ভিডিও EN
  1. Home/
  2. স্বাস্থ্য

ঢামেককে বিশ্বমানের করতে তৈরি হচ্ছে মাস্টার প্ল্যান

প্রকাশিত: ০৭:২১ এএম, ২৯ মার্চ ২০১৬

ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালকে বিশ্বমানে রূপান্তর করতে মাস্টার প্ল্যান তৈরি করা হচ্ছে। মাস্টার প্ল্যানের আওতায় ঢামেক চৌহদ্দিতে একাধিক বহুতল ভবন নির্মিত হবে। প্রতিটি ভবন হবে কমপক্ষে ২০ থেকে ২৭ তলা। ইতোমধ্যেই গণপূর্ত ও স্থাপত্য প্রকৌশল বিভাগের মাধ্যমে মাস্টার প্ল্যান তৈরির কাজ শুরু হয়েছে।

সম্প্রতি প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় থেকে শত বছরের পুরোনো ভবন ভেঙ্গে নতুন নতুন ভবন নির্মাণের বিশেষ নির্দেশনা পাওয়ার পর মাস্টার প্ল্যান তৈরির কাজ শুরু হয়। তবে মাস্টার প্ল্যান তৈরির কাজ একেবারেই প্রাথমিক পর্যায়ে রয়েছে। স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় ও ঢামেক হাসপাতালের একাধিক শীর্ষ কর্মকর্তা এ তথ্য জানান।

অনুসন্ধানে জানা গেছে, প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় থেকে পাঠানো বিশেষ ওই নির্দেশনায় মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালে মোট কতগুলো ভবন রয়েছে, ভবনগুলো কত বছরের পুরোনো, কোন ভবনগুলো সংস্কার অতি জরুরি, ভূম্পিকম্প হলে কোন ভবনগুলো অধিক ঝুঁকিপূর্ণ, নতুন নতুন ভবন নির্মিত হলে চিকিৎসাসেবা কতটুকু ব্যাহত হবে, বিকল্প উপায়ে কিভাবে চিকিৎসাসেবা অব্যাহত রাখা হবে ইত্যাদি জানতে চেয়ে চিঠি দিয়েছে।

স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় ও ঢামেক হাসপাতালের একাধিক শীর্ষ কর্মকর্তা জাগো নিউজকে বলেন, ঢামেক হাসপাতালকে বিশ্বমানের হাসপাতালে দেখতে আগ্রহী প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি বিভিন্ন মাধ্যমে দেশের চিকিৎসা শিক্ষা ও স্বাস্থ্যসেবার মানোন্নয়নের ব্যাপারে নিয়মিত খোঁজ-খবর রাখেন। এছাড়া বিভিন্ন সময় বৈঠকে স্বাস্থ্য সেক্টরের নীতিনির্ধারকরা প্রধানমন্ত্রীকে রোগীর চাপ সামলাতে ঢামেক হাসপাতালের সম্প্রসারণ করা প্রয়োজনের কথা জানালে তিনি দ্রুত ব্যবস্থা গ্রহণের নির্দেশনা দেন।

ঢামেক হাসপাতালের একাধিক কর্মকর্তা জানান, দেশের অন্যতম সর্ববৃহৎ ২ হাজার ৬শ’ বেডের হাসপাতালে রোগীর চাপ নিত্যদিনই বাড়ছে। স্থান সংকুলানের অভাবে প্রতিদিন নির্ধারিত শয্যার অতিরিক্ত সহস্রাধিক রোগী ফ্লোর, বারান্দা ও করিডোরে চিকিৎসা নিচ্ছেন। জরুরি ও প্রয়োজনীয় বিভিন্ন পরীক্ষা-নিরীক্ষার রিপোর্ট পেতেও রোগীদের সমস্যা হচ্ছে।  

ঢামেক হাসপাতালের পুরোনা ভবনটি ১৯০৫ সালের আগে নির্মিত। শত বছরের পুরোনো ভবনটিতে ভূমিকম্পে ধ্বসে পড়ার ঝুঁকি রয়েছে। ফলে ভবন ভেঙ্গে নতুন ভবন স্থাপন করা প্রয়োজন বলে মন্তব্য করেন তারা।

ঢামেক হাসপাতাল পরিচালক বিগ্রেডিয়ার জেনারেল ডা. মিজানুর রহমান প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের চিঠি পাওয়ার কথা স্বীকার করলেও এ বিষয়ে বিস্তারিত বলতে অস্বীকৃতি জানান।

এমইউ/জেএইচ/আরএস/আরআইপি