ভিডিও EN
  1. Home/
  2. স্বাস্থ্য

মার্চ থেকে শুরু

সরকারি প্রতিষ্ঠানে ব্যক্তিগত রোগী দেখার সুযোগ চিকিৎসকদের

নিজস্ব প্রতিবেদক | প্রকাশিত: ০৩:২৫ পিএম, ২২ জানুয়ারি ২০২৩

সরকারি প্রতিষ্ঠানে বসেই ব্যক্তিগত রোগী দেখার সুযোগ পাচ্ছেন চিকিৎসকরা। আগামী ১ মার্চ থেকে এ প্রক্রিয়া শুরু করতে চায় স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়। এ লক্ষ্যে পাইলটিং প্রকল্প চালু হচ্ছে বলেও জানিয়েছেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক।

তিনি বলেন, ‘আগামী ১ মার্চ থেকে ইনস্টিটিউশনাল প্র্যাকটিস শুরু করতে চাচ্ছি। পাইলট প্রকল্প হিসেবে ৫০টি উপজেলা, ২০টি জেলা ও পাঁচটি মেডিকেল এর আওতাভুক্ত থাকবে। এতে রোগীরা বেশি চিকিৎসা পাবেন।’

রোববার (২২ জানুয়ারি) দুপুরে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে স্বাস্থ্যখাতের জরুরি বিষয় নিয়ে ব্রিফিংয়ে তিনি এসব কথা বলেন।

স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক বলেন, ‘সরকারি ইনস্টিটিউটে প্র্যাকটিসের কথা বলা হয়েছে, তারা যাতে নিজেদের প্রতিষ্ঠানে প্র্যাকটিস করতে পারেন। কারা, কতক্ষণ, কীভাবে প্র্যাকটিস করবেন, সেটি বাস্তবায়নে একটি টিম গঠন করেছি। তারা আমাদের অবহিত করবেন। মার্চ থেকে ইনস্টিটিউশনাল প্র্যাকটিস শুরু হবে।’

সরকারি প্রতিষ্ঠানে ব্যক্তিগত রোগী দেখার সুযোগ চিকিৎসকদের

ফি বেশি হবে কি না, জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘বাইরে যে ফি তারা (চিকিৎসক) নেন, সেক্ষেত্রে নিজের প্রতিষ্ঠানে অবশ্যই কম ফি নেবেন বলে আশা করি। বাইরে যা ফি হয়, তার চেয়ে কমই হয়তো নেওয়া হবে। চেম্বারে বসে যে পরামর্শ দেওয়া হয়, সেগুলো তারা দেবেন। সেটা অফিসের কর্মঘণ্টার পর। সেখানে কাজ করার জন্য অবশ্যই তাদের আমরা তাগিদ দেবো। তারা প্রায়োরেটি পাবেন।

আরও পড়ুন: দেশের স্বাস্থ্যসেবা অনেক দূর এগিয়েছে: স্বাস্থ্যমন্ত্রী

জাহিদ মালেক বলেন, ‘নিজের প্রতিষ্ঠানে কাজ করবেন। যাবতীয় কাজ যা আছে, তা আগে করবেন। এর বাইরে যদি সময় পান, তাহলে তারা কাজ করবেন। এখানে সময় দিলে সেভাবে বাইরে সময় দিতে পারবেন না। এখনও তো তারা বাইরে প্র্যাকটিস করেন।’

মন্ত্রী বলেন, ‘আমরা এটি বাস্তবায়ন করতে পারবো বলে আশা করি। প্রাইভেট প্র্যাকটিস নতুন কনসেপ্ট নয়। শুরু করতে গাইডলাইন লাগবে, সেখানে সময়, অর্থ সব নিয়ে কাজ শুরু করবো। কাজ করার মধ্যে যদি কোনো সমস্যা দেখা দেয়, সেটি সমাধান করবো।’

সরকারি প্রতিষ্ঠানে ব্যক্তিগত রোগী দেখার সুযোগ চিকিৎসকদের

সরকার দেশের স্বাস্থ্যসেবায় প্রতিনিয়ত উন্নয়নের চেষ্টা করছে জানিয়ে জাহিদ মালেক আরও বলেন, ‘বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে চোখের কর্নিয়া ও কিডনি প্রতিস্থাপন সফলভাবে সম্পন্ন হয়েছে। আমরা সেখানকার সবাইকে ধন্যবাদ জানাই। কিছুদিন আগে তারা লিভার প্রতিস্থাপনও করেছেন, যেটি একটি মাইলফলক। মানুষ এসব চিকিৎসার জন্যই বিদেশে যায়।’

আরও পড়ুন: ‘বিরোধী দলগুলোর চোখের ছানি দূর করতে পারলে উন্নয়ন দেখতে পাবে’

‘মৃত্যুর পর যদি কিডনিটা দিয়ে যেতে পারেন, সেটা যদি মৃত্যুর আগে বলে যান তাহলে অন্য একজন মানুষের জীবন রক্ষা পেতে পারে। একজন ব্যক্তি মারা গেলে কয়েক ঘণ্টা পর কিডনি অকেজো হয়ে যায়। তাই সেটি দান করে গেলে অন্তত একজনের জীবন বাঁচাতে পারেন। আমরা চাচ্ছি, কিডনি প্রতিস্থাপন আরও জোরদার হবে। শেখ রাসেল গ্যাস্ট্রোলিভারেও কিডনি প্রতিস্থাপনের ব্যবস্থা করছি’ বলেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী।

জাহিদ মালেক বলেন, ‘বিভাগভিত্তিক জায়গাগুলোতে যে সমস্যা আছে, সেগুলো সমাধানের চেষ্টা করছি। বরিশাল বিভাগে গিয়ে যে সমস্যাগুলো দেখেছি, সেগুলো সমাধানের জন্য পরামর্শ দিয়েছি। তবে সঠিক তদারকি হলে ভালো কাজ হবে। আমাদের দুর্বল জায়গা হলো উপজেলার হাসপাতালগুলো। ডাক্তার ও নার্স নিয়োগ দিলেও ঘাটতি কমেনি।’

আইএইচআর/এএএইচ/জিকেএস