২০২৫ সালের মধ্যে যক্ষ্মায় মৃত্যুহার ৭৫ শতাংশ কমানো চ্যালেঞ্জিং
সাম্প্রতিক বছরগুলোতে টিউবারকিউলোসিস বা যক্ষ্মা (টিবি) রোধে বাংলাদেশ উল্লেখখযোগ্য অগ্রগতি অর্জন করেছে। তবে এখনো দেশে মৃত্যুর প্রধান কারণগুলোর মধ্যে উল্লেখযোগ্য হচ্ছ এ টিবি রোগ। প্রতিবছর এ রোগে ৪২ হাজার মানুষ মারা যায়। আর এ মৃত্যুহার আরও বাড়িয়ে দিয়েছে করোনাভাইরাস।
২০২০ সাল পর্যন্ত যক্ষ্মায় মৃত্যুহার আগের তুলনায় কমিয়ে আনা হয়েছে ৩৫ শতাংশ। তবে ২০২৫ সালের মধ্যে এই মৃত্যুহার ৭৫ শতাংশ কমিয়ে আনার লক্ষ্যমাত্রা রয়েছে সরকারের। এ লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে সময় বাকি আছে আর দুই বছর। এর মধ্যে এ লক্ষ্যমাত্রা অর্জন কতটুকু সম্ভব হব তা নিয়ে আশঙ্কা দেখা দিয়েছে।
রোববার (২৭ আগস্ট) আন্তর্জাতিক উদরাময় গবেষণা কেন্দ্রের (আইসিডিডিআরবি) সাসাকাওয়া হলে আয়োজিত টিবি প্রাইভেট-পাবলিক মিক্স (পিপিএম) স্টেকহোল্ডারসদের নিয়ে আয়োজিত এক সভা হয়। এতে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক ও টিবির প্রোগ্রাম পরিচালক আফজালুর রহমান এসব তথ্য তুলে ধরেন।
আলোচনায় তিনি বলেন, এসডিজি গোল অর্জনে ২০৩০ সালের মধ্যে টিবির মৃত্যুহার ৯০ শতাংশ কমিয়ে আনার লক্ষ্যমাত্রা রয়েছে। আর ২০৩৫ সালের মধ্যে টিবির মৃত্যুহার ৯৫ শতাংশ কমিয়ে আনার লক্ষ্যমাত্রা রয়েছে। এছাড়া ২০২০ সালের মধ্যে টিবিতে আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা ২০ শতাংশ কমিয়ে আনা সম্ভব হয়েছে। আর ২০২৫ সালের মধ্যে টিবিতে আক্রান্তের সংখ্যা ৫০ শতাংশে কমিয়ে আনার লক্ষ্যমাত্রা রয়েছে।
২০২৫ সালের ৭৫ শতাংশ মৃত্যুহার কমিয়ে আনা ও ৫০ শতাংশ আক্রান্ত কমিয়ে আনার যে লক্ষ্যমাত্রা রয়েছে তা পূরণে হাতে আছে আর মাত্র দুই বছর। এ সময়ের মধ্যে এ লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে আরও কার্যকরী উদ্যোগ নিতে হবে বলে জানান আলোচকরা।
অনুষ্ঠানে দেওয়া তথ্যমতে, ২০২১ সালের তথ্য অনুযায়ী দেশে টিবি আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা তিন লাখ ৭৫ হাজার। এদের মধ্যে তিন লাখ সাত হাজার ৫৬১ জনকে শনাক্ত করা সম্ভব হলেও ৬৭ হাজার ৪৩৯ জন শনাক্তকরণ পরীক্ষায় অংশ নেননি। টিবি আক্রান্ত রোগীদের মধ্যে সবচেয়ে বেশি আক্রান্ত পুরুষ ৫৪ শতাংশ। এছাড়া নারী আক্রান্ত হয়েছেন ৪৬ শতাংশ ও শিশু আক্রান্ত হয়েছে ৮ শতাংশ। এছাড়া চার হাজার ৫০০ জন রোগী মেডিসিন প্রতিরোধযোগ্য টিবিতে আক্রান্ত আছেন।
এএএম/এমআইএইচএস/এমএস