কর্মস্থলে নারী পুলিশ সদস্যদের মোবাইল টয়লেট দেওয়ার অনুরোধ
যেখানে সর্বোচ্চ সংখ্যক নারী পুলিশ সদস্যদের ডিউটি করতে হয় সেখানে মোবাইল টয়লেটের ব্যবস্থা করতে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনারের প্রতি অনুরোধ জানিয়েছেন ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের জুনিয়র কনসালটেন্ট ও রেসিডেন্সিয়াল সার্জন (সার্জারি) ওয়াজেদ শামসুন্নাহার।
রোববার (৩১ ডিসেম্বর) রাজারবাগে পুলিশ অডিটোরিয়ামে নারী পুলিশ সদস্যদের স্বাস্থ্য সুরক্ষা বিষয়ক সেমিনারে তিনি এসব কথা বলেন। ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের কল্যাণ ও ফোর্স বিভাগের আয়োজনে এবং ফ্রিডম স্যানিটারি ন্যাপকিনের সহায়তায় সেমিনার অনুষ্ঠিত হয়।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি বলেন, আমাদের নারী পুলিশ সদস্যদের দীর্ঘ সময় ধরে বাইরে ডিউটি করতে হয়। নারীরা কারণে-অকারণে প্রস্রাব আটকে রাখে। এতে করে ইনফেকশন হয়, কিডনির সমস্যা হয় এমনকি গর্ভপাতও হতে পারে।
ডা. ওয়াজেদ শামসুন্নাহার বলেন, আমরা সবাই জানি স্বাস্থ্যই সব সুখের মূল। আপনি নিজে সুস্থ থাকলে আপনার সন্তান ও পরিবার সুখে থাকবে। স্বাস্থ্য সচেতনতার একটি অংশ হলো পারসোনাল হাইজিন। পারসোনাল হাইজিন বিষয়টা শুনতে খুব সাধারণ মনে হয় কিন্তু এর গুরুত্ব অনেক।
তিনি আরও বলেন, নারী পুলিশ সদস্যরা শুধু গাইনি বিষয়ে অনেক প্রশ্ন করেছেন কিন্তু স্কিন, মেডিসিন ও ডেন্টাল এগুলোর গুরুত্ব মোটেও কম নয়। আমরা যদি একজন অন্যজনের চিরুনি দিয়ে চুল আঁচড়াই তাহলে স্কিন ডিজিস হতে পারে, নখ না কাটলে ডায়রিয়া হবে। ডায়রিয়া আমাদের কাছে সাধারণ ব্যাপার কিন্তু ডায়রিয়া মৃত্যুর কারণও হতে পারে। এসব বিষয়ে আমাদের অনেক বেশি সচেতন হতে হবে এবং পরিবার ও আত্নীয়-স্বজনদের সচেতন করতে হবে।
সেমিনার শেষে তিনি ডিএমপির নারী পুলিশ সদস্যদের মধ্যে ফ্রিডম স্যানিটারি ন্যাপকিন বিতরণ করেন।
ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের অতিরিক্ত উপ-পুলিশ কমিশনার (নারী পুলিশ) ফারজানা ইয়াছমিনের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে ডিএমপির যুগ্ম পুলিশ কমিশনার (প্রটেকশন অ্যান্ড ডিপ্লোমেটিক সিকিউরিটি) হামিদা পারভীন, উপ-পুলিশ কমিশনার, কেন্দ্রীয় পুলিশ হাসপাতালের বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক ও ছয়শ’রও বেশি নারী পুলিশ সদস্য উপস্থিত ছিলেন।
এএএম/এমআইএইচএস/এমএস