ভিডিও EN
  1. Home/
  2. স্বাস্থ্য

‘খাবারে অ্যান্টিবায়োটিক থাকলে তা অনিরাপদ’

নিজস্ব প্রতিবেদক | প্রকাশিত: ০৭:১৪ পিএম, ১২ অক্টোবর ২০২২

‘বর্তমানে সারাবিশ্বে নিরাপদ খাদ্য নিয়ে আলোচনা হচ্ছে, কিন্তু এই খাবারে যদি অ্যান্টিবায়োটিক পাওয়া যায়, তাহলে সেই খাবার মোটেও নিরাপদ নয়, তাই অ্যান্টিবায়োটিকের উপস্থিতি যতটা সম্ভব কমানো যায় সেটিই হচ্ছে মূল বিষয়।’

মঙ্গলবার (১১ অক্টোবর) রাতে রাজধানীর একটি হোটেলে ‘ব্যাকটেরিয়া নিয়ন্ত্রণ ও অন্ত্রের ভারসাম্যের নতুন যুগ’ শীর্ষক সেমিনারে বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ড. এম বাহানুর রহমান এ কথা বলেন।

এম.এ.এস এডিটিভস বাংলাদেশ ও সিটিসি গ্লোবাল সাউথ কোরিয়া যৌথভাবে এ সেমিনার আয়োজন করে বলে এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে।

ড. এম বাহানুর রহমান বলেন, বিভিন্ন ব্যাকটেরিয়া মাল্টি-ড্রাগ রেজিস্ট্যান্স হয়ে উঠছে, ফলে অ্যান্টিমাইক্রোবিয়াল রেজিস্ট্যান্স অনেক বেশি আলোচিত এবং এই এএমআরের বিরুদ্ধে সবচেয়ে কার্যকর সমাধান হলো ব্যাকটেরিওফেজ। এসময় তিনি বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষণাগারে ব্যাকটেরিওফেজের বিচ্ছিন্নতা ও পরিশোধনের বিষয় তুলে ধরেন।

সিটিসি গ্লোবালের সেলস ডিরেক্টর ড. কেলেব লি বলেন, এক্সেলশিও একটি নেতৃস্থানীয় ব্যাকটেরিওফেজ ফিড সংযোজক, যা মাত্র ১০ থেকে ২০ মিনিটের মধ্যে টার্গেট ব্যাকটেরিয়াকে মেরে ফেলে। এটি খুব দ্রুত ও দৃঢ়ভাবে কাজ করে। এর সবচেয়ে বড় বৈশিষ্ট্য হলো, এর কাজের পদ্ধতিটি কেবল অন্ত্রে নয় বরং বিভিন্ন ক্ষেত্রে ও খামার সাইটেও। এটি মুরগির এফসিআর (খাদ্য রূপান্তরের হার) কমায়, গোশত বাড়ায়, ডিমের উৎপাদন বাড়ায় এবং মৃত্যুহার কমায়। এর গুরুত্বপূর্ণ দিক হলো এতে ব্যাসিলাস সাবটিলস রয়েছে, যা প্রোবায়োটিক হিসেবে কাজ করে, তাই একই পণ্য ব্যাকটেরিওফেজ এবং প্রোবায়োটিক হিসেবে কাজ করে। সর্বোপরি এটি ১৮ প্রজাতির ব্যাকটেরিয়ার বিরুদ্ধে অত্যন্ত কার্যকর।

সিটিসি গ্লোবালের পণ্য এক্সেলশিও বাংলাদেশে এম.এ.এস এডিটিভস বাংলাদেশ’র মাধ্যমে বাজারজাত হয়।

সেমিনারে আরও উপস্থিত ছিলেন এম.এ.এস এডিটিভস বাংলাদেশ’র সিইও ড. মো. রিয়াজুল ইসলাম, জিএম (অপারেশন) মো. হামিদুল্লাহ, জিএম (সেলস অ্যান্ড মার্কেটিং) ডা. মো. রফিকুল ইসলাম, ম্যানেজার (অপারেশন) মো. বাদল হোসেন, বিজনেস ম্যানেজার ডা. আব্দুল্লাহ আল নোমান, বিজনেস ডেভেলপমেন্ট ম্যানেজার ডা. নূর মোহাম্মদ প্রমুখ।

এনএইচ/ইএ/এএসএম