ভিডিও EN
  1. Home/
  2. স্বাস্থ্য

জরায়ুমুখ ক্যানসার

সেপ্টেম্বর থেকে ১০-১৫ বছরের মেয়েদের এইচপিভি টিকা দেবে সরকার

নিজস্ব প্রতিবেদক | প্রকাশিত: ০৪:০০ পিএম, ১৩ ফেব্রুয়ারি ২০২৩

জরায়ুমুখ ক্যানসার রোধে আগামী সেপ্টেম্বর মাস থেকে ১০-১৫ বছর বয়সী মেয়েদের হিউম্যান প্যাপিলোমা ভাইরাস (এইচপিভি) ভ্যাকসিন দেবে সরকার।

সোমবার (১৩ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে স্বাস্থ্যসেবা সংক্রান্ত সমসাময়িক বিষয় নিয়ে ব্রিফিংয়ে স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক এ কথা জানিয়েছেন।

স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, নারীদের জরায়ুমুখ ক্যানসার বাড়ছে। তাই স্ক্রিনিং বাড়ানোর জন্য পরিকল্পনা রয়েছে। আমাদের দেশের নারীদের এইচপিভি ভ্যাকসিন দেওয়ার কথা ভাবছি। এটি সরকারি কার্যক্রম। রুটিন ভ্যাকসিনের মতোই এটি দেওয়া হবে। ১০ থেকে ১৫ বছর বয়সী মেয়েদের এ ভ্যাকসিন দিলে তা কার্যকর হবে।

তিনি বলেন, এটি খুবই দামি ভ্যাকসিন হলেও বিনামূল্যে দেওয়া হবে। প্রত্যেককে একটি করে ডোজ দেওয়া হবে। এই ভ্যাকসিন একবার নিলে তারা আজীবন এ রোগ থেকে মুক্ত থাকতে পারবেন। তবে বেশি বয়স হলে এ ভ্যাকসিনের কার্যকারিতা কমে যায়।

তিনি আরও বলেন, ব্রেস্ট ক্যানসারেও অনেকে আক্রান্ত হচ্ছেন। সেটি যেন দ্রুত শনাক্ত করা যায়, সেজন্য যন্ত্রগুলো উপজেলা পর্যায়ে নেওয়ার চেষ্টা করব। আমাদের দেশের মেয়েরা রক্তশূন্যতায় ভোগে, এটি নিয়ে কর্মসূচি রয়েছে। যদিও খাদ্য নিরাপত্তার মাধ্যমে এটি কমে আসছে।

ডলার সংকটের কারণে এলসি বন্ধ হওয়ায় জীবন রক্ষাকারী চিকিৎসা সরঞ্জাম আমদানি বন্ধ হয়ে গেছে, জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান গোলাম মোহাম্মদ (জিএম) কাদেরের এমন মন্তব্য বিষয়ে স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, আমাদের হাসপাতালগুলোতে এ ধরনের সমস্যার কথা শুনিনি। আমাদের স্টক আছে, এবং প্রয়োজনীয় সবকিছুই পাচ্ছি। সরকার খুবই আন্তরিক। স্বাস্থ্যসেবার কোনো কিছু প্রয়োজন হলে সেটি অন্য কিছু বন্ধ রেখে হলেও পূরণ করা হবে।

তিনি বলেন, বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নরের সঙ্গে কথা হয়েছে। তিনি বলেছেন কোনো সমস্যা হবে না। তবে সরকারি হাসপাতালে এখন পর্যন্ত কোনো কিছুর ঘাটতি নেই। আবেদন সাপেক্ষে সরকারি চার ব্যাংক থেকে এলসি খোলা যাবে, সে বিষয়ে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।

নিপা ভাইরাস প্রসঙ্গে জানতে চাইলে জাহিদ মালেক বলেন, নিপা ভাইরাস নিয়ন্ত্রণে আছে। নতুন কোনো রোগী পাচ্ছি না। কোনো মৃত্যুও হয়নি। বক্ষব্যাধী হাসপাতালে একটি ইউনিট করা হয়েছে। আইসিইউ রয়েছে। নিপা ভাইরাসে আক্রান্ত হলে যেন যথাযথ চিকিৎসাসেবা পায় সে ব্যবস্থাও রয়েছে।

আইএইচআর/এমকেআর/এমএস