সিঙ্গাপুরে স্বাস্থ্যমন্ত্রী
ভ্যাকসিন প্রযুক্তি উন্নয়নে বিশ্বনেতাদের একসঙ্গে কাজ করতে হবে
স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণমন্ত্রী জাহিদ মালেক বলেছেন, ভবিষ্যতে নতুন কোনো মহামারি দেখা দিলে তা মোকাবিলায় ভ্যাকসিন প্রযুক্তি উন্নয়নে এখন থেকেই বিশ্বনেতাদের একযোগে কাজ করতে হবে। এ বিষয়ে সব দেশকে এগিয়ে আসতে হবে।
তিনি বলেন, বাংলাদেশের মত ঘনবসতিপূর্ণ দেশের জন্য নিজ দেশে ভ্যাকসিন উৎপাদন কার্যক্রম শুরু করা এবং উৎপাদন কারখানা তৈরি করা অত্যন্ত ফলপ্রসূ কাজ হবে। বাংলাদেশের মত বিশ্বের অন্য উন্নয়নশীল দেশগুলোতে ভ্যাকসিন উৎপাদনে এশিয়ান ডেভেলপমেন্ট ব্যাংকসহ অন্যান্য অর্থনৈতিক সংস্থার সহযোগিতার হাত প্রসারিত করতে হবে। এসব দেশে মুক্ত মনে অর্থায়ন করতে হবে। আগামীর নিরাপদ ও সুস্থ পৃথিবীর জন্য ভ্যাকসিন প্রযুক্তির উন্নয়নে বিশ্ববাসীর একযোগে কাজ করতে হবে।
বৃহস্পতিবার (৫ অক্টোবর) সিঙ্গাপুরে ডিউক-নাস মেডিকেল স্কুলে এশিয়ান ডেভেলপমেন্ট ব্যাংক (এডিপি) আয়োজিত ৫-৮ অক্টোবর চারদিনব্যাপী ভ্যাকসিন প্রযুক্তিবিষয়ক সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন।
উদ্বোধনী বক্তব্যে স্বাস্থ্যমন্ত্রী বিশ্বে যুগে যুগে বিভিন্ন মহামারিতে মানুষের প্রভূত ক্ষতির নানাদিক তুলে ধরেন। এসময় করোনা মহামারিতে বিশ্বজুড়ে বহু মানুষের প্রাণহানিসহ ক্ষতিকর দিকগুলো এবং করোনা মোকাবিলায় বাংলাদেশ কীভাবে সফলতা পেয়েছে সে বিষয়গুলোও তুলে ধরেন তিনি।
স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, একটি ঘন বসতিপূর্ণ জনবহুল দেশ হওয়া সত্ত্বেও বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সুদূরপ্রসারী নেতৃত্ব ও সঠিক সিদ্ধান্ত বাস্তবায়ন করে বাংলাদেশ এখন অর্থনীতিতে বিশ্ববাসীর নজর কাড়ছে। দেশে গঠনমূলক কার্যকলাপ চলমান থাকায় করোনার মত মহামারিতে একযোগে একদিনে ১ কোটি ২০ লাখ মানুষকে টিকা দিতে সক্ষম হয়েছে বাংলাদেশ। দ্রুততম সময়ে দেশের ৯০ ভাগ মানুষকে টিকা দেওয়ার কারণে বাংলাদেশ এখন একটি নিরাপদ দেশ হিসেবে বিশ্বে জায়গা করে নিয়েছে।
সম্মেলনের উদ্বোধনী দিনে বিভিন্ন দেশ ও সংস্থার প্রতিনিধিরা বক্তব্য রাখেন। এতে স্বাগত বক্তব্য রাখেন এশিয়ান ডেভেলপমেন্ট ব্যাংকের সেক্টর গ্রুপের উপ-মহাপরিচালক ডা. সাংসুপ রা। আরও বক্তব্য রাখেন- ডিউক-নাস মেডিকেল স্কুলের নির্বাহী পরিচালক অধ্যাপক জন লিম ও এডিবির সেক্টর গ্রুপ পরিচালক ডা. পাট্রিক ওসওয়েল।
এএএম/এমকেআর/জেআইএম