ভিডিও EN
  1. Home/
  2. স্বাস্থ্য

শুরুতে জরায়ুমুখ-স্তন ক্যানসার শনাক্ত হলে মৃত্যুহার কমবে

নিজস্ব প্রতিবেদক | প্রকাশিত: ০৫:০৪ পিএম, ৩০ অক্টোবর ২০২৩

প্রাথমিক পর্যায়ে জরায়ুমুখ ও স্তন ক্যানসার শনাক্ত করা গেলে মৃত্যুহার কমিয়ে আনা সম্ভব। দেরিতে রোগ শনাক্ত হলে সঠিক চিকিৎসা ব্যবস্থাপনা দেখা কঠিন বিষয়। এতে মৃত্যুঝুঁকি বৃদ্ধি পায়। বাংলাদেশে সরকারি ও বেসরকারি উভয় ক্ষেত্রেই এসব রোগের চিকিৎসাসুবিধা সীমিত ও ব্যয়বহুল।

সোমবার (৩০ অক্টোবর) বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে (বিএসএমএমইউ) জাতীয় জরায়ুমুখ ও স্তন ক্যানসার স্ক্রিনিং এবং প্রশিক্ষণ কেন্দ্রের গবেষণা কক্ষের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে এ তথ্য জানানো হয়।

জাতীয় জরায়ুমুখ ও স্তন ক্যানসার স্ক্রিনিং এবং প্রশিক্ষণ কেন্দ্র জানায়, বাংলাদেশে প্রতি বছর প্রায় আট হাজার ২৬৮ জন নারী জরায়ুমুখ ক্যানসারে আক্রান্ত হন এবং চার হাজার ৯৭১ জন মারা যান। এছাড়া দেশে বছরে স্তন ক্যানসারে প্রায় ১৩ হাজার ২৮ জন নারী আক্রান্ত হয় এবং ছয় হাজার ৭৮৩ জন মারা যন। জরায়ুমুখ ও স্তন ক্যানসারে আক্রান্ত রোগীর বেঁচে থাকা অনেকাংশে নির্ভর করে প্রাথমিক পর্যায়ে রোগ নির্ণয় ও কার্যকরী চিকিৎসার ওপর।

অনুষ্ঠানে বিএসএমএমইউ উপাচার্য কেক এবং ফিতা কেটে গবেষণা কক্ষের ফলক উন্মোচন করেন এবং গাইনোকোলজিক্যাল অনকোলজি বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ডা. শিরিন আক্তার বেগম এবং অধ্যাপক ডা. জান্নাতুল ফেরদৌসের পিএইচডির থিসিস প্রটোকলের মোড়ক উন্মোচন করেন।

এসময় অধ্যাপক ডা. মো. শারফুদ্দিন আহমেদ বলেন, জরায়ুমুখ ক্যানসার বিশ্বজুড়ে নারীদের ক্যানসারে ও ক্যানসারজনিত মৃত্যুতে চতুর্থ শীর্ষ কারণ। এছাড়া স্তন ক্যানসার বিশ্বব্যাপী এবং বাংলাদেশে উভয় ক্ষেত্রেই শীর্ষস্থানীয় ক্যানসার। বাংলাদেশে নারীদের মৃত্যুর প্রধানতম দুটি কারণ হলো জরায়ুমুখ ক্যানসার ও স্তন ক্যানসার।

আরও পড়ুন>> দেশে প্রতিদিন স্তন ক্যানসারে মারা যান ১৯ নারী

তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় রোগের প্রতিকার ও প্রতিরোধ নিয়ে গবেষণা করছে। গাইনোকোলজিক্যাল অনকোলজি বিভাগও অনেক গবেষণা করছে। উদ্বোধন হওয়া জাতীয় জরায়ুমুখ ও স্তন ক্যানসার স্ক্রিনিং এবং প্রশিক্ষণ কেন্দ্রের গবেষণা কক্ষ এ গবেষণা কাজ অনেকদূর এগিয়ে নিতে সহায়তা করবে।

অনুষ্ঠানে বিএসএমএমইউ’র উপ-উপাচার্য (প্রশাসন) অধ্যাপক ডা. ছয়েফ উদ্দিন আহমদ, উপ-উপাচার্য (গবেষণা ও উন্নয়ন) অধ্যাপক ডা. মো. মনিরুজ্জামান খান, প্রক্টর অধ্যাপক ডা. মো. হাবিবুর রহমান দুলাল, রেজিস্ট্রার অধ্যাপক ডা. মোহাম্মদ হাফিজুর রহামন, গ্রন্থাগারিক অধ্যাপক ডা. মো. হারিসুল হক, প্রকল্প পরিচালক অধ্যাপক ডা. আশরাফুন্নেসা, গাইনোকোলজিক্যাল অনকোলজি বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ডা. শিরিন আক্তার বেগম, অধ্যাপক ডা. জান্নাতুল ফেরদৌস, করোস্কোপিস্ট ডা. সাদিয়া মাহবুবা রিপা প্রমুখসহ বিএসএমএমইউ’র অন্যান্য চিকিৎসক, কর্মকর্তা ও নার্সরা উপস্থিত ছিলেন।

জরায়ুমুখ ও স্তন ক্যানসার স্ক্রিনিং কর্মসূচির আওতায় উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স সিংগাইর, মানিকগঞ্জ, রায়পুরা, নরসিংদীতে এইচপিডি পাইলট প্রোগ্রামসহ বিভিন্ন মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল ও জেলা সদর হাসপাতালে ৩০-৬০ বছর বয়সী নারীদের এইচপিভি নমুনা সংগ্রহ করা হচ্ছে। এসব নমুনা নিয়ে গবেষণা করা হবে। এর ফলে বাংলাদেশের নারীদের জরায়ুমুখ ও স্তন ক্যানসার চিকিৎসার নতুন দ্বার উন্মোচিত হবে।

এএএম/ইএ/জিকেএস