুল ও তার বাবার রক্তের নমুনা ও লালা পাঠানোর অনুরোধ জানিয়েছেন।

Doctor

ড. মার্টিন ই-মেইল বার্তায় লিখেছেন, আবুল বাজানদারের রোগটি কি তা সঠিকভাবে জানতে দ্বিতীয় দফায় নমুনা পরীক্ষা করা প্রয়োজন। উল্লেখ্য ইতোপূর্বে আবুল, তার মা, স্ত্রী ও ছেলের নমুনা আমেরিকায় পাঠানো হয়।  খুব শিগগিরই বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার মাধ্যমে নমুনা পাঠানো হবে বলে ডা. সেন জানান।

সোমবার সকালে এ প্রতিবেদকের সঙ্গে আলাপকালে সে জানায়, আগে তার হাতের বাড়তি ওজনের জন্য হাত তুলতে খুব কষ্ট হতো। কিন্তু এখন তার হাতটা খুব হালকা মনে হয়। সে এমন সুচিকিৎসা পাবার কথা কখনও কল্পনাও করেনি বলে জানায়।

এমইউ/জেএইচ/এমএস